Ajker Patrika

কী হলো শান্ত-মুমিনুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ জুন ২০২২, ১১: ১০
কী হলো শান্ত-মুমিনুলের

৪, ০, ০, ৯, ২, ৫, ৬, ২, ০—মুমিনুল হকের শেষ আট ইনিংস একটি ল্যান্ড ফোন নম্বর মনে করিয়ে দেবে। বছরটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না তাঁর। অধিনায়কত্বের চাপ সরে গেলেও কাটেনি রানের খরা। ‘ব্যাড প্যাচ’ যাচ্ছেই না বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটারের।

গত জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের পর থেকেই রান-খরা চলছে মুমিনুলের ব্যাটে। এ মুমিনুলই টেস্টে একসময় টানা ১১ ইনিংসে ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন। সেরা ছন্দে থাকা একজন ব্যাটারের কাছে ক্রিকেট বলকে নাকি ফুটবলের মতো দেখায়। ছন্দ হারিয়ে মুমিনুল যেন বলই ঠিকঠাক দেখতে পাচ্ছেন না। খারাপ সময়েও অবশ্য দলের সতীর্থদের পাশে পাচ্ছেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১১টি সেঞ্চুরি করা মুমিনুল। গত মাসে বিসিবির এক নির্বাচক আজকের পত্রিকাকে যেমন বলছিলেন, ‘সবাই ওকে সমর্থন দিচ্ছি। কিন্তু সেটা সে নিতে পারছে না।’

ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগী হতেই এ সফরের আগে টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছেড়েছেন মুমিনুল। তাতেও সাফল্য মিলছে না। অ্যান্টিগা টেস্টে করতে পেরেছেন মোটে ৪ রান, প্রথম ইনিংসে মেরেছেন ডাক। চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে পড়া মুমিনুলের আত্মবিশ্বাস নেমেছে তলানিতে।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আরেক হতাশার নাম নাজমুল হোসেন শান্ত। গত ছয় ইনিংসে একবারই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক। বাকি পাঁচ ইনিংসে করেছেন ০, ২, ৮, ১, ৭ রান। মুমিনুলের মতো সর্বশেষ ফিফটি করেছেন গত জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে। গত পাঁচ বছর বিসিবির সেট আপে থেকেও এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারা শান্তকে নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের।

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে শান্তর দুর্বলতা বেশ চোখে পড়েছে। বেশির ভাগ সময় ফিল্ডিং করে থাকেন স্লিপে। অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের ব্যাটের কানায় লাগায় বল স্লিপে থাকা শান্তের পাশ ঘেঁষে গেলেও তিনি ধরার কোনো চেষ্টাই করেননি। বোলারের হতাশামাখা চিৎকার ‘কী রে’ কানে বেজেছে অনেকক্ষণ।

এখন সমর্থন পাচ্ছেন কিন্তু দ্রুত ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে না বেরোতে পারলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে, অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন শেষে তেমনই বার্তা দিয়েছিলেন দলের নতুন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ‘সবচেয়ে সহজ কাজ কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের। তুমি ভালো করছ না, বাদ দিয়ে দিলাম।’

গতকাল অ্যান্টিগা টেস্টে শেষে এসেছে মুমিনুলের বিশ্রাম-প্রসঙ্গও। এ নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘আমার তো ওর সঙ্গে সব সময় কথা হয়। আবারও কথা হবে। ও যদি মনে করে, হ্যাঁ, ওর বিশ্রাম দরকার আছে, সেটা হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত