চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর ও শিবগঞ্জে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চলে প্রায় ২৫ মিনিট ধরে। এতে বিপাকে পড়েন পথচারীরা। এদিকে শিলাবৃষ্টিতে ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে আমের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা বাগানমালিকদের। তাঁদের দাবি, এই ঝড়ে ১৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে।
জানা গেছে, জেলা শহরে ও শ্যামপুর, মনাকষা, দলর্ভপুর, কানসাট, চৌডালা, বিনোদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে সদর উপজেলা ও শিবগঞ্জ উপজেলা ছাড়া অন্য কোথাও শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছর ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন এবং তার আগের বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বোরো মৌসুমে ৫০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৮৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
শিবগঞ্জের নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন বিরামপুরের আমচাষি জিয়াউর রহমান বলেন, গত রোববার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ২০-২৫ মিনিট ধরে তা চলে। এতে ছোট আমের গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক আম ঝরে পড়েছে। অনেক আমে দাগ পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাই-মহেশপুর গ্রামের আমচাষি দুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে দাবদাহ চলছে। এ সময় একটু বৃষ্টির দরকার ছিল। গত রোববারের বৃষ্টি ছিল আমের গুটির জন্য খুবই উপযোগী। কারণ, বৃষ্টির পানি পেয়ে আমের গুটি এখন দ্রুত বাড়বে। তবে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক আম ঝরে পড়েছে।
কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের পুরোপুরি এখনো ফলন হয়নি। তাই খুব বেশি ক্ষতি না হলেও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে ধানগাছ। এতে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হবে। এমনকি ফলন কমে যাবে। তবে বৃষ্টির পানি এই মুহূর্তে ধান চাষের জন্য ভালোই হয়েছে।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল খান শামিম বলেন, হঠাৎ শিলাবৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও শিলাবৃষ্টির আকার খুব বড় নয়, কিন্তু আমের গুটিগুলো এখনো বড় হয়নি। তাই বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাঁর দাবি, এবার গাছে ৫০ শতাংশ আম ধরেছে। গত রোববারের ঝড়ে এর ১৫-২০ শতাংশ আম ঝরে গেছে। এতে অসংখ্য আমচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রায় সব এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ধান ও আমের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা রিপোর্ট দিলে বিস্তারিত জানানো হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় ২০ মিলিমিটার করে ও নাচোল উপজেলায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টির পানি রেকর্ড করা হয়েছে। গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় বৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টি হয়নি। এদিকে শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলায় অনেক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আমের পাশাপাশি এই বৃষ্টির পানি ধানের জন্যও উপকারী। তবে বৃষ্টির পাশাপাশি হওয়া শিলাবৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় ধান ও আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর ও শিবগঞ্জে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চলে প্রায় ২৫ মিনিট ধরে। এতে বিপাকে পড়েন পথচারীরা। এদিকে শিলাবৃষ্টিতে ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে আমের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা বাগানমালিকদের। তাঁদের দাবি, এই ঝড়ে ১৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে।
জানা গেছে, জেলা শহরে ও শ্যামপুর, মনাকষা, দলর্ভপুর, কানসাট, চৌডালা, বিনোদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে সদর উপজেলা ও শিবগঞ্জ উপজেলা ছাড়া অন্য কোথাও শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছর ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন এবং তার আগের বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বোরো মৌসুমে ৫০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৮৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
শিবগঞ্জের নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন বিরামপুরের আমচাষি জিয়াউর রহমান বলেন, গত রোববার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ২০-২৫ মিনিট ধরে তা চলে। এতে ছোট আমের গুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক আম ঝরে পড়েছে। অনেক আমে দাগ পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাই-মহেশপুর গ্রামের আমচাষি দুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে দাবদাহ চলছে। এ সময় একটু বৃষ্টির দরকার ছিল। গত রোববারের বৃষ্টি ছিল আমের গুটির জন্য খুবই উপযোগী। কারণ, বৃষ্টির পানি পেয়ে আমের গুটি এখন দ্রুত বাড়বে। তবে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক আম ঝরে পড়েছে।
কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের পুরোপুরি এখনো ফলন হয়নি। তাই খুব বেশি ক্ষতি না হলেও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে ধানগাছ। এতে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হবে। এমনকি ফলন কমে যাবে। তবে বৃষ্টির পানি এই মুহূর্তে ধান চাষের জন্য ভালোই হয়েছে।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল খান শামিম বলেন, হঠাৎ শিলাবৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও শিলাবৃষ্টির আকার খুব বড় নয়, কিন্তু আমের গুটিগুলো এখনো বড় হয়নি। তাই বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাঁর দাবি, এবার গাছে ৫০ শতাংশ আম ধরেছে। গত রোববারের ঝড়ে এর ১৫-২০ শতাংশ আম ঝরে গেছে। এতে অসংখ্য আমচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রায় সব এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ধান ও আমের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা রিপোর্ট দিলে বিস্তারিত জানানো হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় ২০ মিলিমিটার করে ও নাচোল উপজেলায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টির পানি রেকর্ড করা হয়েছে। গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় বৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টি হয়নি। এদিকে শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলায় অনেক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আমের পাশাপাশি এই বৃষ্টির পানি ধানের জন্যও উপকারী। তবে বৃষ্টির পাশাপাশি হওয়া শিলাবৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় ধান ও আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪