Ajker Patrika

বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৩৩
Thumbnail image

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণছড়া নতুনপাড়া, হরিণছড়া বেচারাম কার্বারিপাড়া, আমতলীপাড়া ও দুছড়িপাড়া। এখানে পাংখোয়া, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা, চাকমাসহ ১২০ পরিবারের বসবাস। এই এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র। একটি টিউবওয়েল এবং ঝিরির পানিই তাদের একমাত্র ভরসা।

স্থানীয় তেজাং তঞ্চঙ্গ্যা (৯০) জানান, তাঁদের সবচেয়ে বড় কষ্ট বিশুদ্ধ পানির। এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট। এক হাজার ফুট নিচ থেকে ঝিরির পানি এনে খেতে হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয় সেই পানি দিয়ে।

প্রবীণ ধন মোহন তঞ্চঙ্গ্যা জানান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সবচেয়ে নিচু এলাকা আমতলীপাড়ায় একটি টিউবওয়েল আছে। সেখান থেকে এক কলসি পানি আনতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। উঁচু পাহাড়ে উঠানামা করতে ভীষণ কষ্ট হয়। ঝিরির পানি পান করলে অনেক পানিবাহিত রোগ হয়।

পাংখোয়া পাড়ার কার্বারি আরদৌ লিয়ানা পাংখোয়া জানান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণছড়া নতুনপাড়া, হরিণছড়া বেচারাম কার্বারিপাড়া, আমতলীপাড়া ও দুছড়িপাড়ায় পাংখোয়া, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা, চাকমাসহ ১২০ পরিবারের বসবাস। জনসংখ্যা প্রায় চার শর কাছাকাছি। সবচেয়ে নিচে আমতলীপাড়ায় একটি টিউবওয়েল আছে। সেখান থেকে সবাই পানি সংগ্রহ করে। পানি সংগ্রহ করতে পাংখোয়াপাড়া আর নতুনপাড়ার বাসিন্দাদের কষ্টের সীমা নেই।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নবীন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা এবং ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য ভানুমতি চাকমা জানান, এখানকার বাসিন্দাদের সবচেয়ে বড় কষ্ট পানি নিয়ে। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচু হওয়ায় এখানে গভীর নলকূপ স্থাপন করেও পানি পাওয়া যায় না। তাই আমতলীপাড়ার একটি টিউবওয়েল এবং ঝিরির পানি এখানকার লোকজনের একমাত্র ভরসা।

১১৯ নম্বর ভাইজ্যাতলি মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমা বলেন, ‘দিনদিন বন উজাড় করার কারণে এখানকার পানির স্বর নিচে নেমে গেছে।’

কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে এই এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়। তবে পানির লেয়ার না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।’

সম্প্রতি ওই এলাকায় সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে যান কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান। এলাকার হেডম্যান, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে পানির সংকটের কথা জানান। ইউএনও সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘আমি নিজে এসে বিষয়টি দেখলাম এবং শুনলাম। তাঁদের আবেদন করতে বলেছি। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে বসব। কীভাবে পানির সংকট সমাধান করা যায়, সেই পদক্ষেপ নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত