Ajker Patrika

৫০ বছরেও সংরক্ষিত হয়নি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৩৮
৫০ বছরেও সংরক্ষিত হয়নি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর

দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হওয়া বরিশালের আগৈলঝাড়ার ১৬ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর আজও সংরক্ষণ করা হয়নি।

৭১ এর রণাঙ্গন কাঁপানো শহীদ যোদ্ধাদের দরিদ্র পরিবার সদস্যদের আর্থিক সংগতি না থাকায় বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাঁদের কবরগুলো আজও সংরক্ষণ না করায় মুছে যেতে বসেছে শহীদদের স্মৃতিচিহ্ন।

পরবর্তী প্রজন্ম জানবেও না দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাঁরা কে কোথায় চির নিদ্রায় শুয়ে আছেন? বছর ঘুরে বছর আসে, জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় মহান বিজয় দিবস। আর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার সদস্যদের সংবর্ধনার নামে ভাগ্যে জোটে একটি রজনীগন্ধার ডাঁটা। বছর কয়েক হলো তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সম্মাননার ৩০০ টাকার প্রাইজবন্ড।

আর্থিক সংগতি থাকা দু–একটি পরিবার তাঁদের প্রিয়জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরটি সংরক্ষণ করতে পারলেও অধিকাংশ কবর এখনো সংরক্ষণ করা যায়নি। কারণ, দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত ওই পরিবারগুলোর ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বা রাজনৈতিক কোনো পৃষ্ঠপোষকতা।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে বিজয় দিবসের পতাকা ওড়া পর্যন্ত পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হওয়া আগৈলঝাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন গৈলা গ্রামের সিপাহি আলাউদ্দিন, শিহিপাশা গ্রামের মোস্তফা হাওলাদার, নুরুল ইসলাম হাওলাদার, মধ্য শিহিপাশা গ্রামের মান্নান মোল্লা, সেরাল গ্রামের সিপাহি সিরাজুল ইসলাম, ভালুকশী গ্রামের আব্দুল মান্নান খান, বাশাইল গ্রামের গোলাম মাওলা, সেকেন্দার আলী, আব্দুল আজিজ শিকদার, রাজিহারের বসুন্ডা গ্রামের আব্দুল হক হাওলাদার, পয়সা গ্রামের শামসুল হক, ফুল্লশ্রী গ্রামের মনসুর আহম্মদ, চাঁদত্রিশিরা গ্রামের তৈয়ব আলী বখতিয়ার, বেলুহার গ্রামের আব্দুস ছালাম, বরিয়ালী গ্রামের মহসীন আলী ও রত্নপুর গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদার।

সেরাল গ্রামের সিপাহি সিরাজুল ইসলাম বরিশালের তালতলা যুদ্ধে শহীদ হন। ওই সময় তাঁকে তাঁর কর্মস্থল বরিশালে কবর দেওয়া হয়। পরে স্বজনদের ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অর্থ সংকটের কারণে আজও তাঁর নিজ বাড়িতে প্রিয়জনের কবরটি স্থানান্তর করতে পারেননি স্বজনেরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার সিরাজুল হক সরদার বলেন, ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে ১৬ শহীদের কবরস্থান সংরক্ষণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে ১৬ শহীদের কবরস্থান সরকার থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।’

ইউএনও আবুল হাশেম বলেন, ‘সরকারিভাবে কাঠিরা বধ্যভূমি ও কেতনার বিল সংরক্ষণের জন্য ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে যৌন হেনস্তাকারী রিংকু কারাগারে

শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় ক্যাম্পাস ছাড়লেন ইবি শিক্ষক

স্মার্টফোনের ধারণা বদলে দিতে পারে আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স

এবার আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের মারধর সেই বরখাস্ত এসপি ফজলুলের

জেনারেল ওসমানীকে কেন এবার স্বাধীনতা পদক দেওয়া হলো না, ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত