গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
চলনবিলের পানি কমতে শুরু করেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিলের তলদেশ থেকে জাল দিয়ে ছেঁকে তোলা হচ্ছে শামুক। শামুকের সঙ্গে উঠে আসছে জলজ উদ্ভিদ ও লতাগুল্ম। এতে করে নষ্ট হচ্ছে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য। কিন্তু শামুক নিধন বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
শামুক আহরণের সঙ্গে জড়িতরা জানান, চলনবিল থেকে আহরণ করা শামুক খামারের হাঁস ও মাছের খাদ্য ছাড়াও চুন তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। স্থানীয় খামারিদের চাহিদা মেটানোর পরও দিনে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক করে শামুক ছড়িয়ে পড়ছে দেশের কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, বরিশাল, বাগেরহাট, যশোরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে।
গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্যমতে, শামুক হচ্ছে প্রকৃতির ফিল্টার। বিলের তলদেশে বিচরণ করা এসব শামুক পানি পরিষ্কার করে থাকে। মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী শামুক, জলজ উদ্ভিদ ও লতাগুল্ম খেয়ে বেঁচে থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় শামুক নিধন করা হলে খাদ্যাভাবে মাছ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া শামুক ও জলজ উদ্ভিদ নিধন হলে মাটির ক্যালসিয়াম কমে গিয়ে ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার রুহাই, বিলশা, পিপলা, সিংড়া ও তাড়াশ উপজেলার চলনবিল থেকে জাল দিয়ে বিলের তলদেশ ছেঁকে তোলা হয় শামুক। সংগ্রহ করা এসব শামুক সড়ক সংলগ্ন জায়গায় এনে বস্তায় ভরে তোলা হয় ট্রাকে।
কয়েকজন শামুক সংগ্রহকারী জানান, মই জাল দিয়ে রাতভর তাঁরা শামুক ধরে নৌকায় রাখেন। সকালে বিক্রির জন্য বিলের ঘাটে নিয়ে আসেন। এভাবে দিনে একজন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। শামুক বিক্রির জন্য গুরুদাসপুরের পিপলা হামকুড়িয়া, নাদোসৈয়দপুরসহ বিল এলাকার কমপক্ষে ১০টি জায়গায় গড়ে উঠেছে পাইকারি মোকাম। তাঁদের ভাষ্যমতে, শীতে হাঁসের ডিম বৃদ্ধি ও মাছের বৃদ্ধি (ওজন) বাড়াতে শামুকের চাহিদা অনেক বেশি। বাড়তি উপার্জনের পথ হিসেবে শামুক ধরার পেশাটি বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
হাসেম মৃধা নামে বরিশালের এক হাঁসের খামারি জানান, ১০০ থেকে ১১০ টাকায় এক বস্তা শামুক কিনছেন তাঁরা। যেখানে এক বস্তা হাঁসের খাবার কিনতে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। কিন্তু শামুকে সাশ্রয় বেশি। তা ছাড়া খাদ্য হিসেবে শামুক পেলে বেশি ডিম দিয়ে থাকে হাঁস। মাংস বৃদ্ধি পায়। এ কারণে চলনবিলের শামুক ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জেলায়। ট্রাক ভাড়া বাদ দিয়ে লাভও থাকে ভালো।
গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, কিছু অসচেতন মানুষ না বুঝে শামুক নিধন, বিক্রি ও শামুক ভেঙে জীবিকার পথ বেছে নেন। শামুক কমে যাওয়ার পেছনে প্রজনন মৌসুমে শামুক ধরা ও বিক্রিসহ নানা কারণকে দায়ী করেন তিনি। শামুক রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
চলনবিলের পানি কমতে শুরু করেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিলের তলদেশ থেকে জাল দিয়ে ছেঁকে তোলা হচ্ছে শামুক। শামুকের সঙ্গে উঠে আসছে জলজ উদ্ভিদ ও লতাগুল্ম। এতে করে নষ্ট হচ্ছে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য। কিন্তু শামুক নিধন বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
শামুক আহরণের সঙ্গে জড়িতরা জানান, চলনবিল থেকে আহরণ করা শামুক খামারের হাঁস ও মাছের খাদ্য ছাড়াও চুন তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। স্থানীয় খামারিদের চাহিদা মেটানোর পরও দিনে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক করে শামুক ছড়িয়ে পড়ছে দেশের কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, বরিশাল, বাগেরহাট, যশোরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে।
গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্যমতে, শামুক হচ্ছে প্রকৃতির ফিল্টার। বিলের তলদেশে বিচরণ করা এসব শামুক পানি পরিষ্কার করে থাকে। মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী শামুক, জলজ উদ্ভিদ ও লতাগুল্ম খেয়ে বেঁচে থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় শামুক নিধন করা হলে খাদ্যাভাবে মাছ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া শামুক ও জলজ উদ্ভিদ নিধন হলে মাটির ক্যালসিয়াম কমে গিয়ে ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার রুহাই, বিলশা, পিপলা, সিংড়া ও তাড়াশ উপজেলার চলনবিল থেকে জাল দিয়ে বিলের তলদেশ ছেঁকে তোলা হয় শামুক। সংগ্রহ করা এসব শামুক সড়ক সংলগ্ন জায়গায় এনে বস্তায় ভরে তোলা হয় ট্রাকে।
কয়েকজন শামুক সংগ্রহকারী জানান, মই জাল দিয়ে রাতভর তাঁরা শামুক ধরে নৌকায় রাখেন। সকালে বিক্রির জন্য বিলের ঘাটে নিয়ে আসেন। এভাবে দিনে একজন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। শামুক বিক্রির জন্য গুরুদাসপুরের পিপলা হামকুড়িয়া, নাদোসৈয়দপুরসহ বিল এলাকার কমপক্ষে ১০টি জায়গায় গড়ে উঠেছে পাইকারি মোকাম। তাঁদের ভাষ্যমতে, শীতে হাঁসের ডিম বৃদ্ধি ও মাছের বৃদ্ধি (ওজন) বাড়াতে শামুকের চাহিদা অনেক বেশি। বাড়তি উপার্জনের পথ হিসেবে শামুক ধরার পেশাটি বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
হাসেম মৃধা নামে বরিশালের এক হাঁসের খামারি জানান, ১০০ থেকে ১১০ টাকায় এক বস্তা শামুক কিনছেন তাঁরা। যেখানে এক বস্তা হাঁসের খাবার কিনতে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। কিন্তু শামুকে সাশ্রয় বেশি। তা ছাড়া খাদ্য হিসেবে শামুক পেলে বেশি ডিম দিয়ে থাকে হাঁস। মাংস বৃদ্ধি পায়। এ কারণে চলনবিলের শামুক ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জেলায়। ট্রাক ভাড়া বাদ দিয়ে লাভও থাকে ভালো।
গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, কিছু অসচেতন মানুষ না বুঝে শামুক নিধন, বিক্রি ও শামুক ভেঙে জীবিকার পথ বেছে নেন। শামুক কমে যাওয়ার পেছনে প্রজনন মৌসুমে শামুক ধরা ও বিক্রিসহ নানা কারণকে দায়ী করেন তিনি। শামুক রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪