Ajker Patrika

নোটিশের দেড় বছর পরেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২২, ১৪: ০০
নোটিশের দেড় বছর পরেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

নরসিংদীর পলাশে সরকারি খাসজমি বিক্রি করেছেন শামসুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বালুচরপাড়া গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলকে ম্যানেজ করে প্রতি শতাংশ জমি এক লাখ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। সরকারি এসব খাসজমির অবৈধ দখল সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে সে নোটিশের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও খাসজমি বিক্রেতার বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি জমিগুলো দখলদারমুক্ত হয়নি।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লাখ টাকা দরে এসব খাসজমি বিক্রি করেছেন শামসুদ্দিন নামের ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যে বাবুল মিয়া, নূর মিয়া, মর্জিনা বেগম, মনোয়ারা বেগম, মিন্নত আলী, শাহজাহান মিয়া ও স্বপন মিয়ার কাছে সাড়ে ২২ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন শামসুদ্দিন। এঁদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ।

বালুচরপাড়া গ্রামের রুহুল মিয়া নামে এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘একসময় এসব জমির চারপাশে সরকারিভাবে লাল নিশান দেওয়া ছিল। কিন্তু সরকারিভাবে কোনো তদারকি না থাকায় ও শামসুদ্দিনের বাড়ির পাশে হওয়ায় ধীরে ধীরে জমিগুলো সে দখলে নেয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে হাত করে জমিগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। যে কারণে কেউ বাধা দিতেও সাহস পান না।’

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পলাশ মৌজায় ‘টেক’ শ্রেণির সরকারি খাসজমির পরিমাণ ২৯ শতাংশ। যার বর্তমান বাজারমূল্যে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।

এদিকে এসব খাসজমির অবৈধ দখলমুক্ত করতে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) চৌধুরী আশরাফুল করিম স্বাক্ষরিত গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বরের একটি নোটিশে জানানো হয়, নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধ দখলদারেরা নিজে থেকে জায়গা দখলমুক্ত না করলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। সেই সঙ্গে খাসজমিতে গড়ে তোলা যাবতীয় গৃহ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

এদিকে খাসজমি দখলমুক্ত করতে নোটিশ দিলেও এখনো জমি বিক্রি করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

খাসজমি ক্রেতা নূর মিয়া ও মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘শামসুদ্দিন আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি স্ট্যাম্পের মাঝে নিজের জোত জমির দাগ উল্লেখ করলেও আমাদের দখল বুঝিয়ে দিয়েছে সরকারি খাসজমি। আমরা অধিকাংশ ক্রেতাই নিম্ন আয়ের মানুষ। স্থানীয় প্রশাসন আমাদের জমি দখলমুক্ত করতে নোটিশ দিলেও প্রতারক শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

এ বিষয়ে শামসুদ্দিনের সঙ্গে সরাসরি ও মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা আফসানা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

চোখের সামনে খামেনির অন্তরঙ্গ মহল ফাঁকা করে দিচ্ছে ইসরায়েল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত