Ajker Patrika

সুকন্যা এখন কোথায়

আল-আমিন রাজু, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ১০: ২৪
সুকন্যা এখন কোথায়

লন্ডনপ্রবাসী বাবার একমাত্র মেয়ে ইয়াশা মৃধা সুকন্য়া থাকেন রাজধানীর মুগদা এলাকায় মা নাজমা ইসলামের সঙ্গে। চলতি বছর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সুকন্যা। গত ২৩ জুন মডেল টেস্ট দিতে কলেজে যান তিনি। কিন্তু পরীক্ষা শেষে তিনি আর মায়ের কাছে ফিরে আসেননি।

নাজমা বেগমের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মেকানিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহম্মেদ চিশতীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নাজমা। তাঁর দাবি, ইশতিয়াকের সঙ্গে সুকন্যার সম্পর্ক ছিল। নাজমার মামলায় ইশতিয়াক এখন কারাগারে।

মেয়ে নিখোঁজের দিনের বর্ণনা দিয়ে নাজমা বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে ক্লাসে গিয়ে দেখি সুকন্যা নেই। ওর বান্ধবীরা জানায়, সে আগেই পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে গেছে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে ২৫ জুন অপহরণ মামলা করি। পুলিশ তদন্তে গিয়ে দেখে, সেদিন বেইলি রোড থেকে সুকন্যাকে ইশতিয়াক ও তার কয়েকজন বন্ধু গেন্ডারিয়া এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানকার বিভিন্ন সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে রাত ৮টার দিকে সুকন্যাকে একা একটি রিকশায় দেখা গেছে। সেদিন রাতে সুকন্যার সঙ্গে মোবাইল না থাকলেও রাত ৮টার দিকে তাঁর আইডি থেকে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল, আম্মু আমি বাসায় আসতেসি। কিন্তু আজও সুকন্যা বাসায় ফেরেনি।’

নাজমা আরও বলেন, ‘মামলা করার পরে প্রথম দিকে পুলিশ আমাকে সহযোগিতা করলেও এখন তারা কিছুই বলছে না। মামলা করার পরে পরপর পাঁচ দিন থানায় গেলেই আমাকে বসিয়ে রাখা হতো। কিন্তু কেউ কিছু বলত না। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মামলা তদন্তের আবেদন করেছি। সেখান থেকেও কোনো তথ্য পাচ্ছি না।’

ইশতিয়াকের বড় বোন লিমা মজুমদার মামলা প্রভাবিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েটির তিন মাসের সম্পর্ক। আমরা অবশ্য তেমন কিছু জানি না। ঘটনার দিন সে আমার ভাইয়ের সঙ্গে ছিল। কিন্তু আমার ভাই তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়ার পর সে কোথায় গেছে, তা সে সম্পর্কে আমারা তেমন কিছু জানি না। আমরাও চাই, মেয়েটি উদ্ধার হোক। মামলায় কোনো ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা করব।’

মামলার তদারকি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মিশু বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। এই মামলায় ইশতিয়াক নামের একজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। কী ঘটেছে সেটি ভুক্তভোগীকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত