Ajker Patrika

গণশৌচাগারের জায়গা দখল করে দোকান কাউন্সিলরের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২২, ১৫: ৫৪
গণশৌচাগারের জায়গা দখল করে দোকান কাউন্সিলরের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি গণশৌচাগারের (টয়লেট) জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনপুরে জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধভাবে দোকানে তৈরি করা হয়েছে। ওই দোকানে এখন কনফেকশনারির ব্যবসা করছেন গণশৌচাগারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোরবান মিয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা বলছে, কাউকে দোকান নির্মাণ করার কথা বলা হয়নি। জেলা পরিষদ বলছে, দোকান নির্মাণ করা জায়গাটি কাউকে জেলা পরিষদ লিজ দেয়নি। এর সঙ্গে জড়িতদের চিঠি দেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঃ১৯৯৭ সালে আমিনপুর গ্রামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের জায়গায় সমন্বয় করে পৌরসভা একটি গণশৌচাগার তৈরি করে। কয়েক বছর পর গণশৌচাগারটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে যায়। গত পৌর নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন ফারুক মিয়া। গণশৌচাগারের ঠিক পাশে জেলা পরিষদের মার্কেটে তাঁর কার্যালয়। কাউন্সিলর হওয়ার পর তিনি নিজ গ্রামের কোরবান মিয়াকে গণশৌচাগারটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেন। কোরবান মিয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর গণশৌচাগারটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু ইজারাদার গণশৌচাগারটির আকৃতি বদল করেন। এ সময় গণশৌচাগারের সামনে একটি দোকান তৈরি করার নির্দেশ দেন কাউন্সিলর ফারুক মিয়া। জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গায় কোনো প্রকার অনুমোদন না নিয়ে স্থায়ীভাবে একটি দোকান তৈরি করা হয়। ওই দোকানটিতে এখন কনফেকশনারির ব্যবসা করছেন কোরবান মিয়া।

এই নিয়ে জানতে চাইলে কোরবান মিয়া বলেন, ‘আমার কাছে গণশৌচাগারটি হস্তান্তর করার পর তা সংস্কার করেছি। আগে অনেক অপরিষ্কার ছিল। এই সংস্কার করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আর এই দোকানটি ফারুক ভাইয়ের নির্দেশে আমি তৈরি করেছি।’

এই নিয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’

জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার রজব আলী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমিনপুরের এই দোকান নির্মাণ করা জায়গাটি কাউকে জেলা পরিষদ লিজ দেয়নি। তাঁদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এই বিষয়ে জড়িতদের চিঠি দেওয়া হবে।’

তবে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক মিয়া বলেন, ‘কোরবান মিয়ার কথা সঠিক নয়। তিনি বসতে পারেন না বলে দোকান তৈরি করেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত