Ajker Patrika

পাঁচ বছর পর প্রসূতি অস্ত্রোপচার চালু

মিজানুর রহমান, তানোর
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩৩
পাঁচ বছর পর প্রসূতি অস্ত্রোপচার চালু

পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল প্রসূতি অস্ত্রোপচার কক্ষ। এর ফলে তানোর ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার প্রসূতিদের বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে ছুটতে হতো। অবশেষে গতকাল বুধবার সেটি চালু করা হলো। সকাল ৯টার দিকে রুপা নামের এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচার কক্ষ চালু করা হয়।

গতকাল সকালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয় তানোর পৌরসভা সদরের শিবতলা এলাকার অলক কুমারের স্ত্রীর। ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে তাঁদের।

অলক কুমার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কোনো টাকা ছাড়াই সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেছেন। এতে তাঁর মতো গরিব মানুষদের সুবিধা হলো।

আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহানের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারটি পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন অ্যানেসথেটিস্ট কামরুন নাহার হাসি ও গাইনি কনসালটেন্ট এলিনা খানম।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আশির দশকে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি চালু করা হয়। পরবর্তীকালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। অবকাঠামোগত সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পর অ্যানেসথেটিস্ট ও গাইনি চিকিৎসকের অভাবে পাঁচ বছর ধরে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার বন্ধ ছিল।

২০২১ সালের ১৯ মার্চ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডা. বার্নাবাস হাসদাক। তিনি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার মান উন্নত করার চেষ্টা করছেন।

ডা. বার্নাবাস হাসদাক বলেন, ‘সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সব সরঞ্জাম থাকার পরও অ্যানেসথেটিস্ট ও গাইনি চিকিৎসক না থাকায় সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার বন্ধ ছিল। বর্তমানে সপ্তাহে এক দিনের জন্য অ্যানেসথেটিস্ট ও গাইনি চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া আমি নিজে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেছি। এখন থেকে নিয়মিত এ সেবা দেওয়া হবে। যেসব রোগীর বাইরে যেতে হতো, তাঁরা এখানে সেই সেবা পাবেন বলে আশা করছি।’

তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দীর্ঘদিন পর তানোরে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার চালু হওয়ায় এ উপজেলার প্রসূতি মায়েরা উপকৃত হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত