Ajker Patrika

মূল হোতা তারেক বাগেরহাটে গ্রেপ্তার

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, ১৪: ০৯
মূল হোতা তারেক বাগেরহাটে গ্রেপ্তার

ইতালিতে মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশীয় মূল হোতা তারেক মোল্লাকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ নিয়ে মানব পাচারে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পালিয়ে বেড়ানো তারেককে গত রোববার সকালে বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। সোমবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।

গ্রেপ্তার তারেক মোল্লা উপজেলার আমীরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। রায়পুরা থেকে ইতালি পাঠানোর মূল মানব পাচারকারী দালাল তারেক মোল্লা। এর আগে তারেকের বড় ভাই মামুন মোল্লা এবং সুবল চন্দ্র শীল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি ভূমধ্যসাগরে ৩৫ যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ২৮ যুবকের মধ্যে ১৫ জনই নরসিংদীর। এর মধ্যে রায়পুরার ৯ জন। তাঁরা সবাই দালাল তারেক ও মনির মাধ্যমে লিবিয়া থেকে ইতালি যাচ্ছিলেন।

স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় স্বজনদের অভিযোগ, লিবিয়ায় মানবপাচার চক্রের মূল হোতা মনির চন্দ্র শিল ও বাংলাদেশে তাঁর প্রধান প্রতিনিধি তারেক মোল্লার ফুসলিয়ে অবৈধ পথে ইতালি নেওয়ার কারণেই ১৫ যুবকের এই করুণ পরিণতি হয়েছে।

জানা যায়, লিবিয়া প্রবাসী মনি চন্দ্র শীল (৩০) নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আমীরগঞ্জের আগানগর গ্রামের বাসিন্দা। পাঁচ বছর আগে জীবিকার তাগিদে পাড়ি দেন লিবিয়ায়। সেখানে গিয়ে শুরু করেন ইউরোপে মানবপাচার। তিনি ও তার বন্ধু তারেক মোল্লা মিলে অবৈধ পথে বিদেশে লোক পাঠাতেন বলে জানা গেছে।

স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আশিষের ভাই আনন্দ জানান, তারেক মোল্লা যুবকদের ইতালি যেতে প্রলোভন দেখাত। লিবিয়ার ত্রিপোলিতে থাকা তাঁর বন্ধু মনির চন্দ্র শীলের দালাল এজেন্ট হয়ে কাজ করতেন। তিনি। তাদের সঙ্গে সাড়ে আট লাখ টাকায় ইতালি যাওয়া চুক্তি হয়। দেশ ছাড়ার আগে সাড়ে ছয় লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা ইতালি পৌঁছার পর পরিশোধের কথা ছিল।

তিনি আরও বলেন, দুবাই ও মিসর হয়ে লিবিয়ার বেনগাজীতে নেওয়া হয় আশিষকে। পরে সেখান থেকে ত্রিপোলি নিয়ে বেশ কিছুদিন রাখা হয়। গত ২৭ জানুয়ারি আশিষ শেষ বারের মতো ফোন করে জানান, রাতে স্পিডবোটে করে তাদের ইতালি পৌঁছে দেওয়া হবে। গত চার দিন আগে দেশে ফেরা ইউসুফের মাধ্যমে জানতে পারি স্পিডবোট ডুবির ঘটনা। পরে ভাইয়ের সন্ধান চেয়ে তারেক মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আশিষ এখনো জীবিত আছেন।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, নিখোঁজ আশিষের বাবা অনিল চন্দ্রের করা মামলায় মামুন ও সুবল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, বাগেরহাট এলাকা থেকে অভিযুক্ত তারেক মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। সেটা তদন্তের স্বার্থে এখনই সব জানাচ্ছি না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত