নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ২২ দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে। লোহার খুঁটিতে ঠেকনা দেওয়া ভবনটির কী করা হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিককে ভবনটি বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কিন্তু ভবনের দুই মালিক কারাগারে থাকায় রাজউকের সেই পরামর্শ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পুরান ঢাকার ব্যস্ত এই এলাকার এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি নিয়ে আতঙ্কিত আশপাশের লোকজন।
গতকাল সোমবার বিকেলে সিদ্দিকবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি রাজউক যেভাবে লোহার খুঁটি দিয়ে ঠেক দিয়ে রেখেছে, ঠিক সেভাবেই আছে এখনো। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের চারপাশের দোকানপাট নিয়মিত খুলছে। সেখানকার মানুষের মনে আতঙ্ক থাকলেও বাস্তবতা মেনে সবাই কাজ করছে এখন।
বিস্ফোরিত ভবনের পাশের ভবন কাদের ম্যানসন। সাততলা এই ভবনের নিচতলার দোকান ‘জননী স্যানিটারি’-এর কর্মচারী সুমন বলেন, ‘এখানে চাকরি করি, ভয় করলেও দোকান খুলতে হয়। সবাই বলতেছে এখন আর ভবন ধসে পড়বে না, ঠেকনা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি নিয়ে কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছে রাজউক। রাজউকের অথরাইজড অফিসার ও প্রকৌশলী রংগন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের (রাজউক) পক্ষ থেকে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে মালিককে কোনো বেসরকারি বা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দিয়ে ভবনটি পরিদর্শন করিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারাই বলবে ভবনটির কী করতে হবে। এরপর আমরা সেই প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেব। এখন আমাদের আর কিছু করার নেই।’
তবে মালিকেরা কারাগারে থাকায় রাজউকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভবনের সংস্কারকাজ শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁদের স্বজনেরা। ভবনটির মালিকের স্বজন আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজউক যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটি যাঁরা ফলো করবেন, তাঁরাই তো কারাগারে। তাই ভবন এভাবেই পড়ে আছে।
উল্লেখ্য, ৭ মার্চ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানের বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন্স স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, এখনো দুজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।
সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বংশাল থানায় দুটি মামলা করেছে। একটি অপমৃত্যুর মামলা, অন্যটিতে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। অপমৃত্যুর মামলাটি বংশাল থানার পুলিশ এবং অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তদন্ত করছে।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপমৃত্যুর মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। তবে অবহেলাজনিত মামলাটি সিটিটিসি তদন্ত করছে। সবকিছুই তারা খতিয়ে দেখবেন।
মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ জনে সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় গত রোববার মো. হাসান (৩২) নামের আরেক দগ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে।
নিহত মো. হাসানের শ্যালক জামাল হোসেন জানান, হাসানের বাবার নাম আবু আহমেদ সিদ্দিকী। তাঁদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে। হাসান সিদ্দিকবাজার ফুটপাতে স্কুলব্যাগের ব্যবসা করতেন। তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার, দুই ছেলে ও এক মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকত।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এম আইউব হোসেন জানান, এখনো দগ্ধ আরও দুজন বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ২২ দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে। লোহার খুঁটিতে ঠেকনা দেওয়া ভবনটির কী করা হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিককে ভবনটি বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কিন্তু ভবনের দুই মালিক কারাগারে থাকায় রাজউকের সেই পরামর্শ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পুরান ঢাকার ব্যস্ত এই এলাকার এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি নিয়ে আতঙ্কিত আশপাশের লোকজন।
গতকাল সোমবার বিকেলে সিদ্দিকবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি রাজউক যেভাবে লোহার খুঁটি দিয়ে ঠেক দিয়ে রেখেছে, ঠিক সেভাবেই আছে এখনো। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের চারপাশের দোকানপাট নিয়মিত খুলছে। সেখানকার মানুষের মনে আতঙ্ক থাকলেও বাস্তবতা মেনে সবাই কাজ করছে এখন।
বিস্ফোরিত ভবনের পাশের ভবন কাদের ম্যানসন। সাততলা এই ভবনের নিচতলার দোকান ‘জননী স্যানিটারি’-এর কর্মচারী সুমন বলেন, ‘এখানে চাকরি করি, ভয় করলেও দোকান খুলতে হয়। সবাই বলতেছে এখন আর ভবন ধসে পড়বে না, ঠেকনা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি নিয়ে কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছে রাজউক। রাজউকের অথরাইজড অফিসার ও প্রকৌশলী রংগন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের (রাজউক) পক্ষ থেকে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে মালিককে কোনো বেসরকারি বা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দিয়ে ভবনটি পরিদর্শন করিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারাই বলবে ভবনটির কী করতে হবে। এরপর আমরা সেই প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেব। এখন আমাদের আর কিছু করার নেই।’
তবে মালিকেরা কারাগারে থাকায় রাজউকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভবনের সংস্কারকাজ শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁদের স্বজনেরা। ভবনটির মালিকের স্বজন আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজউক যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটি যাঁরা ফলো করবেন, তাঁরাই তো কারাগারে। তাই ভবন এভাবেই পড়ে আছে।
উল্লেখ্য, ৭ মার্চ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানের বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন্স স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা অনেকটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, এখনো দুজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।
সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বংশাল থানায় দুটি মামলা করেছে। একটি অপমৃত্যুর মামলা, অন্যটিতে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। অপমৃত্যুর মামলাটি বংশাল থানার পুলিশ এবং অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তদন্ত করছে।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপমৃত্যুর মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। তবে অবহেলাজনিত মামলাটি সিটিটিসি তদন্ত করছে। সবকিছুই তারা খতিয়ে দেখবেন।
মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ জনে সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় গত রোববার মো. হাসান (৩২) নামের আরেক দগ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে।
নিহত মো. হাসানের শ্যালক জামাল হোসেন জানান, হাসানের বাবার নাম আবু আহমেদ সিদ্দিকী। তাঁদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে। হাসান সিদ্দিকবাজার ফুটপাতে স্কুলব্যাগের ব্যবসা করতেন। তাঁর স্ত্রী শাহীন আক্তার, দুই ছেলে ও এক মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকত।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এম আইউব হোসেন জানান, এখনো দগ্ধ আরও দুজন বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪