Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ, তদন্ত শুরু

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১১: ১৯
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ, তদন্ত শুরু

কলাপাড়ায় মাদ্রাসা কক্ষে রাখা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার ২০ বছর পর আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আ. মান্নান শরীফের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহনাজ মিথুন মুন্নী’র নির্দেশে জেলা প্রশাসন এই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।

জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আলী বয়াতী ২০০১ সালে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর মাওলানা আ. মান্নান শরীফের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা কক্ষে রাখা বঙ্গবন্ধুর বাঁধাই করা ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ দেন। যার অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগে, তিনি মাদ্রাসা সুপারকে জামায়াত নেতা, মামলাবাজ উল্লেখ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় নিয়োগে দুর্নীতি, সরকারি অনুদানের অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী ইউসুফ আলী বয়াতী বলেন, ‘২০০১ সালে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আ. মান্নান শরীফ মাদ্রাসা কক্ষে টানানো বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ভাঙচুর করেন। ২০ বছর পর এই সংক্রান্ত তথ্য শোনা ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়ায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে তাঁর কাছে ভাঙচুরের কোনো ভিডিও ক্লিপ নেই। সাক্ষ্য প্রমাণ আছে।’

অভিযুক্ত আক্কেলপুর মাদ্রাসা সুপার মান্নান শরীফ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে যোগদান করার পর বিএনপি নেতা ইউসুফ আলী বয়াতী, রুহুল আমিন আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এবার চাকরিচ্যুত করতে এমন স্পর্শকাতর মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘ইউসুফ আলী বয়াতীর সঙ্গে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলমান। তাঁর বাবা এক সময় নায়েবে মোতোয়াল্লী ছিলেন। তাঁর বাবার মৃত্যুতে তিনি ওই পদে যেতে চান। এতে আপত্তি করায় তিনি ষড়যন্ত্র করছেন।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি অনেক দিন আগের। স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্ত শেষ করতে একটু সময় লাগবে।’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ তদন্তাধীন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত