আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা একটি বড় সমস্যা। তবে সম্প্রীতির উদাহরণেরও কোনো অভাব ছিল না। এসব ঘটনা মানুষকে প্রেরণা দিয়েছে। এ রকম নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন ভারতের দিল্লির পাশের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রাম জেলার এক হিন্দু ব্যবসায়ী ও শিখ ধর্মাবলম্বীরা।
গুরুগ্রামে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কয়েকটি জায়গায় শুক্রবার দিন জুমার নামাজ আদায় করত মুসলমানরা। স্বাভাবিকভাবেই এটা চলছিল। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর ‘ভারত মাতা বাহিনী’ নামের একটি সংগঠনের নেতা দীনেশ ভারতীর নেতৃত্বে অল্প কিছু লোক জুমায় বাধা দেয়। গুরুগ্রামের ৪৭ সেক্টরের এ ঘটনার পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে ১২ নম্বর সেক্টর ও আরও কয়েকটি জায়গায় এমনটি ঘটতে থাকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম স্ক্রল ডট ইন জানায়, এ অবস্থায় অক্ষয় যাদব (৪০) নামের এক বন্য প্রাণী পর্যটন ব্যবসায়ী ১২ নভেম্বর (শুক্রবার) ১২ নম্বর সেক্টরে নিজের ঘরে, মালিকানাধীন হাসপাতালের ছাদে এবং খালি থাকা একটি দোকানে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মুসলমানদের আহ্বান জানান।
থাকার জায়গা হওয়ায় ঘরে এবং ছাদে উঠতে জটিলতা থাকায় হাসপাতালে না করে শুধু যাদবের খালি দোকানে জুমার নামাজের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় মুসলমানরা।
স্ক্রলকে যাদব বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনা দেখে-শুনে কিছু একটা করার কথা ভাবছিলাম। একটা পর্যায়ে আমার নিজের জায়গায় মুসলমানদের জুমার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিই। চলমান সমস্যার যত দিন সমাধান হবে না, তত দিন এটা চলবে।’
স্ক্রল প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে পাশে থাকা স্থানীয় তাওফিক আহমেদকে (৪১) দেখিয়ে যাদব বলেন, ‘আমরা পরস্পরকে ১৬ বছর ধরে চিনি। আমরা বন্ধু। আমরা তাওফিকের ঘরে যাই। তাদের সন্তানদের সঙ্গে মিশি। তারাও আমাদের ঘরে আসেন। আমরা সন্তানদের সাম্প্রদায়িকতার গন্ধমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে বড় করতে চাই।’
তাওফিক আহমেদ বলেন, ‘সব হিন্দু এক রকম নয়, এটাই আমি সবার মধ্যে প্রচার করছি। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে সমাজে অবিশ্বাস অনেক কমবে, মানুষ আশ্বস্ত হবে।’
যাদবের পর একই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এলেন গুরুগ্রামের শিখ ধর্মের নেতারা। গত বুধবার নিজেদের উপাসনালয়ে বা গুরুদুয়ারায় জুমার নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয় শিখদের স্থানীয় সংগঠন ‘শ্রী গুরু সিং সভা’। নিজেদের সংগঠনের অধীনে থাকা পাঁচটি গুরুদুয়ারায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এসব গুরুদুয়ারার মধ্যে ১৯৩৪ সালে তৈরি একটি পুরোনো গুরুদুয়ারাও রয়েছে।
অনুমতি প্রসঙ্গে শ্রী গুরু সিং সভার প্রেসিডেন্ট শেরদিল সিং সিধু বলেন, ‘যা ঘটছে, তা দেখে দেখে দিন পার করার কোনো সুযোগ নেই। এ অবস্থায় আমরা জুমার জন্য গুরুদুয়ারা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’ তা ছাড়া, চলমান অবস্থার দ্রুত অবসান ঘটানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যাদব ও শিখদের এ ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় মুসলমানরা। ‘জমিয়তে ওলামায়ে-ই হিন্দে’র স্থানীয় প্রেসিডেন্ট মুফতি মুহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘এসব বিশাল ব্যাপার। এটা শুধু নামাজ পড়ার ব্যাপার নয়। সম্প্রীতির কাছে ঘৃণা পরাজিত হয়েছে।’
গুরুগ্রাম নাগরিক ঐক্য মঞ্চের সহপ্রতিষ্ঠাতা আলতাফ আহমদ বলেন, ভারত একটি মিশ্র সংস্কৃতির দেশ। এসব পদক্ষেপে সেটাই আবার প্রমাণিত হয়েছে। এ ধরনের কাজে প্রকৃত ভারতের পরিচয় ফুটে ওঠে।
ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা একটি বড় সমস্যা। তবে সম্প্রীতির উদাহরণেরও কোনো অভাব ছিল না। এসব ঘটনা মানুষকে প্রেরণা দিয়েছে। এ রকম নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন ভারতের দিল্লির পাশের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রাম জেলার এক হিন্দু ব্যবসায়ী ও শিখ ধর্মাবলম্বীরা।
গুরুগ্রামে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কয়েকটি জায়গায় শুক্রবার দিন জুমার নামাজ আদায় করত মুসলমানরা। স্বাভাবিকভাবেই এটা চলছিল। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর ‘ভারত মাতা বাহিনী’ নামের একটি সংগঠনের নেতা দীনেশ ভারতীর নেতৃত্বে অল্প কিছু লোক জুমায় বাধা দেয়। গুরুগ্রামের ৪৭ সেক্টরের এ ঘটনার পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে ১২ নম্বর সেক্টর ও আরও কয়েকটি জায়গায় এমনটি ঘটতে থাকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম স্ক্রল ডট ইন জানায়, এ অবস্থায় অক্ষয় যাদব (৪০) নামের এক বন্য প্রাণী পর্যটন ব্যবসায়ী ১২ নভেম্বর (শুক্রবার) ১২ নম্বর সেক্টরে নিজের ঘরে, মালিকানাধীন হাসপাতালের ছাদে এবং খালি থাকা একটি দোকানে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মুসলমানদের আহ্বান জানান।
থাকার জায়গা হওয়ায় ঘরে এবং ছাদে উঠতে জটিলতা থাকায় হাসপাতালে না করে শুধু যাদবের খালি দোকানে জুমার নামাজের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় মুসলমানরা।
স্ক্রলকে যাদব বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনা দেখে-শুনে কিছু একটা করার কথা ভাবছিলাম। একটা পর্যায়ে আমার নিজের জায়গায় মুসলমানদের জুমার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিই। চলমান সমস্যার যত দিন সমাধান হবে না, তত দিন এটা চলবে।’
স্ক্রল প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে পাশে থাকা স্থানীয় তাওফিক আহমেদকে (৪১) দেখিয়ে যাদব বলেন, ‘আমরা পরস্পরকে ১৬ বছর ধরে চিনি। আমরা বন্ধু। আমরা তাওফিকের ঘরে যাই। তাদের সন্তানদের সঙ্গে মিশি। তারাও আমাদের ঘরে আসেন। আমরা সন্তানদের সাম্প্রদায়িকতার গন্ধমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে বড় করতে চাই।’
তাওফিক আহমেদ বলেন, ‘সব হিন্দু এক রকম নয়, এটাই আমি সবার মধ্যে প্রচার করছি। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে সমাজে অবিশ্বাস অনেক কমবে, মানুষ আশ্বস্ত হবে।’
যাদবের পর একই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এলেন গুরুগ্রামের শিখ ধর্মের নেতারা। গত বুধবার নিজেদের উপাসনালয়ে বা গুরুদুয়ারায় জুমার নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয় শিখদের স্থানীয় সংগঠন ‘শ্রী গুরু সিং সভা’। নিজেদের সংগঠনের অধীনে থাকা পাঁচটি গুরুদুয়ারায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এসব গুরুদুয়ারার মধ্যে ১৯৩৪ সালে তৈরি একটি পুরোনো গুরুদুয়ারাও রয়েছে।
অনুমতি প্রসঙ্গে শ্রী গুরু সিং সভার প্রেসিডেন্ট শেরদিল সিং সিধু বলেন, ‘যা ঘটছে, তা দেখে দেখে দিন পার করার কোনো সুযোগ নেই। এ অবস্থায় আমরা জুমার জন্য গুরুদুয়ারা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’ তা ছাড়া, চলমান অবস্থার দ্রুত অবসান ঘটানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যাদব ও শিখদের এ ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় মুসলমানরা। ‘জমিয়তে ওলামায়ে-ই হিন্দে’র স্থানীয় প্রেসিডেন্ট মুফতি মুহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘এসব বিশাল ব্যাপার। এটা শুধু নামাজ পড়ার ব্যাপার নয়। সম্প্রীতির কাছে ঘৃণা পরাজিত হয়েছে।’
গুরুগ্রাম নাগরিক ঐক্য মঞ্চের সহপ্রতিষ্ঠাতা আলতাফ আহমদ বলেন, ভারত একটি মিশ্র সংস্কৃতির দেশ। এসব পদক্ষেপে সেটাই আবার প্রমাণিত হয়েছে। এ ধরনের কাজে প্রকৃত ভারতের পরিচয় ফুটে ওঠে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫