শরীফুল ইসলাম ইন্না, সিরাজগঞ্জ
কাজীপুর উপজেলা ও সদরের আংশিক নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-১ আসন। এই আসন জাতীয় চার নেতার অন্যতম সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন শহীদ এম মনসুর আলীর জন্মভূমি। সেই সুবাদে যমুনা নদীবেষ্টিত ভাঙনকবলিত আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। এই আসনের রাজনীতিতে শহীদ মনসুর আলী পরিবারের নামই বারবার ফিরে আসে। এ ছাড়া এখানে বিএনপির তেমন কোনো কর্মকাণ্ড এবং জোরালো দলীয় কর্মসূচিও নেই। বিএনপির যাঁরা নেতৃত্ব দেন, তাঁদের বেশির ভাগই থাকেন কাজীপুরের বাইরে। সব মিলিয়ে আসনটির দখল এবারও থাকবে ঐতিহ্যবাহী পরিবারটির হাতেই।
সাধারণ ভোটাররা বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ বলতে মনসুর আলী ও মোহাম্মদ নাসিম পরিবারকেই বোঝায়। স্বৈরশাসকের কবল থেকে ১৯৯১ সালে দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা ফিরে আসার পর প্রতিটি নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিম জয়লাভ করেছেন। মামলার জটিলতার কারণে ২০০৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও নাসিমপুত্র তানভীর শাকিল জয় এই আসন থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। ২০২০ সালে বাবার মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও শাকিল জয়লাভ করেন। তিনি কাজীপুরের বর্তমান সংসদ সদস্য।
কাজীপুর মূলত ভাঙনকবলিত এলাকা এবং অর্ধেক অংশ যমুনার চরে অবস্থিত। চরে কোনো রাস্তাঘাট ছিল না এবং দেশের মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। মোহাম্মদ নাসিম ১৯৯৬ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চরের উন্নয়নে নজর দেন। চরে পাকা রাস্তা নির্মাণ করেন। নদীভাঙন থেকে কাজীপুরবাসীকে রক্ষা করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেন। যোগাযোগব্যবস্থা ঢেলে সাজান। এমনকি জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে আন্ডার রিভার কেবলের মাধ্যমে চরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোরও ব্যবস্থা করেন। সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন তানভীন শাকিল জয়ও। তাই তাঁর প্রতি এলাকাবাসী সন্তুষ্ট। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্য এটা বিরাট স্বস্তির।
কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান শিরাজী বলেন, ‘একসময়ের অবহেলিত কাজীপুর এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছেন, তার আওতায় আমাদের নেতা তানভীর শাকিল জয় কাজীপুরে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন; বিশেষ করে চরাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। চরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানকার মানুষ কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি, চরে বিদ্যুৎ যাবে।’
এদিকে এই আসনে বিএনপির অবস্থা নড়বড়ে। বিএনপির নেতারা কাজীপুরের বাইরে অবস্থান করেন। বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি পালিত হয় না এখানে। আবার অন্তঃকোন্দলও আছে। এবার এই আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা, কাজীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি হাসান তালুকদার রানা, উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব সেলিম রেজা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান।
কাজীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজি মিজানুর রহমান বাবলু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের হামলা ও মামলার ভয়ে নেতা-কর্মীরা এলাকায় আসতে ভয় পান। এখানে কর্মসূচি পালন করা কঠিন। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী অধিকাংশ প্রার্থী কাজীপুরের বাইরে থাকেন। আমরা দু-একজন নেতা কাজীপুরে অবস্থান করি। আমাদের চাওয়া, কাজীপুরের স্থায়ী নেতাদের মধ্যে কেউ একজন মনোনয়ন পান। কারণ, নির্বাচনের সময় এলাকায় আসবেন আর নির্বাচন করে চলে যাবেন, এমন নেতার প্রয়োজন নেই। নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে যাঁরা পাশে আছেন, তাঁদেরকেই আমরা চাই।’
জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কাজীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল হাসান রানা বলেন, ‘গায়েবি মামলায় মাসের পর মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে। তারপরও দল ছাড়িনি। দলের সব কর্মসূচি পালন করছি। কাজীপুর উপজেলা বিএনপিকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি। এর আগে আমাকে কাজীপুর আসনে একবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এবারও আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী।’
কাজীপুর উপজেলা ও সদরের আংশিক নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-১ আসন। এই আসন জাতীয় চার নেতার অন্যতম সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন শহীদ এম মনসুর আলীর জন্মভূমি। সেই সুবাদে যমুনা নদীবেষ্টিত ভাঙনকবলিত আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। এই আসনের রাজনীতিতে শহীদ মনসুর আলী পরিবারের নামই বারবার ফিরে আসে। এ ছাড়া এখানে বিএনপির তেমন কোনো কর্মকাণ্ড এবং জোরালো দলীয় কর্মসূচিও নেই। বিএনপির যাঁরা নেতৃত্ব দেন, তাঁদের বেশির ভাগই থাকেন কাজীপুরের বাইরে। সব মিলিয়ে আসনটির দখল এবারও থাকবে ঐতিহ্যবাহী পরিবারটির হাতেই।
সাধারণ ভোটাররা বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ বলতে মনসুর আলী ও মোহাম্মদ নাসিম পরিবারকেই বোঝায়। স্বৈরশাসকের কবল থেকে ১৯৯১ সালে দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা ফিরে আসার পর প্রতিটি নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিম জয়লাভ করেছেন। মামলার জটিলতার কারণে ২০০৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও নাসিমপুত্র তানভীর শাকিল জয় এই আসন থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। ২০২০ সালে বাবার মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও শাকিল জয়লাভ করেন। তিনি কাজীপুরের বর্তমান সংসদ সদস্য।
কাজীপুর মূলত ভাঙনকবলিত এলাকা এবং অর্ধেক অংশ যমুনার চরে অবস্থিত। চরে কোনো রাস্তাঘাট ছিল না এবং দেশের মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। মোহাম্মদ নাসিম ১৯৯৬ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চরের উন্নয়নে নজর দেন। চরে পাকা রাস্তা নির্মাণ করেন। নদীভাঙন থেকে কাজীপুরবাসীকে রক্ষা করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেন। যোগাযোগব্যবস্থা ঢেলে সাজান। এমনকি জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে আন্ডার রিভার কেবলের মাধ্যমে চরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোরও ব্যবস্থা করেন। সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন তানভীন শাকিল জয়ও। তাই তাঁর প্রতি এলাকাবাসী সন্তুষ্ট। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্য এটা বিরাট স্বস্তির।
কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান শিরাজী বলেন, ‘একসময়ের অবহেলিত কাজীপুর এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছেন, তার আওতায় আমাদের নেতা তানভীর শাকিল জয় কাজীপুরে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন; বিশেষ করে চরাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। চরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানকার মানুষ কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি, চরে বিদ্যুৎ যাবে।’
এদিকে এই আসনে বিএনপির অবস্থা নড়বড়ে। বিএনপির নেতারা কাজীপুরের বাইরে অবস্থান করেন। বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি পালিত হয় না এখানে। আবার অন্তঃকোন্দলও আছে। এবার এই আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা, কাজীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি হাসান তালুকদার রানা, উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব সেলিম রেজা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান।
কাজীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজি মিজানুর রহমান বাবলু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের হামলা ও মামলার ভয়ে নেতা-কর্মীরা এলাকায় আসতে ভয় পান। এখানে কর্মসূচি পালন করা কঠিন। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী অধিকাংশ প্রার্থী কাজীপুরের বাইরে থাকেন। আমরা দু-একজন নেতা কাজীপুরে অবস্থান করি। আমাদের চাওয়া, কাজীপুরের স্থায়ী নেতাদের মধ্যে কেউ একজন মনোনয়ন পান। কারণ, নির্বাচনের সময় এলাকায় আসবেন আর নির্বাচন করে চলে যাবেন, এমন নেতার প্রয়োজন নেই। নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে যাঁরা পাশে আছেন, তাঁদেরকেই আমরা চাই।’
জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কাজীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল হাসান রানা বলেন, ‘গায়েবি মামলায় মাসের পর মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে। তারপরও দল ছাড়িনি। দলের সব কর্মসূচি পালন করছি। কাজীপুর উপজেলা বিএনপিকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি। এর আগে আমাকে কাজীপুর আসনে একবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এবারও আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪