রাজশাহী প্রতিনিধি
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকায় বের করা মিছিলে গুলি চলার খবর রাজশাহীতে এসেছিল বিকেলে। মেইল ট্রেনে আসা এক ব্যক্তি সে খবর এনেছিলেন। তখন রাজশাহীতেও রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলন তুঙ্গে। ঢাকায় রফিক, সালাম, বরকতদের শহীদ হওয়ার খবর রাজশাহীতে এলে রাতেই ইট-কাদামাটির গাঁথুনি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি স্মৃতিস্তম্ভ।
রাজশাহীর ভাষাসৈনিকেরা দাবি করে আসছেন, রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলে নির্মাণ করা ওই স্মৃতিস্তম্ভ দেশের প্রথম শহীদ মিনার। যদিও ওই স্মৃতিস্তম্ভ পরে তৎকালীন সরকার ভেঙে ফেলে। এরপর ২০০৯ সালে ওই স্থানে আবার শ্রদ্ধাস্মারক হিসেবে আরেকটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। তবে ওই স্থানে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ভাষাসৈনিকেরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই কাজ শুরু হলেও পরে থেমে গেছে।
পৌনে চার বছর আগে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। তারপর দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু আজও সেই শহীদ মিনারের কাজ শেষ হয়নি। নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাবেরা এন্টারপ্রাইজের জুলফিকার হায়দার জানিয়েছেন, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য তাঁরা মাটির নিচে ২২টি পাইলিং করেছেন। বিল হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু সেই বিল তাঁরা পাননি, তাই কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শহীদ মিনারের জন্য রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা তাঁর অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ থেকে ৫০ লাখ টাকা রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে দিয়েছিলেন। তারপরই টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করে কাজ শুরু হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশন কাজ শুরুর পর প্রথম কিস্তির টাকাই পরিশোধ করেনি।
গত শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, পুরোনো স্মৃতিস্তম্ভটির পাশে নতুন শহীদ মিনারের জন্য পাইলিং করা হয়েছে। কিন্তু কাজের এই অংশ মাটির নিচেই আছে। রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ডাইনিং, রাস্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তারপর কাজও শুরু হয়। কিন্তু কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আর কাজ শেষ হয়নি। কেন কাজ শেষ হয়নি, তা সিটি করপোরেশন ভালো বলতে পারবে।
সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা চিকিৎসার জন্য এখন দিল্লিতে অবস্থান করছেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতেই প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে আমি সিটি করপোরেশনকে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন কাজ শেষ হয়নি, তা বলতে পারব না।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী অবসরে চলে গেছেন। কেন বিল পরিশোধ করা হয়নি, তা তিনি জানেন না। তবে কাজটা যেহেতু হয়নি, তাই সেটিকে নতুন আরেকটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।’
রাজশাহীর ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের নামকে অমর করে রাখার জন্য রাতেই আমরা রাজশাহী কলেজের তখনকার নিউ হোস্টেলে একটা স্মৃতিস্তম্ভ করেছিলাম। আশপাশে থেকে ইট-পাটকেল সংগ্রহ করে রাতেই কাদামাটির গাঁথুনি দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করি। স্মৃতিস্তম্ভে একটা কাগজের পোস্টার লাগিয়ে তাতে লিখে দিই, “ভয় নাই, ওরে ভয় নাই—/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।”
আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজটা শেষ না হওয়া দুঃখজনক। আমাদের দাবি, দ্রুত যেন কাজটা শেষ করা হয় এবং এটিকে দেশের প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়।’
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকায় বের করা মিছিলে গুলি চলার খবর রাজশাহীতে এসেছিল বিকেলে। মেইল ট্রেনে আসা এক ব্যক্তি সে খবর এনেছিলেন। তখন রাজশাহীতেও রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলন তুঙ্গে। ঢাকায় রফিক, সালাম, বরকতদের শহীদ হওয়ার খবর রাজশাহীতে এলে রাতেই ইট-কাদামাটির গাঁথুনি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি স্মৃতিস্তম্ভ।
রাজশাহীর ভাষাসৈনিকেরা দাবি করে আসছেন, রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলে নির্মাণ করা ওই স্মৃতিস্তম্ভ দেশের প্রথম শহীদ মিনার। যদিও ওই স্মৃতিস্তম্ভ পরে তৎকালীন সরকার ভেঙে ফেলে। এরপর ২০০৯ সালে ওই স্থানে আবার শ্রদ্ধাস্মারক হিসেবে আরেকটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। তবে ওই স্থানে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ভাষাসৈনিকেরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই কাজ শুরু হলেও পরে থেমে গেছে।
পৌনে চার বছর আগে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। তারপর দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু আজও সেই শহীদ মিনারের কাজ শেষ হয়নি। নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাবেরা এন্টারপ্রাইজের জুলফিকার হায়দার জানিয়েছেন, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য তাঁরা মাটির নিচে ২২টি পাইলিং করেছেন। বিল হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু সেই বিল তাঁরা পাননি, তাই কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শহীদ মিনারের জন্য রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা তাঁর অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ থেকে ৫০ লাখ টাকা রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে দিয়েছিলেন। তারপরই টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করে কাজ শুরু হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশন কাজ শুরুর পর প্রথম কিস্তির টাকাই পরিশোধ করেনি।
গত শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, পুরোনো স্মৃতিস্তম্ভটির পাশে নতুন শহীদ মিনারের জন্য পাইলিং করা হয়েছে। কিন্তু কাজের এই অংশ মাটির নিচেই আছে। রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ডাইনিং, রাস্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তারপর কাজও শুরু হয়। কিন্তু কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আর কাজ শেষ হয়নি। কেন কাজ শেষ হয়নি, তা সিটি করপোরেশন ভালো বলতে পারবে।
সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা চিকিৎসার জন্য এখন দিল্লিতে অবস্থান করছেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতেই প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটিকে স্থায়ী রূপ দিতে আমি সিটি করপোরেশনকে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন কাজ শেষ হয়নি, তা বলতে পারব না।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী অবসরে চলে গেছেন। কেন বিল পরিশোধ করা হয়নি, তা তিনি জানেন না। তবে কাজটা যেহেতু হয়নি, তাই সেটিকে নতুন আরেকটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।’
রাজশাহীর ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের নামকে অমর করে রাখার জন্য রাতেই আমরা রাজশাহী কলেজের তখনকার নিউ হোস্টেলে একটা স্মৃতিস্তম্ভ করেছিলাম। আশপাশে থেকে ইট-পাটকেল সংগ্রহ করে রাতেই কাদামাটির গাঁথুনি দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করি। স্মৃতিস্তম্ভে একটা কাগজের পোস্টার লাগিয়ে তাতে লিখে দিই, “ভয় নাই, ওরে ভয় নাই—/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।”
আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজটা শেষ না হওয়া দুঃখজনক। আমাদের দাবি, দ্রুত যেন কাজটা শেষ করা হয় এবং এটিকে দেশের প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫