Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধু টানেলের নিরাপত্তার জন্য ডগ স্কোয়াড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
Thumbnail image

নির্মাণকাজ শেষ। আগামী অক্টোবরে খুলে দেওয়া হবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এখন গুরুত্বপূর্ণ এই যোগাযোগ অবকাঠামোটির নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এ জন্য চাওয়া হয়েছে ‘ডগ স্কোয়াড’।

বঙ্গবন্ধু টানেলের এক প্রান্তে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এবং অন্য প্রান্তে আনোয়ারা উপজেলা। টানেলকেন্দ্রিক পুলিশি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য দুই প্রান্তে দুটি থানা স্থাপনের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু থানার অনুমোদন না পাওয়ায় এখন দুই প্রান্তে ফাঁড়ি স্থাপন করে নিরাপত্তার পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৬ জন এএসআই, ২ জন নায়েক ও ৩৫ জন কনস্টেবল চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকবে ডগ স্কোয়াডও ।

দুই প্রান্তেই টানেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে আছেন সিএমপির বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা। তিনি জানান, ২০১৬ সালে গঠিত বিশেষায়িত ডগ স্কোয়াড দিয়ে টানেলের নিরাপত্তা দিতে চায় সিএমপি। এ ক্ষেত্রে ‘কে-৯’ নামের একটি বিশেষায়িত ডগ স্কোয়াডকে ঘিরে পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

১০টি অনুসন্ধানী কুকুরের একটি স্কোয়াড খুব শিগগির ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন সিএমপির উপকমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) আবদুল ওয়ারিশ। তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত এসব কুকুরকে যেকোনো বিশেষ স্থাপনায় কিংবা জায়গায় কাজে লাগানো হবে।

টানেলের নিরাপত্তায় ডগ স্কোয়াড বিশেষ কী ভূমিকা রাখতে পারে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, পাহারাদার বা অনুসন্ধানী কুকুরের কাজ হচ্ছে যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষার পরেও লুক্কায়িত থাকা বস্তু আবিষ্কার করা। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলা কুকুর ঘ্রাণশক্তি ব্যবহার করে লুক্কায়িত বোমা ও দাহ্য বস্তু আবিষ্কার করতে সক্ষম। এ কারণে অনুসন্ধানী কুকুরকে বিশেষ জায়গায় কিংবা স্থাপনায় নিরাপত্তা বিধানের কাজে লাগানো হয়। বঙ্গবন্ধু টানেলও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্থাপনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত