Ajker Patrika

৯০ হাজার গ্রাহকের ঘরে বসবে স্মার্ট মিটার

কাউছার আলম, পটিয়া
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ৪৮
৯০ হাজার গ্রাহকের ঘরে বসবে স্মার্ট মিটার

বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের আওতায় আসছেন পটিয়ার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অধীনে থাকা গ্রাহকেরা। প্রথম পর্যায়ে ৯০ হাজার গ্রাহক পাবেন এ সুবিধা। পর্যায়ক্রমে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরাও এ সুবিধার আওতায় আসবেন। পটিয়ার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে এমনটা জানা গেছে।

জানা যায়, স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোনস অফ বিপিডিবিথ শীর্ষক একটি প্রকল্পের প্রস্তাব গেছে পরিকল্পনা কমিশনে। এতে মোট ১০ লাখ ২০ হাজার সিঙ্গেল ফেজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন, ৩০ হাজার থ্রি-ফেজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১৯ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১৬৯ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। এশীয় উন্নয়ন উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তা থেকে নেওয়া হবে ৩২৮ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে নেওয়া হবে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

অনুমোদন পেলে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চারটি বিতরণ জোনের অধীনে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও সিলেটের আওতাধীন ২৫টি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সব গ্রাহককে স্মার্ট প্রি-প্রেমেন্ট মিটার ব্যবহারের আওতায় আনা যাবে।

পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিদ্যমান পোস্টপেইড মিটার সিস্টেমে যথাসময়ে বিল পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে সিস্টেম লস তুলনামূলকভাবে বেশি। এ ছাড়া, বর্তমান পদ্ধতিতে অনুমোদিত লোডের চেয়ে বাড়তি লোড ব্যবহার এবং মিটার টেম্পারিং রোধের সুযোগ নেই।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পটিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী (বিতরণ বিভাগ) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমাদের পিডিবির পটিয়া জোনে ৯০ হাজার গ্রাহক আছে। সবাই স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের আওতায় আসছে।

তিনি জানান, স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সিস্টেম লস কমানো যাবে, অন্যদিকে যথাসময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের মাধ্যমে শতভাগ রাজস্ব আদায়ও সহজ হবে। আবার গ্রাহকের অনুকূলে বরাদ্দ করা লোডের অতিরিক্ত লোড ব্যবহার করা হলে মিটার টেম্পারিং সংকেত দেওয়ার মাধ্যমে লোড বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত