Ajker Patrika

অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে অর্ধেক জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২১, ২০: ০৭
অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে  অর্ধেক জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পদ

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান জলবায়ু সম্মেলন বা কপ-২৬-এ প্রতিদিন নানা বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নানা দিক নিয়ে জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিবেদন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে ২০৩৬ সালের মধ্যে বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর মোট সম্পদের অর্ধেক অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ১১ লাখ কোটি ডলার। ফলে ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের মতো সংকট তৈরি হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের ‘নেচার’ নামক গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির বরাতে গার্ডিয়ান জানায়, সম্প্রতি অনেক কোম্পানি ও সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো বা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে এবং বায়ুস্তর থেকে কার্বন শুষে বা টেনে নিয়ে জলবায়ুতে ভারসাম্য তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলে ২০৩৬ সালের মধ্যে তেল-গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি খাতের চেহারা বদলে যাবে। এ ধরনের প্রায় অর্ধেক সম্পদ তাদের বাজার হারাবে, হয়ে পড়বে অর্থহীন।

প্রতিবেদনটির প্রধান সম্পাদক জিন-ফ্রাঙ্কোস মার্কিউর বলেন, ‘গত এক দশকে বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজ বেড়েছে। কিন্তু বিশ্বের অনেক ধনী ও নিম্ন আয়ের দেশ এখনো কয়লা, তেল, গ্যাসসহ নানা ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর। এ অবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ‘পরিচ্ছন্ন জ্বালানি’র দিকে যাওয়ার যে গতি তৈরি হয়েছে, তা অব্যাহত থাকলে অনেক দেশ ও কোম্পানি নিজেদের জমানো ওই সব সম্পদ নিয়ে বিপদে পড়বে।’

আলোর ঝলকানি

কপ-২৬-এ ইতিমধ্যে মিথেন ও কয়লার ব্যবহার কমাতে এবং বন ও সাগর বাঁচাতে যেসব অঙ্গীকার এসেছে, তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে চলতি শতাব্দীর শেষে বিশ্বের উষ্ণতা ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকানো যেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। আইইএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিহ বিরল কপ-২৬-এর একমঞ্চে গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানান।

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি প্রধানের বক্তৃতা শেষে মঞ্চে আসেন জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক কর্মকর্তা সেলউইন হার্ট। তিনি ফাতিহ বিরলের বক্তৃতাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ইতিমধ্যে যেসব অঙ্গীকার এসেছে, তাতে উৎফুল্ল হওয়ার কারণ নেই। কারণ উষ্ণতা ঠেকানোর জন্য ‘জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান’ এনডিসি বা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার কর্মপন্থা নিয়ে প্রতিটি দেশ যে পরিকল্পনা জমা দিয়েছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আর সর্বশেষ এনডিসি প্রতিবেদনের আলোকে কার্বন নিঃসরণ কমানো হলেও চলতি শতাব্দীতে উষ্ণতা বৃদ্ধি কোনো মতেই ২ দশমিক ৭ ডিগ্রির নিচে রাখা সম্ভব হবে না।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দেশ নিজেদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে যে হারে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে তাতেও শিল্পবিপ্লবের আগের তুলনায় চলতি শতাব্দীর শেষে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিবেদন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা-আগুন দেওয়ার অভিযোগ

ফেসবুকে কমেন্টের জেরে বাড়িতে গিয়ে হুমকি, পরদিন ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ

সরকারি অফিসে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ, নারীসহ গ্রেপ্তার ৩

বাংলাদেশ অধিনায়কের হাতে যে কারণে ‘তামিম নিখোঁজ’ প্ল্যাকার্ড

অবরুদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে ছাত্রদল নেতার গুলি, ব্যবসায়ী আহত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত