Ajker Patrika

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে বিক্ষোভ

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ১৮
Thumbnail image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মতিনের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের খাককান্দা বাজার, আশ্রবাদ মাঠামারা বাজার ও শেখ হাসিনা ওয়াই সেতু এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়। এ সময় আবদুল মতিনকে রাজাকারের ছেলে হিসেবে উল্লেখ করাসহ তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউপির মধ্যে ১১টিতে আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে নির্বাচন হবে। গত মঙ্গলবার এসব ইউপিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। ছলিমাবাদ ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণার প্রতিবাদে গত বুধবার বিকেলে খাককান্দি বাজারে বিক্ষোভ করেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মতিনের মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবিতে জানান। একই দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন তাঁরা।

এ সময় বক্তারা দাবি করেন আবদুল মতিনের বাবা সমন্দর মিয়া রাজাকার ছিলেন। অথচ তাঁকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি বিগত সময়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় টাকা ছাড়া কোনো কাজই করেননি বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী জালাল মিয়া অভিযোগ করেন, ‘ছলিমাবাদে আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাই কাউন্সিলে আমি ১৩২ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছি। আবদুল মতিন দ্বিতীয় হয়েছেন। তা-ও তিনি মনোনয়ন পেলেন। মতিনের বাবা একজন যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার ছিলেন। তাই এলাকাবাসী তাঁর মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন।’

ছলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘আমার মৃত বাবার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে। আমার বাবা যদি রাজাকারই হয়ে থাকে তাহলে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেননি কেন? আর গত ইউপি নির্বাচনেই আমাকে কেন নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’ টাকা ছাড়া কাজ না করার প্রসঙ্গে মতিন বলেন, ‘মানুষ যা ইচ্ছা তা বলতে পারেন। তাঁদের মুখ তো আর আটকাতে পারব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত