Ajker Patrika

সজীব হত্যা মামলার প্রধান আসামির মৃত্যু

লক্ষ্মীপুর ও রামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ২৬
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজীব হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. মাসুদ আলম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। জেলা কারাগারের জেলার মো. শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাসুদ আলম রামগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর গ্রামের আজগর আলী ব্যাপারি বাড়ির নুরুল হকের ছেলে। তাঁর তিন সন্তান রয়েছে।

জেলা কারাগারের জেলার জানান, ৩০ নভেম্বর সজীব হত্যা মামলার আসামি মাসুদ আলমকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তখনো তিনি গুরুতর আহত ছিলেন। পরে ১ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য প্রথমে সদর হাসপাতাল, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মাসুদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দিন রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আট দিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে তিনি মারা যান।

ঘটনার দুই দিন পর ৩০ নভেম্বর ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান সজীবের বোন সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে মো. মাসুদ আলমকে প্রধান আসামি করে আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ওইদিনই রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ মাসুদ আলমকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠায়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মাসুদ আলমের স্ত্রী আকলিমা আক্তার বলেন, ‘যে মারা গেছে সে তো গেছেই। আপনার ফোন দিয়েছেন কেন? আরও কয়েকটা মামলা দিতে? আমার স্বামীর মাথায় আঘাত করলেও কেউ রক্ষা করতে আসেনি। সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে আমার স্বামীর মাথার খুলি ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সজীব হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মাসুদ আলম। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৩০ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে জানতে পারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাসুদ আলমের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও সজীব হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় দফায় ভোটের দিন বিকেলে ইছাপুর ইউপি নির্বাচনে নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহেনাজ আক্তার ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমির হোসেন খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজীব মারা যায়। সেই ঘটনায় আহত হয় মাসুদ আলমও। ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা নেওয়ার পথে সজীব মারা যায়। এ ঘটনায় রামগঞ্জ থানায় করা হত্যা মামলায় মাসুদ আলম, বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন খানসহ ২২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত