মাহমুদুন নবী সায়মন
কিশোরগঞ্জ সদরের ছেলে মাহমুদুন নবী সায়মন। উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে পাড়ি জমিয়েছেন সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের কার্বনডেল শহরে। সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি থেকে স্কলারশিপ পেয়ে পিএইচডি করছেন বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ে। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে এ দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষাবিষয়ক তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
দেশ বাছাই
উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দেশ বাছাই করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। সবার আগে জানতে হবে ফান্ডিং বা স্কলারশিপের সুযোগ সম্পর্কে। দ্বিতীয়ত, গবেষণা ও কাজের সুযোগ-সুবিধার মতো বিষয়গুলোর ওপর পরিষ্কার ধারণা রাখা খুব জরুরি। তুলনামূলকভাবে যেটি সব দিক থেকেই অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে বিরাজমান। এ দুটো বিষয় মাথায় রেখে যেমন আমার উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো একটি অপশন মনে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আইইএলটিএস ও উচ্চশিক্ষা প্রস্তুতি
ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে আসার সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট দেওয়ার নিয়ম খুব জোরালো। এর মধ্যে আইএলটিএস, টোফেল সব জায়গায় গ্রহণযোগ্য। এ ছাড়া ডুয়োলিঙ্গো, আইটেপ নামেও কিছু পরীক্ষা আছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা যাচাই করতে পারে নিজের ইংরেজি দক্ষতা। তবে অনলাইন ভীতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য পেপার বেজড আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। বাসায় বসে মোটামুটি দেড় থেকে দুই মাস প্রস্তুতির মধ্য দিয়েই ভালো একটি ফলাফল অর্জন সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের মোটামুটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সর্বনিম্ন আইইএলটিএস স্কোরের চাহিদা রয়েছে ৬.৫, আর টোফেলের ক্ষেত্রে সেটি ৮০; অর্জনে যা খুব বেশি বেগ পোহাতে হয় না শিক্ষার্থীদের।
আবেদনের প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য সবার আগে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্ট, জিয়ারি স্কোর, আইইএলটিএস/ডুয়োলিঙ্গো/টোফেল-পরীক্ষার ফলাফল, জীবনবৃত্তান্ত, লেটার অব রিকোমেন্ডেশন (এলওআর), স্টেটমেন্ট অব পারপাসসহ (এসওপি) গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো হাতে রাখা আবশ্যক। ডকুমেন্টস গোছানোর কাজ শেষে পছন্দসই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার নিয়ম। এরপর চাহিদামতো সেসব
ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করার মধ্য দিয়ে শেষ করতে হবে আবেদনের প্রক্রিয়া।
ভর্তির সময়
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়তে আসে ফল সেমিস্টারে। সচরাচর এ সময়ে ফান্ডিংসহ কাজের সুযোগ বেশি। ফল সেমিস্টার টার্গেট করেই আবেদন করা উচিত। বছরের আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সুযোগ থাকে পরের বছরের ফল সেমিস্টারের জন্য আবেদন করার। এ ছাড়া স্প্রিং ও সামার সিজনেও আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
ভর্তির সুযোগ
যুক্তরাষ্ট্রে ভর্তির প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় মূলত হলিস্টিক কায়দায়। নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর নজর দেওয়ার বদলে সামগ্রিক প্রোফাইল বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ ও ফান্ডিং দেয় কর্তৃপক্ষ। কাজেই ঘাবড়ে যাওয়ার দরকার নেই। একদিকে সামান্য খারাপ বা সমস্যা মনে হলেও, সামগ্রিকতার বিচারে সমান সুযোগ রয়েছে ওই শিক্ষার্থীদের জন্যও।
স্কলারশিপ বা ফান্ডিং
নিজের অর্থায়নে পড়াশোনা বেশ ব্যয়বহুল যুক্তরাষ্ট্রে। স্বাভাবিকভাবেই এ দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ বা অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ, টিউশন ফি ওয়েভ খুব গুরুত্বপূর্ণ। টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (টিএ), রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট (আরএ) ও গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট (জিএ)—সচরাচর এ তিনটি প্রক্রিয়ায় অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ দিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ। টিউশন ফি ওয়েভ থাকার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের বেতন দিয়ে মানসম্পন্নভাবে খরচ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব একজন শিক্ষার্থীর।
কাজের সুযোগ
এফ ১ (F1) নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারী শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সুযোগ থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা সেই কাজের সুযোগ দেবে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আর কোনো কাজের সুযোগ নেই সেই শিক্ষার্থীদের। তবে অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা চাইলে বিভিন্ন জব ফেয়ার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে কাজের জন্য আবেদন করতে সক্ষম।
মাহমুদুন নবী সায়মন, পিএইচডি শিক্ষার্থী, সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
অনুলিখন: মুনতাসির সিয়াম
কিশোরগঞ্জ সদরের ছেলে মাহমুদুন নবী সায়মন। উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে পাড়ি জমিয়েছেন সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের কার্বনডেল শহরে। সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি থেকে স্কলারশিপ পেয়ে পিএইচডি করছেন বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ে। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে এ দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষাবিষয়ক তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
দেশ বাছাই
উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দেশ বাছাই করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। সবার আগে জানতে হবে ফান্ডিং বা স্কলারশিপের সুযোগ সম্পর্কে। দ্বিতীয়ত, গবেষণা ও কাজের সুযোগ-সুবিধার মতো বিষয়গুলোর ওপর পরিষ্কার ধারণা রাখা খুব জরুরি। তুলনামূলকভাবে যেটি সব দিক থেকেই অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে বিরাজমান। এ দুটো বিষয় মাথায় রেখে যেমন আমার উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো একটি অপশন মনে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আইইএলটিএস ও উচ্চশিক্ষা প্রস্তুতি
ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে আসার সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট দেওয়ার নিয়ম খুব জোরালো। এর মধ্যে আইএলটিএস, টোফেল সব জায়গায় গ্রহণযোগ্য। এ ছাড়া ডুয়োলিঙ্গো, আইটেপ নামেও কিছু পরীক্ষা আছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা যাচাই করতে পারে নিজের ইংরেজি দক্ষতা। তবে অনলাইন ভীতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য পেপার বেজড আইইএলটিএস পরীক্ষা দেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। বাসায় বসে মোটামুটি দেড় থেকে দুই মাস প্রস্তুতির মধ্য দিয়েই ভালো একটি ফলাফল অর্জন সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের মোটামুটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সর্বনিম্ন আইইএলটিএস স্কোরের চাহিদা রয়েছে ৬.৫, আর টোফেলের ক্ষেত্রে সেটি ৮০; অর্জনে যা খুব বেশি বেগ পোহাতে হয় না শিক্ষার্থীদের।
আবেদনের প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য সবার আগে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্ট, জিয়ারি স্কোর, আইইএলটিএস/ডুয়োলিঙ্গো/টোফেল-পরীক্ষার ফলাফল, জীবনবৃত্তান্ত, লেটার অব রিকোমেন্ডেশন (এলওআর), স্টেটমেন্ট অব পারপাসসহ (এসওপি) গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো হাতে রাখা আবশ্যক। ডকুমেন্টস গোছানোর কাজ শেষে পছন্দসই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার নিয়ম। এরপর চাহিদামতো সেসব
ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করার মধ্য দিয়ে শেষ করতে হবে আবেদনের প্রক্রিয়া।
ভর্তির সময়
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়তে আসে ফল সেমিস্টারে। সচরাচর এ সময়ে ফান্ডিংসহ কাজের সুযোগ বেশি। ফল সেমিস্টার টার্গেট করেই আবেদন করা উচিত। বছরের আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সুযোগ থাকে পরের বছরের ফল সেমিস্টারের জন্য আবেদন করার। এ ছাড়া স্প্রিং ও সামার সিজনেও আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
ভর্তির সুযোগ
যুক্তরাষ্ট্রে ভর্তির প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় মূলত হলিস্টিক কায়দায়। নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর নজর দেওয়ার বদলে সামগ্রিক প্রোফাইল বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ ও ফান্ডিং দেয় কর্তৃপক্ষ। কাজেই ঘাবড়ে যাওয়ার দরকার নেই। একদিকে সামান্য খারাপ বা সমস্যা মনে হলেও, সামগ্রিকতার বিচারে সমান সুযোগ রয়েছে ওই শিক্ষার্থীদের জন্যও।
স্কলারশিপ বা ফান্ডিং
নিজের অর্থায়নে পড়াশোনা বেশ ব্যয়বহুল যুক্তরাষ্ট্রে। স্বাভাবিকভাবেই এ দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ বা অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ, টিউশন ফি ওয়েভ খুব গুরুত্বপূর্ণ। টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (টিএ), রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট (আরএ) ও গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট (জিএ)—সচরাচর এ তিনটি প্রক্রিয়ায় অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ দিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ। টিউশন ফি ওয়েভ থাকার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের বেতন দিয়ে মানসম্পন্নভাবে খরচ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব একজন শিক্ষার্থীর।
কাজের সুযোগ
এফ ১ (F1) নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারী শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সুযোগ থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা সেই কাজের সুযোগ দেবে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আর কোনো কাজের সুযোগ নেই সেই শিক্ষার্থীদের। তবে অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা চাইলে বিভিন্ন জব ফেয়ার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে কাজের জন্য আবেদন করতে সক্ষম।
মাহমুদুন নবী সায়মন, পিএইচডি শিক্ষার্থী, সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
অনুলিখন: মুনতাসির সিয়াম
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫