মিনহাজ তুহিন, চবি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্র তাপস হত্যার ৭ বছর কেটে গেলেও এখনো বিচার হয়নি। সাক্ষীর অভাবে এগোচ্ছে না মামলার বিচার কার্যক্রম। অন্যদিকে মৃত্যুর আগে ছেলে হত্যার বিচার দেখে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তাপসের অসুস্থ মা।
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী চত্বরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার। তিনি চবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
তাপসের ছোট ভাই শ্রাবণ সরকার বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখি, বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুতগতিতে হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমার ভাইয়ের হত্যা মামলা ৭ বছর ধরে ঝুলে আছে। আমরা আদৌ বিচার পাব কি না, তা নিয়ে সন্দিহান।’
শ্রাবণ সরকার বলেন, ‘আমার মা খুবই অসুস্থ। ভাই মারা যাওয়ার পর থেকে ৭ বছর ধরে তিনি প্রতিদিনই কাঁদেন। এখন তাঁর একটাই চাওয়া—যেন ছেলে হত্যার বিচার দেখে মরতে পারেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ আশা করছি।’
তাপস হত্যাকাণ্ডের পরদিন রাতে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা করেন তাপসের সহপাঠী হাফিজুল ইসলাম। এই মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ২০১৬ সালের ২ মে ২৯ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন পিবিআই পরিদর্শক ও বর্তমান হালিশহর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার মূল অভিযুক্ত চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশার গুলিতে নিহত হন তাপস। বাকি ২৮ আসামির মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা এবং ২৫ জনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। আসামিদের মধ্যে কয়েকজন জামিনে থাকলেও অধিকাংশই পলাতক।
তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দিয়েছি। এর মধ্যে ১ নম্বর আসামি আত্মসমর্পণ করে হাজতেও ছিল। বর্তমানে মামলাটি আদালতে আছে। আমার কাছে কোনো আপডেট নেই।’
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলার বাদী হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘চার্জশিট দেওয়ার পর মামলার আর কোনো অগ্রগতি নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, তাপস হত্যার বিচারও যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়ে যায়।’
এদিকে সাক্ষীর অভাবে মামলার কার্যক্রম থমকে আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এ কে এম সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই পর্যন্ত কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আসেননি বলে ওই পর্যন্তই থমকে আছে।’
এদিকে ৭ বছরেও তাপস হত্যার বিচার শেষ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চবি শাখা ছাত্রলীগ। চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘যখন দেখা যায় তাপসের খুনিরা ক্যাম্পাসে বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায়, তখন ছাত্রসমাজের বুকে রক্তক্ষরণ হয়।’
এদিকে সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাপস হত্যার বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, শোকসভা ও প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করবে তাপস স্মৃতি সংসদ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্র তাপস হত্যার ৭ বছর কেটে গেলেও এখনো বিচার হয়নি। সাক্ষীর অভাবে এগোচ্ছে না মামলার বিচার কার্যক্রম। অন্যদিকে মৃত্যুর আগে ছেলে হত্যার বিচার দেখে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তাপসের অসুস্থ মা।
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী চত্বরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার। তিনি চবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
তাপসের ছোট ভাই শ্রাবণ সরকার বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখি, বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুতগতিতে হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমার ভাইয়ের হত্যা মামলা ৭ বছর ধরে ঝুলে আছে। আমরা আদৌ বিচার পাব কি না, তা নিয়ে সন্দিহান।’
শ্রাবণ সরকার বলেন, ‘আমার মা খুবই অসুস্থ। ভাই মারা যাওয়ার পর থেকে ৭ বছর ধরে তিনি প্রতিদিনই কাঁদেন। এখন তাঁর একটাই চাওয়া—যেন ছেলে হত্যার বিচার দেখে মরতে পারেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ আশা করছি।’
তাপস হত্যাকাণ্ডের পরদিন রাতে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা করেন তাপসের সহপাঠী হাফিজুল ইসলাম। এই মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ২০১৬ সালের ২ মে ২৯ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন পিবিআই পরিদর্শক ও বর্তমান হালিশহর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার মূল অভিযুক্ত চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশার গুলিতে নিহত হন তাপস। বাকি ২৮ আসামির মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা এবং ২৫ জনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। আসামিদের মধ্যে কয়েকজন জামিনে থাকলেও অধিকাংশই পলাতক।
তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দিয়েছি। এর মধ্যে ১ নম্বর আসামি আত্মসমর্পণ করে হাজতেও ছিল। বর্তমানে মামলাটি আদালতে আছে। আমার কাছে কোনো আপডেট নেই।’
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলার বাদী হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘চার্জশিট দেওয়ার পর মামলার আর কোনো অগ্রগতি নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, তাপস হত্যার বিচারও যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়ে যায়।’
এদিকে সাক্ষীর অভাবে মামলার কার্যক্রম থমকে আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এ কে এম সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই পর্যন্ত কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আসেননি বলে ওই পর্যন্তই থমকে আছে।’
এদিকে ৭ বছরেও তাপস হত্যার বিচার শেষ না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চবি শাখা ছাত্রলীগ। চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘যখন দেখা যায় তাপসের খুনিরা ক্যাম্পাসে বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায়, তখন ছাত্রসমাজের বুকে রক্তক্ষরণ হয়।’
এদিকে সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাপস হত্যার বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, শোকসভা ও প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করবে তাপস স্মৃতি সংসদ।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫