আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রশাসন শাখার পাঁচজন নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক (এলডিএ) মৌখিক আদেশে কাজ করছেন স্পর্শকাতর নিরাপত্তা (সিকিউরিটি) শাখায়। তাঁদের কারও নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেই বলে জানা গেছে।
এদিকে অন্য শাখার জনবল দিয়ে স্পর্শকাতর শাখায় কাজ করানো নিয়ে কর্মচারীদের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশাসন শাখার ওই ৫ কর্মচারী হলেন শাহনাজ পারভিন, আব্দুল হান্নান, জাহেদুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন ও আকরাম খান।
বিমানবন্দরের প্রশাসন শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কায়সার এম মোহায়মেন আজকের পত্রিকার কাছে এই পাঁচজন কেরানি নিরাপত্তা শাখায় কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কায়সার এম মোহায়মেন বলেন, ‘পাঁচজন কেরানি অন্য শাখায় কাজ করায় প্রশাসন শাখার কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এখন প্রশাসন শাখার কাজে দুজন এলডি ও দুজন ইউডি কেরানি রয়েছে।’
ওই ৫ কেরানির মতো দীপংকর চৌধুরী নামের একজন বিমানবন্দরটির ফায়ার অপারেটর হিসেবে স্থায়ী পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এখন কর্মরত আছেন নিরাপত্তা শাখায়। একইভাবে মোটর ট্রান্সপোর্ট শাখার শিডিউল কর্মচারী মেশকাত হোসেন, মোটর ট্রান্সপোর্ট (এমটি) শাখার সহকারী মেকানিক সালাউদ্দিনও নিরাপত্তা শাখায় কাজ করছেন। সিভিল শাখার চেইনম্যান আবু তালেবও নিরাপত্তা শাখার অধীনে কাজ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জের অ্যাটেনডেন্টকে (এলআরএ) নির্ধারিত পদে দায়িত্ব না দিয়ে মালি ফরহাদ হোসেনকে লাউঞ্জ রুম অ্যাটেনডেন্ট (এলআরএ) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। লাউঞ্জ রুম অ্যাটেনডেন্ট (এলআরএ) আলতাফ হোসেন ও মো. রেজাউল কবির রুবেল হোসেনকে লাউঞ্জের নির্ধারিত পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, নিরাপত্তা শাখায় কাজ করা কেরানিদের কারও নিরাপত্তা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেই। যদিও তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশনের ঢাকার কুর্মিটোলায় নিজস্ব প্রশিক্ষণ একাডেমি রয়েছে।
অন্য শাখার জনবল আরেক স্পর্শকাতর শাখায় কাজ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে চুরি ও বৈদেশিক যাত্রীদের স্বর্ণ চোরাচালানের হার বেড়ে যাওয়ায়।
নাম প্রকাশ না করে বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেশির ভাগই নিরাপত্তা শাখায় কাজ করতে আগ্রহী। এখানে বিভিন্নভাবে উপরি আয়ের সুযোগ রয়েছে। ফলে নিরাপত্তা শাখার অনেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আনসার, আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন), ফাঁড়ি পুলিশ, সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিজস্ব নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় পাঁচ শ নিরাপত্তাকর্মী এখানে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন ১৭০ জন। আনসার সদস্য রয়েছেন ২০০ জন। তাঁদের জন্য মাসে ব্যয় হয় প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। এপিবিএনের সদস্য রয়েছেন ১০০ জন। এ ছাড়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখায় অতিরিক্ত দায়িত্ব (ওভার টাইম) পালন বাবদ খরচ হয় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক (অ্যাপসেক) মো. নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ প্রশাসন শাখার কেরানিসহ অন্য শাখার জনবল নিরাপত্তা শাখায় কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাসনিম আহমেদ বলেন, তাঁদের (কেরানি) নিরাপত্তা শাখায় কাজ করার ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাঁদের নিজ শাখায় ফেরত পাঠানো হবে।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রশাসন শাখার পাঁচজন নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক (এলডিএ) মৌখিক আদেশে কাজ করছেন স্পর্শকাতর নিরাপত্তা (সিকিউরিটি) শাখায়। তাঁদের কারও নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেই বলে জানা গেছে।
এদিকে অন্য শাখার জনবল দিয়ে স্পর্শকাতর শাখায় কাজ করানো নিয়ে কর্মচারীদের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশাসন শাখার ওই ৫ কর্মচারী হলেন শাহনাজ পারভিন, আব্দুল হান্নান, জাহেদুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন ও আকরাম খান।
বিমানবন্দরের প্রশাসন শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কায়সার এম মোহায়মেন আজকের পত্রিকার কাছে এই পাঁচজন কেরানি নিরাপত্তা শাখায় কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কায়সার এম মোহায়মেন বলেন, ‘পাঁচজন কেরানি অন্য শাখায় কাজ করায় প্রশাসন শাখার কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এখন প্রশাসন শাখার কাজে দুজন এলডি ও দুজন ইউডি কেরানি রয়েছে।’
ওই ৫ কেরানির মতো দীপংকর চৌধুরী নামের একজন বিমানবন্দরটির ফায়ার অপারেটর হিসেবে স্থায়ী পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এখন কর্মরত আছেন নিরাপত্তা শাখায়। একইভাবে মোটর ট্রান্সপোর্ট শাখার শিডিউল কর্মচারী মেশকাত হোসেন, মোটর ট্রান্সপোর্ট (এমটি) শাখার সহকারী মেকানিক সালাউদ্দিনও নিরাপত্তা শাখায় কাজ করছেন। সিভিল শাখার চেইনম্যান আবু তালেবও নিরাপত্তা শাখার অধীনে কাজ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জের অ্যাটেনডেন্টকে (এলআরএ) নির্ধারিত পদে দায়িত্ব না দিয়ে মালি ফরহাদ হোসেনকে লাউঞ্জ রুম অ্যাটেনডেন্ট (এলআরএ) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। লাউঞ্জ রুম অ্যাটেনডেন্ট (এলআরএ) আলতাফ হোসেন ও মো. রেজাউল কবির রুবেল হোসেনকে লাউঞ্জের নির্ধারিত পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, নিরাপত্তা শাখায় কাজ করা কেরানিদের কারও নিরাপত্তা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেই। যদিও তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশনের ঢাকার কুর্মিটোলায় নিজস্ব প্রশিক্ষণ একাডেমি রয়েছে।
অন্য শাখার জনবল আরেক স্পর্শকাতর শাখায় কাজ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে চুরি ও বৈদেশিক যাত্রীদের স্বর্ণ চোরাচালানের হার বেড়ে যাওয়ায়।
নাম প্রকাশ না করে বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেশির ভাগই নিরাপত্তা শাখায় কাজ করতে আগ্রহী। এখানে বিভিন্নভাবে উপরি আয়ের সুযোগ রয়েছে। ফলে নিরাপত্তা শাখার অনেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আনসার, আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন), ফাঁড়ি পুলিশ, সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিজস্ব নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় পাঁচ শ নিরাপত্তাকর্মী এখানে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন ১৭০ জন। আনসার সদস্য রয়েছেন ২০০ জন। তাঁদের জন্য মাসে ব্যয় হয় প্রায় ৩৬ লাখ টাকা। এপিবিএনের সদস্য রয়েছেন ১০০ জন। এ ছাড়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখায় অতিরিক্ত দায়িত্ব (ওভার টাইম) পালন বাবদ খরচ হয় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক (অ্যাপসেক) মো. নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ প্রশাসন শাখার কেরানিসহ অন্য শাখার জনবল নিরাপত্তা শাখায় কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাসনিম আহমেদ বলেন, তাঁদের (কেরানি) নিরাপত্তা শাখায় কাজ করার ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাঁদের নিজ শাখায় ফেরত পাঠানো হবে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫