সনি আজাদ, চারঘাট
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও নাগরিক সেবা চলমান রাখতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছিল উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সোলার সিস্টেম (সৌরবিদ্যুৎ)। কিন্তু নবাগত চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ দায়িত্ব গ্রহণ করেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলে সেই সোলার সিস্টেম বিক্রি করে দিয়েছেন। যদিও এলাকাবাসী ও সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, সোলার সিস্টেম সচলই ছিল।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে টিআর ও কাবিটা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সোলার সিস্টেম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বিদ্যুৎ না থাকলেও সেই সোলারের মাধ্যমে পুরো ইউনিয়ন পরিষদের বৈদ্যুতিক কার্যক্রম সচল রাখা যেত। এই সোলার সিস্টেমে উন্নতমানের ছয়টি ব্যাটারি ও ২০টির বেশি সৌর প্যানেল ছিল।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভ্যানে করে সোলার সিস্টেমের ব্যাটারিগুলো নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে ব্যাটারি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়। তখন ইউনিয়ন পরিষদে ডিউটিরত গ্রাম্য পুলিশ নাসির আলী বিক্রির বিষয়টি স্থানীয়দের বলেন।
সরকারি প্রকল্পের জিনিস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিক্রি করার এখতিয়ার নেই।
এস এম শামীম আহম্মেদ
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, চারঘাট
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে যখন এলাকা জনশূন্য ছিল, তখন ব্যাটারিগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
সোলার সিস্টেম বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে নবাগত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেখছি সোলার সিস্টেমটা নষ্ট। কোনো কাজে লাগে না। এজন্য সোলার সিস্টেম বিক্রি করে আইপিএস লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি।’
সরকারি প্রকল্পের সোলার সিস্টেম যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিনা টেন্ডারে বিক্রির এখতিয়ার তাঁর আছে কি না জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমি এই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। পরিষদের স্বার্থে নিজ উদ্যোগে বিক্রি করার ক্ষমতা আমার আছে। প্রয়োজনে বিক্রীত জিনিস ফিরিয়ে আনা হবে।’
এদিকে নবাগত চেয়ারম্যান সোলার সিস্টেম নষ্ট বললেও সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুল বলছেন উল্টো কথা। তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টাকা দিয়ে উচ্চক্ষমতার ওই সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। পরিষদের ১৭টি ফ্যান, সব লাইট, উদ্যোক্তাদের কম্পিউটারসহ সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস চলত। দায়িত্ব ছাড়ার আগমুহূর্তেও সেটা সচল ছিল। মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ সাপ্লাই মেশিনটা ডিস্টার্ব দিত, তবে ব্যাটারির কোনো সমস্যা ছিল না।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পের জিনিস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিক্রি করার এখতিয়ার নেই। সোলার সিস্টেম বিক্রির ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে কিছুই জানানো হয়নি। যদি সেটা নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিক্রি করতে হবে।’
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও নাগরিক সেবা চলমান রাখতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছিল উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সোলার সিস্টেম (সৌরবিদ্যুৎ)। কিন্তু নবাগত চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ দায়িত্ব গ্রহণ করেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলে সেই সোলার সিস্টেম বিক্রি করে দিয়েছেন। যদিও এলাকাবাসী ও সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, সোলার সিস্টেম সচলই ছিল।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে টিআর ও কাবিটা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সোলার সিস্টেম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বিদ্যুৎ না থাকলেও সেই সোলারের মাধ্যমে পুরো ইউনিয়ন পরিষদের বৈদ্যুতিক কার্যক্রম সচল রাখা যেত। এই সোলার সিস্টেমে উন্নতমানের ছয়টি ব্যাটারি ও ২০টির বেশি সৌর প্যানেল ছিল।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভ্যানে করে সোলার সিস্টেমের ব্যাটারিগুলো নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে ব্যাটারি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়। তখন ইউনিয়ন পরিষদে ডিউটিরত গ্রাম্য পুলিশ নাসির আলী বিক্রির বিষয়টি স্থানীয়দের বলেন।
সরকারি প্রকল্পের জিনিস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিক্রি করার এখতিয়ার নেই।
এস এম শামীম আহম্মেদ
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, চারঘাট
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে যখন এলাকা জনশূন্য ছিল, তখন ব্যাটারিগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
সোলার সিস্টেম বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে নবাগত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেখছি সোলার সিস্টেমটা নষ্ট। কোনো কাজে লাগে না। এজন্য সোলার সিস্টেম বিক্রি করে আইপিএস লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি।’
সরকারি প্রকল্পের সোলার সিস্টেম যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিনা টেন্ডারে বিক্রির এখতিয়ার তাঁর আছে কি না জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমি এই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। পরিষদের স্বার্থে নিজ উদ্যোগে বিক্রি করার ক্ষমতা আমার আছে। প্রয়োজনে বিক্রীত জিনিস ফিরিয়ে আনা হবে।’
এদিকে নবাগত চেয়ারম্যান সোলার সিস্টেম নষ্ট বললেও সদ্যবিদায়ী চেয়ারম্যান শওকত আলী বুলবুল বলছেন উল্টো কথা। তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টাকা দিয়ে উচ্চক্ষমতার ওই সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। পরিষদের ১৭টি ফ্যান, সব লাইট, উদ্যোক্তাদের কম্পিউটারসহ সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস চলত। দায়িত্ব ছাড়ার আগমুহূর্তেও সেটা সচল ছিল। মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ সাপ্লাই মেশিনটা ডিস্টার্ব দিত, তবে ব্যাটারির কোনো সমস্যা ছিল না।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পের জিনিস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিক্রি করার এখতিয়ার নেই। সোলার সিস্টেম বিক্রির ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে কিছুই জানানো হয়নি। যদি সেটা নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিক্রি করতে হবে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৪ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪