Ajker Patrika

দর্শকে মুগ্ধ চন্দ্রবিন্দু, রূপমের পায়ে গুরুতর আঘাত

দর্শকে মুগ্ধ চন্দ্রবিন্দু, রূপমের পায়ে গুরুতর আঘাত

বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে ৮ ডিসেম্বরের রাতটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যাঁরা ওই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হাজির ছিলেন, তাঁরা দেখেছেন, কী এক আশ্চর্য মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল সেদিন। পশ্চিমবঙ্গের দুই জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’ ও ‘ফসিল্‌স’ গাইতে এসেছিল ঢাকায়। বিভিন্ন সময়ে তারা বাংলাদেশে এলেও এ দেশে এমন উন্মুক্ত কনসার্টে গাওয়ার সুযোগ আগে হয়নি। ফলে কনসার্টটি নিয়ে উৎসাহী ছিল দুই ব্যান্ড।

‘ওয়ারফেজ’, ‘আভাস’ ও মেহরীন মাহমুদের পারফরম্যান্সের পর রাত ১১টার দিকে মঞ্চে আসে কলকাতার চন্দ্রবিন্দু। ‘অন্য কোথাও চল’ গান দিয়ে শুরু হয় তাদের পরিবেশনা। প্রায় এক ঘণ্টার পারফরম্যান্সে চন্দ্রবিন্দু শুনিয়েছে ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’, ‘ভিনদেশি তারা’, ‘দুধ না খেলে’, ‘সুইটহার্ট’, ‘এইটা তোমার গান’, ‘বন্ধু চল’, ‘আমাকে রোগা বলো না’ ও ‘বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব’। ভিনদেশি তারা গানের একটি ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে অনিন্দ্য-উপলের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন কনসার্টের প্রায় ৫০ হাজার দর্শক। এ কনসার্ট নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, আলোচনা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের মধ্যেও। শিলাজিৎসহ একাধিক শিল্পী সেই ক্লিপ শেয়ার করে বাংলাদেশে গাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের গায়ক উপল সেনগুপ্ত বলেন, ‘প্রায় ১১ বছর পর বাংলাদেশে গিয়েছি। আগে খুব লিমিটেড অডিয়েন্সের সামনে অনুষ্ঠান করেছি। এত বিপুল পরিমাণ অডিয়েন্সের সামনে এবারই প্রথম। চোখের সামনে শুধু মানুষে ঠাসা দেখেছি। ওরা যে এত আবেগপ্রবণ, সেটা ভাবতেও পারিনি। আমাদের গান যে বাংলাদেশে জনপ্রিয়, সেটা জানতাম, কিন্তু এমন দৃশ্য কল্পনা করা যায় না। সবাই একসঙ্গে গাইছে। আগে একবার দেখেছিলাম, অন্য একটি ব্যান্ড ভিনদেশি তারা গাইছে, তাদের সঙ্গে সবাই গাইছে। কিন্তু নিজেদের গানে এত মানুষ আমাদের সঙ্গেই গলা মেলাচ্ছেন, এটা সত্যিই অনবদ্য অভিজ্ঞতা।’

ফসিল্স ব্যান্ডের রূপমচন্দ্রবিন্দু বিদায় নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে মঞ্চে আসে ব্যান্ড ফসিল্‌স। রাত প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত কথায়, গানে আচ্ছন্ন করে রাখেন ফসিলসের গায়ক রূপম ইসলাম। তিনি স্মরণ করেন আইয়ুব বাচ্চুকে। বাংলা রকের হাত ধরে তাঁর এত দূর আসার পেছনে বাচ্চু, জেমস, মাকসুদের যে কতটা অবদান, জানাতে ভোলেননি সেটাও। একপর্যায়ে তিনি মঞ্চে ডেকে নেন মাকসুদকে, রূপম যাকে ‘গুরু’ বলে ডাকেন। মাকসুদের পায়ে ছুঁয়ে সালামও করেন স্টেজে দাঁড়িয়ে।

‘নেমেসিস’ গানটি গাওয়ার আগে রূপম ইসলাম জানিয়ে দেন তাঁর যুদ্ধবিরোধী অবস্থানের কথা। বলেন, ‘পৃথিবীতে যুদ্ধ বেধেছে আবার। যদিও এটা নতুন কিছু নয়। পৃথিবীতে সব সময় যুদ্ধ চলতে থাকে। এটা যদি প্রেমের যুদ্ধ হয়, তাহলে ফাইন। কিন্তু যে যুদ্ধে মানুষ মারা যায়, এক দেশ আরেক দেশের ওপর বোমাবর্ষণ করে, সে যুদ্ধ আমি চাই না। আমি শান্তি চাই।’ এ গানে পারফর্ম করার সময় পায়ে গুরুতর আঘাত পান রূপম। খানিকটা বিরতি নিয়ে আবার মঞ্চে ফেরেন। তবে আঘাতের বিষয়টি তিনি বুঝতে দেননি দর্শকদের।

রূপমের অসুস্থতার বিষয়টি গতকাল জানিয়েছেন রূপমের স্ত্রী ও ফসিল্‌স ব্যান্ডের ম্যানেজার রূপসা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘পরশু ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ‘‘নেমেসিস’’ গানের সময়ে ডান পায়ের লিগামেন্টে গুরুতর আঘাত পেয়েছে রূপম। প্রতিবারের মতোই যন্ত্রণা লুকিয়ে শ্রোতাদের বুঝতে না দিয়ে রূপম স্বাভাবিকভাবে কনসার্ট শেষ করেন। ফলে পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত