Ajker Patrika

সবুজে-সবুজে মাঈনের দিনবদল

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৪৩
সবুজে-সবুজে মাঈনের দিনবদল

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর আগে মাছ চাষ ও গরুর খামার করতেন মো. মাঈন উদ্দীন। কিন্তু ভাগ্য তাঁর সহায় হয়নি। ঋণ করা পুঁজি হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। পরে বড় বোনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ধার নিয়ে নার্সারির ব্যবসা শুরু করেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। মাত্র দেড় বছরেই মাঈনের ব্যবসায় বিনিয়োগ বেড়ে ১৭ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের পূর্ব শাহা দৌলতপুরে মো. মাঈন উদ্দীনের নার্সারি। নাম দিয়েছেন ভিক্টোরিয়া অ্যাগ্রো অ্যান্ড নার্সারি। পাঁচ শতক জমিতে ২৭০টি গাছ দিয়ে নার্সারির যাত্রা শুরু। এখন সেই নার্সারির আয়তন বেড়ে ৮৫ শতক হয়েছে। সেখানে ১৬০ প্রজাতির প্রায় ১৭ হাজার গাছ রয়েছে। এসব প্রজাতির মধ্যে কিছু দুর্লভ ফুল, ফল ও কাঠের গাছের চারাও রয়েছে।

মাঈন জানান, নার্সারি শুরুর পর প্রথমে অনলাইনেই কেনাবেচা করতেন। এখন অবশ্য অনলাইন-অফলাইন দুই পদ্ধতিতেই ব্যবসা চলছে। বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে হাত দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলায় চুক্তিতে বাগান করার কাজে। এরই মধ্যে খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চুক্তিতে ১২টি কাজ করেছেন তিনি।

কিছু পেয়ারা, সুপারি, বরই, লেবু, মাল্টা ও কমলার চারা দিয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু মাঈনের ভিক্টোরিয়া অ্যাগ্রো অ্যান্ড নার্সারির। এখানে এখন যে প্রায় ১৭ হাজার দেশি-বিদেশি গাছের চারা রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে হরিমন ৯৯ আপেল, নাশপাতি, রামবুটান, ত্বিন ফল, মালয়েশিয়ান ব্ল্যাক বেরি, অস্ট্রেলিয়ান চেরি, ভিয়েতনামি লাল কাঁঠাল, শ্বেত চন্দন, আগর, থাই লঙ্গান, রুবি, ভিয়েতনামি পিং কাঁঠাল, ভিয়েতনামি নারিকেলের চারা অন্যতম। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে হাইব্রিড ছোট জাতের সুপারি, মিয়ানমারের সুপারি, থাই লাল শরিফা, থাই ড্রাগন, আম, থাই পেয়ারা।

ভিক্টোরিয়া অ্যাগ্রো অ্যান্ড নার্সারির স্বত্বাধিকারী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকেই মাছ চাষ ও গরুর খামার করতাম। করোনার প্রথম ঢেউয়ে লোকসানে পড়ি। পরে একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর পরামর্শে ভিক্টোরিয়া অ্যাগ্রো অ্যান্ড নার্সারি নামে ফেসবুকে পেজ খুলে চারা বিক্রি শুরু করি। বড় বোনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে এ ব্যবসার শুরু। নিজের নার্সারির পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে গাছ এনে বিক্রি করছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বিক্রি করছি। ফুল, ফল, বৃক্ষের পাশাপাশি জৈব সার, রেডিমিক্স সার নিয়েও কাজ করছি। বাসাবাড়ি ও অফিসে চুক্তির ভিত্তিতে বাগান করে দিই। এ বিষয়ে আমি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছি।’

হর্টিকালচার সেন্টার কুমিল্লার উপপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘অনেক তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছেন, যাঁরা মাঠপর্যায়ে কাজ করেন। হয়তো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তবে তাঁরা ভালো কাজ করেন। তাঁদের জন্য সরকারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ বীজ, চারা সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত