সম্পাদকীয়
কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটির টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে মানুষের মনের আনন্দ কিছুটা ম্রিয়মাণ হলেও এই আনন্দ সংবাদ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া অন্যায় হবে না। বহুদিন ধরে ট্রেনে করে কক্সবাজারে যাওয়া নিয়ে অনেক পরিকল্পনা হয়েছে। এখন সেই কল্পনা সত্যে রূপান্তরিত হচ্ছে।
এই আলোচনা শুরু করার আগে এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি আকর্ষণীয় কাহিনি বলা দরকার। গোয়েন্দাকাহিনির অন্যতম সেরা লেখক আগাথা ক্রিস্টির লেখা ‘ওরিয়েন্টাল এক্সপ্রেস’ নামের উপন্যাসটির কথাই সবার আগে মনে পড়ছে। এই উপন্যাস নিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়েছে। গোয়েন্দা শিরোমণি এরক্যুল পুয়ারো সেই ট্রেনেই কীভাবে একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করেন, তা নিয়ে কাহিনি। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ নামের বলিউডি চলচ্চিত্রটিও ভিন্নভাবে সাধারণ দর্শকের মন আকর্ষণ করেছে। সেই সূত্রে বলা যায়, আমাদের দেশের ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ও কোনো একদিন চলচ্চিত্রের বিষয় হয়ে উঠলে মন্দ হবে না।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত আমাদের পর্যটনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এমন নয়নাভিরাম সমুদ্রসৈকতে কিছুটা সময় কাটানোর আশা থাকে অনেকেরই। যদিও অপরিকল্পিতভাবে কক্সবাজার শহরটিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেল, দোকানপাট, তবু কক্সবাজারের সৈকত অনেকের কাছে আজও স্বপ্নের সৈকত। একটি সৈকত-শহরকে যতটা মনোযোগ দিয়ে গড়ে তোলা উচিত ছিল, তা মেনে চলা হয়নি। তাই শহরটিতে যে স্বপ্ন নিয়ে প্রথম আসে পর্যটক, সেই স্বপ্নের কতটা পূরণ হয়, তা নিয়ে শুধু কল্পনাই করা যেতে পারে। তাই বলে পর্যটন শহরটিতে আসার লোভ সংবরণ করা খুব সহজ নয়।
আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে যে কটি স্থানের কথা শোনা যায়, তার মধ্যে কক্সবাজারকে একেবারে সামনের সারিতে রাখতে হয়। তাই এই সৈকতের সঙ্গে দেশের অন্য সব অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত থাকা জরুরি। কক্সবাজার পর্যটন শহর আগে কখনো ট্রেন দেখেনি। এ বছর এই সংযোজন সাধুবাদযোগ্য। ট্রেনভ্রমণের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো, অন্য অনেক ভ্রমণের চেয়ে এই ভ্রমণ সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক। কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের অন্য অঞ্চলগুলোর বাস, বিমান যোগাযোগ থাকলেও ট্রেন যোগাযোগটা আবশ্যকীয় ছিল। এখন এই বাহন পর্যটন অঞ্চলে নিয়ে যেতে পারবে সমুদ্রদর্শনপ্রত্যাশী মানুষকে।
ট্রেনের টিকিটপ্রাপ্তি, ভ্রমণে রেল কর্মচারীদের ব্যবহার, পরিচ্ছন্নতা, ট্রেনের রেস্তোরাঁটির অবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদি যেন সুচারুভাবে যাত্রীর কাছে সহজলভ্য হয়, সেটাই সবচেয়ে জরুরি চাওয়া। অনলাইনে এখন টিকিট কাটা যাবে সত্য, কিন্তু সেখানে কর্তৃপক্ষের কোনো অসৎ কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ‘হাতযশ’-এর কারণে টিকিটের সংকট তৈরি হবে কি না, সেই প্রশ্ন এড়ানো যাবে না।
আমাদের দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ‘দুই নম্বরি’ এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে, কোনো কিছু সহজ-স্বাভাবিকভাবে আয়ত্ত করা যাবে—এ রকম ভাবতে সংশয় আসে মনে। আমরা চাইব, শুধু কক্সবাজার এক্সপ্রেসই নয়, আমাদের দেশের সব ট্রেনে ভ্রমণ যেন সুলভ, নিরাপদ হয় এবং টিকিটপ্রাপ্তিতে বাদ সাধার জন্য যেন কোনো কালোহাতের অস্তিত্ব না থাকে।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটির টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে মানুষের মনের আনন্দ কিছুটা ম্রিয়মাণ হলেও এই আনন্দ সংবাদ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া অন্যায় হবে না। বহুদিন ধরে ট্রেনে করে কক্সবাজারে যাওয়া নিয়ে অনেক পরিকল্পনা হয়েছে। এখন সেই কল্পনা সত্যে রূপান্তরিত হচ্ছে।
এই আলোচনা শুরু করার আগে এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি আকর্ষণীয় কাহিনি বলা দরকার। গোয়েন্দাকাহিনির অন্যতম সেরা লেখক আগাথা ক্রিস্টির লেখা ‘ওরিয়েন্টাল এক্সপ্রেস’ নামের উপন্যাসটির কথাই সবার আগে মনে পড়ছে। এই উপন্যাস নিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়েছে। গোয়েন্দা শিরোমণি এরক্যুল পুয়ারো সেই ট্রেনেই কীভাবে একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করেন, তা নিয়ে কাহিনি। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ নামের বলিউডি চলচ্চিত্রটিও ভিন্নভাবে সাধারণ দর্শকের মন আকর্ষণ করেছে। সেই সূত্রে বলা যায়, আমাদের দেশের ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ও কোনো একদিন চলচ্চিত্রের বিষয় হয়ে উঠলে মন্দ হবে না।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত আমাদের পর্যটনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এমন নয়নাভিরাম সমুদ্রসৈকতে কিছুটা সময় কাটানোর আশা থাকে অনেকেরই। যদিও অপরিকল্পিতভাবে কক্সবাজার শহরটিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেল, দোকানপাট, তবু কক্সবাজারের সৈকত অনেকের কাছে আজও স্বপ্নের সৈকত। একটি সৈকত-শহরকে যতটা মনোযোগ দিয়ে গড়ে তোলা উচিত ছিল, তা মেনে চলা হয়নি। তাই শহরটিতে যে স্বপ্ন নিয়ে প্রথম আসে পর্যটক, সেই স্বপ্নের কতটা পূরণ হয়, তা নিয়ে শুধু কল্পনাই করা যেতে পারে। তাই বলে পর্যটন শহরটিতে আসার লোভ সংবরণ করা খুব সহজ নয়।
আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে যে কটি স্থানের কথা শোনা যায়, তার মধ্যে কক্সবাজারকে একেবারে সামনের সারিতে রাখতে হয়। তাই এই সৈকতের সঙ্গে দেশের অন্য সব অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত থাকা জরুরি। কক্সবাজার পর্যটন শহর আগে কখনো ট্রেন দেখেনি। এ বছর এই সংযোজন সাধুবাদযোগ্য। ট্রেনভ্রমণের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো, অন্য অনেক ভ্রমণের চেয়ে এই ভ্রমণ সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক। কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের অন্য অঞ্চলগুলোর বাস, বিমান যোগাযোগ থাকলেও ট্রেন যোগাযোগটা আবশ্যকীয় ছিল। এখন এই বাহন পর্যটন অঞ্চলে নিয়ে যেতে পারবে সমুদ্রদর্শনপ্রত্যাশী মানুষকে।
ট্রেনের টিকিটপ্রাপ্তি, ভ্রমণে রেল কর্মচারীদের ব্যবহার, পরিচ্ছন্নতা, ট্রেনের রেস্তোরাঁটির অবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদি যেন সুচারুভাবে যাত্রীর কাছে সহজলভ্য হয়, সেটাই সবচেয়ে জরুরি চাওয়া। অনলাইনে এখন টিকিট কাটা যাবে সত্য, কিন্তু সেখানে কর্তৃপক্ষের কোনো অসৎ কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ‘হাতযশ’-এর কারণে টিকিটের সংকট তৈরি হবে কি না, সেই প্রশ্ন এড়ানো যাবে না।
আমাদের দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ‘দুই নম্বরি’ এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে, কোনো কিছু সহজ-স্বাভাবিকভাবে আয়ত্ত করা যাবে—এ রকম ভাবতে সংশয় আসে মনে। আমরা চাইব, শুধু কক্সবাজার এক্সপ্রেসই নয়, আমাদের দেশের সব ট্রেনে ভ্রমণ যেন সুলভ, নিরাপদ হয় এবং টিকিটপ্রাপ্তিতে বাদ সাধার জন্য যেন কোনো কালোহাতের অস্তিত্ব না থাকে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪