Ajker Patrika

‘মাদক নিরাময়কেন্দ্রগুলো নিয়ে কাজ করছে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৩: ০৮
‘মাদক নিরাময়কেন্দ্রগুলো নিয়ে কাজ করছে সরকার’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেছেন, ‘বেসরকারিভাবে মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা যাতে মানসম্মত হয়, সেদিকে আমরা ধাবিত হচ্ছি। তাঁদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনিং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’

গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্টেশন রোডের মোটেল সৈকতে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন’ বিষয়ক কর্মশালায় আব্দুস সবুর মণ্ডল এই কথা বলেন। কর্মশালাটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজক হিসেবে ছিল।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের ৩৭১টি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র ছিল। এখন তা কমিয়ে ৩৬২টি করা হয়েছে। বাকিগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। গত দুই তিন মাসে আমরা অনেক নিরাময় কেন্দ্র কমিয়েছি। আরও দুটি নিরাময় কেন্দ্র বাতিলের সুপারিশ এসেছে। কারণ তাঁরা সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছেন না। তাঁদের ব্যবস্থাপনাও ঠিক নেই। এভাবে দিনদিন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলোর সংখ্যা কমে যাবে।’

আব্দুস সবুর আরও বলেন, বিভিন্ন নিরাময় কেন্দ্রগুলোর অব্যবস্থাপনা মনিটরিং করার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে দুটি মনিটরিং কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। একটির সভাপতি হচ্ছেন বিভাগীয় কমিশনার। আরেকটি হচ্ছে জেলা প্রশাসক। কমিটি নিরাময় কেন্দ্রগুলোর পরিদর্শন করে যা সুপারিশ করার তা করবেন।

মাদকাসক্তদের ডোর টু ডোর চিকিৎসার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের দেশে যে পরিমাণ মাদকাসক্ত রয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য এখনো দেশে সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। এ জন্য আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদি গাইডলাইন তৈরি করছি। যাতে দেশের সব জায়গায় মাদকাসক্তদের বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসা দেওয়া যায়।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, সাইকোলজিস্ট ছাড়া মাদকাসক্তদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বাংলাদেশে সাইকোজিস্টদের সংখ্যা খুবই কম। এরা বেশির ভাগই ঢাকায় থাকেন। সাইকোলোজিস্টদের সংখ্যাও কম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা ভাবনা রয়েছে পরিবার পরিকল্পনায় যারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছে। তাঁদের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাদকাসক্তদের কাউন্সেলিং করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এটা নিয়ে একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন তৈরি হবে বলে আশা করছি। আপাতত কোনোরকম চালিয়ে নেওয়ার জন্য একটি গাইডলাইন আগামী দুই চার মাসের মধ্যে তৈরি করতে পারব বলে আশা করছি। এরপরে অবকাঠামোগত বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হবে। ডিজি আরও বলেন, মাদক নির্মূলে ডোপ টেস্টের জন্য একটি বিধিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এটা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন হয়ে আসবে।

এর আগে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) মো. মোকাব্বির হোসেন, বিজিবি (বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ) ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আজগর, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে কেন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন চাননি সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক করল শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি

ছাত্র-জনতার মিছিলের মুখে পড়েন এক মন্ত্রী

কক্সবাজারে পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠকের খবর, ‘গুজব’ বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত