রকিবুল হাসান রবিন
জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় তুরস্কের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বাংলাদেশের হাজারো শিক্ষার্থী তুরস্কে পড়াশোনা করছেন। প্রতিবছর স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি, উচ্চতর গবেষণা প্রোগ্রাম, খেলাধুলা প্রভৃতি প্রোগ্রামে তুরস্কের সরকার আন্তর্জাতিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়। সাধারণত প্রতিবছরের শুরুতে বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
সুযোগ-সুবিধা
তুরস্কের সরকারি বৃত্তির আওতায় একজন শিক্ষার্থী নিচের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
g আবাসন খরচ: বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে শিক্ষার্থীর আবেদন খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি। অধিকন্তু হলে সকাল ও রাতের খাবার সম্পূর্ণ ফ্রি। যদি কেউ ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে চান, তাহলে তাঁকে আবাসন খরচ দেওয়া হবে।
g টিউশন ফি: বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ও পড়াশোনার খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি।
g চিকিৎসার খরচ: দেশটির জনস্বাস্থ্য ইনস্যুরেন্সের আওতায় শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় মেটানো হয়। যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলে তুরস্কের সরকার সম্পূর্ণ বিনা খরচে তাঁর সম্পূর্ণ চিকিৎসা করবে।
g ভ্রমণ খরচ: তুরস্কের সরকার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে আসা-যাওয়ার জন্য বিনা মূল্যে দুটি টিকিট পাঠায়। তবে কেউ স্বেচ্ছায়ও টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। পরে দুটি টিকিটের সমপরিমাণ অর্থ সরকার শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়।
ভাষাগত দক্ষতা: তুরস্কের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তুর্কি ভাষায় পড়াশোনা হয়। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয়। ইংরেজি ভাষায় পড়তে আগ্রহী হলে আবেদনকারীকে আইইএলটিএস, জিআরই, জিমেট, টোফেল প্রভৃতি আন্তর্জাতিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
তুরস্কে পড়াশোনার সময় শিক্ষার্থীকে অবশ্যই তুর্কি ভাষা শিখতে হবে। অন্য কোনো ভাষা জানলেও নির্দিষ্ট ভাষা শিক্ষার সেন্টার থেকে শিখতেই হবে। তবে ভাষা শিক্ষা কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি।
আবেদনের প্রক্রিয়া
তুর্কি বৃত্তির আবেদনপত্র সম্পূর্ণ ফ্রি। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়। ওই ওয়েবসাইট ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানে বৃত্তির জন্য আবেদন করলে কেউ নির্বাচিত হবেন না।
আবেদনের ন্যূনতম শর্তাবলী
বর্তমানে তুরস্কে উচ্চশিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন আবেদনকারীকে ন্যূনতম নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
g স্নাতক প্রোগ্রামে ন্যূনতম ৭০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
g স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ৭৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
g স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মেডিসিন, দাঁত, ফার্মেসি প্রভৃতি বিষয়ে ৯০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
বয়সের শর্ত
g স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ২১।
g মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০।
g ডক্টরাল (পিএইচডি) প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩৫।
বৃত্তির জন্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া অনলাইনে আবেদনের পরে বৃত্তির জন্য তিনটি ধাপে একজন শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরে কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে। তারপর একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। মূলত সাক্ষাৎকারে ভালো করতে পারলে বৃত্তি পাওয়া তুলনামূলক সহজ হয়। এরপর চূড়ান্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তুরস্কের সব বিশ্ববিদ্যালয়ই মানসম্মত। তবে এর মধ্যে কয়েকটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে–মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, আঙ্কারা।
বোয়াজিসি ইউনিভার্সিটি, ইস্তাম্বুল।
ইস্তাম্বুল টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ইস্তাম্বুল। আঙ্কারা ইউনিভার্সিটি, আঙ্কারা। গাজি ইউনিভার্সিটি, আঙ্কারা।
লেখক: রকিবুল হাসান রবিন
জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় তুরস্কের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বাংলাদেশের হাজারো শিক্ষার্থী তুরস্কে পড়াশোনা করছেন। প্রতিবছর স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি, উচ্চতর গবেষণা প্রোগ্রাম, খেলাধুলা প্রভৃতি প্রোগ্রামে তুরস্কের সরকার আন্তর্জাতিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়। সাধারণত প্রতিবছরের শুরুতে বৃত্তির আবেদনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
সুযোগ-সুবিধা
তুরস্কের সরকারি বৃত্তির আওতায় একজন শিক্ষার্থী নিচের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
g আবাসন খরচ: বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে শিক্ষার্থীর আবেদন খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি। অধিকন্তু হলে সকাল ও রাতের খাবার সম্পূর্ণ ফ্রি। যদি কেউ ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে চান, তাহলে তাঁকে আবাসন খরচ দেওয়া হবে।
g টিউশন ফি: বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ও পড়াশোনার খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি।
g চিকিৎসার খরচ: দেশটির জনস্বাস্থ্য ইনস্যুরেন্সের আওতায় শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় মেটানো হয়। যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলে তুরস্কের সরকার সম্পূর্ণ বিনা খরচে তাঁর সম্পূর্ণ চিকিৎসা করবে।
g ভ্রমণ খরচ: তুরস্কের সরকার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে আসা-যাওয়ার জন্য বিনা মূল্যে দুটি টিকিট পাঠায়। তবে কেউ স্বেচ্ছায়ও টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। পরে দুটি টিকিটের সমপরিমাণ অর্থ সরকার শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়।
ভাষাগত দক্ষতা: তুরস্কের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তুর্কি ভাষায় পড়াশোনা হয়। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয়। ইংরেজি ভাষায় পড়তে আগ্রহী হলে আবেদনকারীকে আইইএলটিএস, জিআরই, জিমেট, টোফেল প্রভৃতি আন্তর্জাতিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
তুরস্কে পড়াশোনার সময় শিক্ষার্থীকে অবশ্যই তুর্কি ভাষা শিখতে হবে। অন্য কোনো ভাষা জানলেও নির্দিষ্ট ভাষা শিক্ষার সেন্টার থেকে শিখতেই হবে। তবে ভাষা শিক্ষা কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি।
আবেদনের প্রক্রিয়া
তুর্কি বৃত্তির আবেদনপত্র সম্পূর্ণ ফ্রি। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়। ওই ওয়েবসাইট ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানে বৃত্তির জন্য আবেদন করলে কেউ নির্বাচিত হবেন না।
আবেদনের ন্যূনতম শর্তাবলী
বর্তমানে তুরস্কে উচ্চশিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন আবেদনকারীকে ন্যূনতম নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
g স্নাতক প্রোগ্রামে ন্যূনতম ৭০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
g স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ৭৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
g স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মেডিসিন, দাঁত, ফার্মেসি প্রভৃতি বিষয়ে ৯০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
বয়সের শর্ত
g স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ২১।
g মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০।
g ডক্টরাল (পিএইচডি) প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩৫।
বৃত্তির জন্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া অনলাইনে আবেদনের পরে বৃত্তির জন্য তিনটি ধাপে একজন শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরে কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে। তারপর একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। মূলত সাক্ষাৎকারে ভালো করতে পারলে বৃত্তি পাওয়া তুলনামূলক সহজ হয়। এরপর চূড়ান্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তুরস্কের সব বিশ্ববিদ্যালয়ই মানসম্মত। তবে এর মধ্যে কয়েকটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে–মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, আঙ্কারা।
বোয়াজিসি ইউনিভার্সিটি, ইস্তাম্বুল।
ইস্তাম্বুল টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ইস্তাম্বুল। আঙ্কারা ইউনিভার্সিটি, আঙ্কারা। গাজি ইউনিভার্সিটি, আঙ্কারা।
লেখক: রকিবুল হাসান রবিন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪