নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের আলেশা কার্ড ও দারাজ ডটকমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, অবৈধ পণ্য বিক্রি, অফারের কার্ড বিক্রির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। এর আগে মানি লন্ডারিং ও প্রতারণার অভিযোগে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও সম্প্রতি নতুন করে দারাজ ও আলেশা মার্টসহ চারটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলেশা মার্টের আলেশা কার্ড ও দারাজের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আমরা তদন্ত করে দেখছি তাদের এগুলো বিক্রির বৈধ কাগজপত্র আছে কি না। আলেশা কার্ড কীভাবে বিক্রি করছে, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আর দারাজ কীভাবে গেমস ও টিকিটসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করছে সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে। তাদের পণ্য ও কার্ড বিক্রির বৈধ লাইসেন্স ও মানিলন্ডারিং আছে কি না সিআইডি তদন্ত করে দেখছে।
সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, আলেশা মার্ট প্রতিষ্ঠানটি আলেশা কার্ড নামে একটি মূল্য ছাড়ের কার্ড বিক্রি করছে। যেটা অনেকটা ইভ্যালিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ডিসকাউন্ট কার্ডের মতো। প্রতিটি কার্ডের জন্য তারা এককালীন ৭ হাজার ৯৮০ টাকা করে নিয়েছে। এই টাকা গ্রাহক ফেরত পাবেন না। কার্ডটি ব্যবহার করে এক বছর তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্য ছাড়ে পণ্য কিনতে পারবেন বলে বলা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি যদি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় কিংবা প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ পালিয়ে যায়, তাহলে গ্রাহকদের টাকার কী হবে? তারা কত কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়েছে এবং টাকাগুলো কোথায় গেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আলেশা মার্ট এভাবে কার্ড বিক্রি করে টাকা তুলে নিতে পারে কি না—জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা এটা এভাবে পারে না। যারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নেয়নি, তাদের ব্যাপারে তো আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের যারা অন্যান্য সংস্থা আছে বিশেষ করে সিআইডি ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে।’
গত মঙ্গলবার আলেশা কার্ডের কল সেন্টারে ফোন দিলে ফজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ফোন ধরেন। তিনি কার্ড বিক্রির ব্যাপারে বলেন, আলেশা কার্ড হোল্ডাররা দেশজুড়ে ৯০টি ক্যাটাগরি এবং তিন হাজারের বেশি পার্টনারের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আকর্ষণীয় মূল ছাড় পাচ্ছেন। প্রতিটি কার্ডের জন্য এককালীন দিতে হবে ৭ হাজার ৯৮০ টাকা। তবে বর্তমানে অফারে ৪ হাজার ৯৯০ টাকায় এই কার্ড পাওয়া যাচ্ছে। কার্ডের বিনিময়ে কোনো পণ্য পাবেন না। কার্ডের মেয়াদ এক বছর। শুধু ডিসকাউন্টের জন্য কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন।
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আলেশা মার্টের কার্ড বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কার্ড বিক্রি আপাতত বন্ধ আছে। দুই মাস ধরে কার্ড বিক্রি হচ্ছে না।’ তবে কার্ড বিক্রি বন্ধ হলেও এখনো কেন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ কার্ড বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি। পরবর্তীতে আলেশা কার্ড ডিভিশনের প্রধান সোহরাব হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। সোহরাব হোসেনের ফোন নম্বরে ফোন দিলেও ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও জানান তিনি অসুস্থ। এরপর কার্ড বিক্রির বৈধ অনুমোদন ও বর্তমান বিক্রির অবস্থা জানতে চেয়ে খুদেবার্তা পাঠালে তিনি উত্তর দেন, আলেশা কার্ড হচ্ছে আলেশা মার্টের একটি পণ্য বা সেবা। যা বাংলাদেশ কোম্পানি আইন ১৯৯৪ অনুয়ায়ী পরিচালিত হচ্ছে। তাই এটা বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন না। কোনো প্রতিষ্ঠান আলেশা কার্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কি না তিনি জানেন না। কারণ, আনুষ্ঠানিক চিঠি তারা পাননি।
দারাজের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যাপারে সিআইডির একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দারাজ গেমস ও ভার্চুয়াল টিকিটসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে। যার বৈধতার ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তারা কীভাবে এই পণ্য বিক্রি করে এবং কোথা থেকে কেনে সেটা তদন্ত করছে সিআইডি। সেই সঙ্গে বিদেশ থেকে এসব ভার্চুয়াল পণ্য কেনার সময় তারা কীভাবে মূল্য পরিশোধ করে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ও তদন্ত করবে সিআইডি।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের আলেশা কার্ড ও দারাজ ডটকমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, অবৈধ পণ্য বিক্রি, অফারের কার্ড বিক্রির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। এর আগে মানি লন্ডারিং ও প্রতারণার অভিযোগে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও সম্প্রতি নতুন করে দারাজ ও আলেশা মার্টসহ চারটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আলেশা মার্টের আলেশা কার্ড ও দারাজের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আমরা তদন্ত করে দেখছি তাদের এগুলো বিক্রির বৈধ কাগজপত্র আছে কি না। আলেশা কার্ড কীভাবে বিক্রি করছে, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আর দারাজ কীভাবে গেমস ও টিকিটসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করছে সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে। তাদের পণ্য ও কার্ড বিক্রির বৈধ লাইসেন্স ও মানিলন্ডারিং আছে কি না সিআইডি তদন্ত করে দেখছে।
সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, আলেশা মার্ট প্রতিষ্ঠানটি আলেশা কার্ড নামে একটি মূল্য ছাড়ের কার্ড বিক্রি করছে। যেটা অনেকটা ইভ্যালিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ডিসকাউন্ট কার্ডের মতো। প্রতিটি কার্ডের জন্য তারা এককালীন ৭ হাজার ৯৮০ টাকা করে নিয়েছে। এই টাকা গ্রাহক ফেরত পাবেন না। কার্ডটি ব্যবহার করে এক বছর তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্য ছাড়ে পণ্য কিনতে পারবেন বলে বলা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি যদি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় কিংবা প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ পালিয়ে যায়, তাহলে গ্রাহকদের টাকার কী হবে? তারা কত কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়েছে এবং টাকাগুলো কোথায় গেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আলেশা মার্ট এভাবে কার্ড বিক্রি করে টাকা তুলে নিতে পারে কি না—জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা এটা এভাবে পারে না। যারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নেয়নি, তাদের ব্যাপারে তো আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকারের যারা অন্যান্য সংস্থা আছে বিশেষ করে সিআইডি ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে।’
গত মঙ্গলবার আলেশা কার্ডের কল সেন্টারে ফোন দিলে ফজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ফোন ধরেন। তিনি কার্ড বিক্রির ব্যাপারে বলেন, আলেশা কার্ড হোল্ডাররা দেশজুড়ে ৯০টি ক্যাটাগরি এবং তিন হাজারের বেশি পার্টনারের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আকর্ষণীয় মূল ছাড় পাচ্ছেন। প্রতিটি কার্ডের জন্য এককালীন দিতে হবে ৭ হাজার ৯৮০ টাকা। তবে বর্তমানে অফারে ৪ হাজার ৯৯০ টাকায় এই কার্ড পাওয়া যাচ্ছে। কার্ডের বিনিময়ে কোনো পণ্য পাবেন না। কার্ডের মেয়াদ এক বছর। শুধু ডিসকাউন্টের জন্য কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন।
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আলেশা মার্টের কার্ড বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কার্ড বিক্রি আপাতত বন্ধ আছে। দুই মাস ধরে কার্ড বিক্রি হচ্ছে না।’ তবে কার্ড বিক্রি বন্ধ হলেও এখনো কেন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ কার্ড বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি। পরবর্তীতে আলেশা কার্ড ডিভিশনের প্রধান সোহরাব হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। সোহরাব হোসেনের ফোন নম্বরে ফোন দিলেও ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও জানান তিনি অসুস্থ। এরপর কার্ড বিক্রির বৈধ অনুমোদন ও বর্তমান বিক্রির অবস্থা জানতে চেয়ে খুদেবার্তা পাঠালে তিনি উত্তর দেন, আলেশা কার্ড হচ্ছে আলেশা মার্টের একটি পণ্য বা সেবা। যা বাংলাদেশ কোম্পানি আইন ১৯৯৪ অনুয়ায়ী পরিচালিত হচ্ছে। তাই এটা বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন না। কোনো প্রতিষ্ঠান আলেশা কার্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কি না তিনি জানেন না। কারণ, আনুষ্ঠানিক চিঠি তারা পাননি।
দারাজের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যাপারে সিআইডির একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দারাজ গেমস ও ভার্চুয়াল টিকিটসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে। যার বৈধতার ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তারা কীভাবে এই পণ্য বিক্রি করে এবং কোথা থেকে কেনে সেটা তদন্ত করছে সিআইডি। সেই সঙ্গে বিদেশ থেকে এসব ভার্চুয়াল পণ্য কেনার সময় তারা কীভাবে মূল্য পরিশোধ করে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ও তদন্ত করবে সিআইডি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪