মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
মেহেরপুরে ২০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে উঠতি ফসল ভুট্টা, মসুর, আলু, গম, পেঁয়াজ, আম ও লিচুর মুকুলের। সদর উপজেলার আমঝুপি, রাজনগর, বারাদি, সিংহাটিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে চুয়াডাঙ্গায়ও ফসলের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি। পরে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ২০ মিনিট ধরে চলতে থাকে এ শিলা। অনেক জমিতে ভেঙে পড়েছে ভুট্টা, কলা, পেঁপেগাছ। নুয়ে পড়েছে গমগাছ। নষ্ট হয়েছে মসুর ও সরিষাখেত।
সদর উপজেলার কোলা গ্রামের বাগান মালিক আহম্মেদ আলী বলেন, ‘এর আগে এমন শিলাবৃষ্টি আর দেখিনি। আমঝুপিসহ বিভিন্ন গ্রামে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বাগান কেনা হয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, কারণ এ সময়ে অনেক গাছে মুকুল এসেছে। শিলার কারণে সব মুকুল নষ্ট হয়ে যাবে।’ ঋণ করে বাগানগুলো কিনেছেন বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলার বারাদি গ্রামের কৃষক বেলাল উদ্দিন মানিক বলেন, গত দুই সপ্তাহে দুইবার বৃষ্টি ও আজ শিলা (রোববার) বৃষ্টি হয়েছে। আমার ২ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ রয়েছে। সমস্ত গাছ ভেঙে মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এখান থেকে কোনো কিছুই পাব না। এতে আমার ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হবে।’
একই গ্রামের চাষি ইমাদুল বলেন, ‘আমার জমিতে ভুট্টা, শসা ও গমের আবার রয়েছে। হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেছে। এতে আমার ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, ‘এ সময় শিলাবৃষ্টি মানেই ক্ষতি। তবে শিলাবৃষ্টি কয়েকটি অঞ্চলে হয়েছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। ক্ষতির পরিমাণ হিসাব-নিকাশ করে পরে জানানো হবে।’
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায়ও ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বেলা ৩টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো বৃষ্টি। পরে বৃষ্টির সঙ্গে ঝরতে থাকে শিলা। শিলাবৃষ্টির তাণ্ডব চলে ১৮ মিনিট। শিলাবৃষ্টি থামলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল অনেকক্ষণ। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া। গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় রাস্তায় স্বাভাবিক চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক জানান, ১৮ মিনিট ধরে চলে ঝোড়ো ও শিলাবৃষ্টি। দমকা হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
হঠাৎ এমন শিলা ও ঝোড়ো বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের খেত। প্রচুর লোকসানের আশঙ্কা কৃষকদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের জিনজিরা খাতুন বলেন, ‘জীবনে এত ভয়ংকর ও বুক কাঁপানো শিলাবৃষ্টি দেখিনি। উঠানে যে শিল কুড়িয়ে পেয়েছি সেগুলো অনেক বড় বড়।’
একই গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন তরমুজ লাভজনক আর এখন রোপণের সময়। ফসলটিতে শুরু থেকেই অনেক বেশি ব্যয় হয়। কিন্তু এবারে সব শেষ। কয়েক দিন হলো চারা রোপণ করেছিলাম। দুর্ভাগ্য, শিলাবৃষ্টিতে সব শেষ। ১ বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে লোকসান।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা যুবায়ের মাসুর বলেন, ‘ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমির প্রায় ৪০ শতাংশ ভুট্টার ক্ষতি হয়েছে।’ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তিনি সদর উপজেলার কৃষকদের প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন।
মেহেরপুরে ২০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে উঠতি ফসল ভুট্টা, মসুর, আলু, গম, পেঁয়াজ, আম ও লিচুর মুকুলের। সদর উপজেলার আমঝুপি, রাজনগর, বারাদি, সিংহাটিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে চুয়াডাঙ্গায়ও ফসলের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি। পরে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ২০ মিনিট ধরে চলতে থাকে এ শিলা। অনেক জমিতে ভেঙে পড়েছে ভুট্টা, কলা, পেঁপেগাছ। নুয়ে পড়েছে গমগাছ। নষ্ট হয়েছে মসুর ও সরিষাখেত।
সদর উপজেলার কোলা গ্রামের বাগান মালিক আহম্মেদ আলী বলেন, ‘এর আগে এমন শিলাবৃষ্টি আর দেখিনি। আমঝুপিসহ বিভিন্ন গ্রামে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বাগান কেনা হয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, কারণ এ সময়ে অনেক গাছে মুকুল এসেছে। শিলার কারণে সব মুকুল নষ্ট হয়ে যাবে।’ ঋণ করে বাগানগুলো কিনেছেন বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলার বারাদি গ্রামের কৃষক বেলাল উদ্দিন মানিক বলেন, গত দুই সপ্তাহে দুইবার বৃষ্টি ও আজ শিলা (রোববার) বৃষ্টি হয়েছে। আমার ২ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ রয়েছে। সমস্ত গাছ ভেঙে মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এখান থেকে কোনো কিছুই পাব না। এতে আমার ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হবে।’
একই গ্রামের চাষি ইমাদুল বলেন, ‘আমার জমিতে ভুট্টা, শসা ও গমের আবার রয়েছে। হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেছে। এতে আমার ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, ‘এ সময় শিলাবৃষ্টি মানেই ক্ষতি। তবে শিলাবৃষ্টি কয়েকটি অঞ্চলে হয়েছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। ক্ষতির পরিমাণ হিসাব-নিকাশ করে পরে জানানো হবে।’
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায়ও ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বেলা ৩টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো বৃষ্টি। পরে বৃষ্টির সঙ্গে ঝরতে থাকে শিলা। শিলাবৃষ্টির তাণ্ডব চলে ১৮ মিনিট। শিলাবৃষ্টি থামলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল অনেকক্ষণ। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া। গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় রাস্তায় স্বাভাবিক চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক জানান, ১৮ মিনিট ধরে চলে ঝোড়ো ও শিলাবৃষ্টি। দমকা হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
হঠাৎ এমন শিলা ও ঝোড়ো বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের খেত। প্রচুর লোকসানের আশঙ্কা কৃষকদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের জিনজিরা খাতুন বলেন, ‘জীবনে এত ভয়ংকর ও বুক কাঁপানো শিলাবৃষ্টি দেখিনি। উঠানে যে শিল কুড়িয়ে পেয়েছি সেগুলো অনেক বড় বড়।’
একই গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রীষ্মকালীন তরমুজ লাভজনক আর এখন রোপণের সময়। ফসলটিতে শুরু থেকেই অনেক বেশি ব্যয় হয়। কিন্তু এবারে সব শেষ। কয়েক দিন হলো চারা রোপণ করেছিলাম। দুর্ভাগ্য, শিলাবৃষ্টিতে সব শেষ। ১ বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে লোকসান।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা যুবায়ের মাসুর বলেন, ‘ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমির প্রায় ৪০ শতাংশ ভুট্টার ক্ষতি হয়েছে।’ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তিনি সদর উপজেলার কৃষকদের প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪