Ajker Patrika

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের শিক্ষা

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ম্যাচে বারবার বৃষ্টির বাগড়া থাকায় বোলারদের সেভাবে পরীক্ষা দিতে হয়নি সেদিন। গতকাল জহুর আহমেদে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটারদের সঙ্গে বোলাররাও হতাশ করলেন।

গত দুই বছরে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের উন্নতি বেশ প্রশংসিতই হচ্ছিল। কিন্তু গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানদের সামনে একেবারেই নির্বিষ হয়ে গেলেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথম উইকেট পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৭ ওভার পর্যন্ত। ততক্ষণে গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের ওপেনিং জুটিতে আফগানিস্তান স্কোরে জমা করে ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ ২৫৬ রান।

লড়াইয়ের স্কোর যেন ওপেনিং জুটিতেই পেয়ে যায় আফগানিস্তান। পরে গুরবাজ ও ইব্রাহিমের সেঞ্চুরিতে স্কোরটা ঠিকই ৩৩১ হয়ে যায়।এক সাকিব ছাড়া এই ম্যাচে বোলিং করা বাকি পাঁচ বোলারই রান দিয়েছেন ৬ কিংবা তার বেশি ইকোনমি রেটে।

কয়েক দিন ধরে অনুশীলনে বোলারদের লেংথ ও ইনসুইংয়ের ক্লাস নিয়েছেন অ্যালান ডোনাল্ড। ব্যাটিংসহায়ক উইকেটে পেসাররা যেন আরও কার্যকর হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের বোলাররা গতকাল লেগ স্টাম্প কিংবা এর বাইরেই বেশি বোলিং করেছেন। গুরবাজ-ইবরাহিমরা এমন কঠিন বলেই সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মেরেছেন।

বাংলাদেশের তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও ইবাদত হোসেন ৬০-এর ওপর রান বিলিয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে টানা দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও বাংলাদেশের এমন হতশ্রী বোলিং অশনিসংকেতই হয়ে রইল।

ওয়াইড-নো ১৩টি, মোট এক্সট্রা ৩৩ রান বলে দিচ্ছে কতটা বিশৃঙ্খল বোলিং করেছেন বোলাররা। এমন বাজে দিনে আবার চিন্তা বাড়িয়েছে ইবাদতের চোট। গতকাল বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাসকিন আহমেদকে। তাঁর জায়গায় একাদশে সুযোগ পান ইবাদত।

প্রথম ওয়ানডের আগের দিন অনুশীলনে তাসকিনকে দেখে মনে হয়নি প্রাণবন্ত ছিলেন। বারবার পাঁজরে হাত রাখছিলেন। পূর্ণ ছন্দে বোলিংও করেননি। যদিও প্রথম ওয়ানডে তিনি খেলেছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় ওয়ানডে তাসকিন না থাকাও পুরোনো চোট ফিরে আসারই ইঙ্গিত মেলে। যদি ইবাদতের চোটও গুরুতর হয়, নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়বে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের।

যে বোলিং দিনের পর দিন অনায়াসে দলকে জেতাচ্ছিল, তাদের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ল আফগানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনে। ছন্নছাড়ার বোলিংয়ের ব্যাখ্যায় সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ বললেন, ‘আমাদের বোলাররা ৩০-৪০ রান বেশি দিয়েছে। যদি আরেকটু সুশৃঙ্খল বোলিং করতে ২৮০-২৯০ রানে আটকাতে পারল, হয়তো জয়ের একটা সম্ভাবনা থাকত।’

 বোলারদের বাজে দিনে ব্যাটারদের সুযোগ ছিল ম্যাচের হাল ধরার। বিশ্বকাপে অনেক ম্যাচে বড় স্কোর তাড়া করতে হবে ব্যাটারদের।কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো এবারও ব্যর্থ ব্যাটাররা।

মিরাজ মনে করেন, লক্ষ্য বড় হলেও টপ অর্ডার ভালো করলে এভাবে হারতে হতো না তাঁদের। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার বলেন, ‘যদি টপ অর্ডার ভালো ইনিংস খেলতে পারত, মিডল অর্ডার তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করত, তাহলে আমাদের জন্য চাপ কমে যেত।’

ধর্মশালায় বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামার আগে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ‘প্রস্তুতি’তে বড় পার্থক্যই যেন ফুটে উঠল। এ হার বড় শিক্ষা হিসেবে দেখছেন মিরাজ, ‘আশা করি বিশ্বকাপের আগে এ সিরিজের সমস্যাগুলো বের করে আমরা আরও ভালো প্রস্তুতি নিতে পারব আমরা।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত