Ajker Patrika

পারাপারে সাঁকোই ভরসা

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ৪৮
পারাপারে সাঁকোই ভরসা

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের চর-মাদারগঞ্জ এবং খাষমহল গ্রামের মানুষের খাল পারাপারে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। এতে প্রতিদিন স্থানীয়দের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার মাদারগঞ্জ থেকে অমিতের বাজারগামী সড়কের সঙ্গে চর মাদারগঞ্জ গ্রামের সংযোগ স্থাপনকারী সড়কটিতে মোশারফের বাড়ির পাশে একটি কালভার্ট ছিল। কালভার্টটি চলতি বছরের জুলাই মাসের বন্যায় স্রোতের তোড়ে দেবে যায়, এরসঙ্গে সড়কটিও ভেঙে যায়। সেই থেকে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে কোনোমতে যাতায়াত করছেন।

ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নূর আলম জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ওই স্থানে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয় এবং সড়কটি কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এবং ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে সড়কটি আবারও উন্নয়ন করা হয়। কিন্তু চলতি বছরের বন্যায় কালভার্টটি দেবে যায় এবং সড়কটির প্রায় ১৫০ ফুট ভেঙে যায়। ভাঙা স্থানে প্রায় ৫০ ফুট গভীরতা সৃষ্টি হয়ে খালে মতো হয়ে গেছে। এতে চর মাদারগঞ্জ, খাষমহলসহ কয়েক গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদফা উচ্চ পর্যায়ে কথা বলা হয়েছে। এখানে একটি বড় আকারের সেতু করা প্রয়োজন।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ সড়কটি ভেঙে গেলেও দায়িত্বশীল কেউ খোঁজ নেননি। স্থানীয় হাসেম আলী বলেন, বন্যার সময় সড়কটি ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান মেম্বাররা কেউ দেখতে আসে নাই। বাহাদুর আলী বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভরসায় না থেকে আমরা স্থানীয়রা সবাই মিলে এই বাঁশের সাঁকো দিছি। এটা দিয়ে কোনোমতে চলাচল করি। তবে ভারী কোনো জিনিস নিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত এবং একটি সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।

বল্লভেরখাস ইউপি চেয়ারম্যান আকমল হোসেন জানান, সড়কটি মেরামতের সময় আমি ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেছিলাম। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে সেখানে পানি চলাচলের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটি বন্যার সময় দেবে যায় এবং সড়কটি ভেঙে যায়। সড়কটি আপাতত চলাচলের উপযোগী করতে যা প্রয়োজন তা করা হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান জানান, সড়কটি পুনর্নির্মাণ সম্ভব হলে সেটা করা হবে। আর সেখানে যদি সেতু নির্মাণ করার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা করা হবে। সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত