Ajker Patrika

বদলাচ্ছে আফগান পরিস্থিতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৩১
বদলাচ্ছে আফগান পরিস্থিতি

চলতি বছরের মধ্য আগস্টে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণকারী তালেবানদের নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সংশয় এখনো কাটেনি। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং প্রতিবেশী ভারত তালেবানের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ গড়ে তুলছে, যা ১৯৯৬-২০০১ সালের তালেবান সরকার সঙ্গে বড় তফাত।

ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, গত মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দুই দিনব্যাপী এক আলোচনা শেষ হয়েছে। তালেবানের পক্ষে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আফগানবিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত থমাস ওয়েস্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহার করা না হলেও আফগান জনগণের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রাপ্তির সব বিষয় নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, তালেবান ইতিপূর্বে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেগুলো বাস্তবায়ন চায়। আফগানিস্তানের মাটি থেকে সব ধরনের সন্ত্রাসী হুমকির অবসান, আফগানিস্তানে অবস্থানরত সব মার্কিন নাগরিকের নিরাপত্তা, নারী-মেয়ে এবং সংখ্যালঘুসহ সাধারণ আফগান নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা চায় যুক্তরাষ্ট্র।

নিজেদের বিবৃতিতে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আমাদের মধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং মানবিক ইস্যু নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে আটকে থাকা আফগানিস্তানের প্রায় সাড়ে নয় শ কোটি ডলারের রিজার্ভ দ্রুত তালেবান সরকারের হাতে হস্তান্তর ও যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে, আমাদের নেতাদের কালো তালিকা থেকে বাদ দিতে এবং মানবিক ইস্যুকে রাজনীতি থেকে আলাদা করতে আহ্বান জানিয়েছি।

এদিকে, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠাতে পাকিস্তানের কর্তাপুর করিডর ব্যবহারের জন্য ইসলামাবাদকে সম্প্রতি অনুরোধ করে দিল্লি। এতে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয় ইসলামাবাদ। অর্থাৎ তালেবান নিয়ে দিল্লির মনোভাবে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, যা নজিরবিহীন মন্তব্য করে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে।

অন্যদিকে, জাতিসংঘে আফগানিস্তান এবং মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত সরকার এবং তালেবান ও জান্তার নতুন প্রস্তাবিত প্রতিনিধিদের মধ্যে কারা স্বীকৃতি পাবে, তা নিয়ে গতকাল সিদ্ধান্ত হওয়ার থাকলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে কোনো খবর পাওয়া যায়নি। জাতিসংঘের নয় সদস্যের কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যাঁরা স্বীকৃতি পাবেন তাঁরা দেশ দুটির প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত