Ajker Patrika

কলাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত ২২০ নৌকা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২২, ১১: ০৫
কলাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত ২২০ নৌকা

দেশের সবচেয়ে বড় পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র আগামীকাল সোমবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সশরীরে এটি উদ্বোধন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে কলাপাড়ায় চলছে বিভিন্ন সাজসজ্জা। তার মধ্যে অন্যতম রংবেরঙের ২২০টি নৌকা। ইতিমধ্যে নৌকা সাজানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজীবপুর গ্রামের আন্ধারমানিক নদীর তীরে বরিশাল চারুকলা বিদ্যালয়ের ১০ জন শিল্পী এ নৌকাগুলোকে প্রস্তুত করেছেন। প্রায় ৪ দিন ওই ১০ শিল্পীসহ মোট ৩৫ জন সহকারীর প্রচেষ্টার পর এ নৌকাগুলোর সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে। লাল, সবুজ, নীল এবং হলুদ রঙে এগুলো সজ্জিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, উদ্বোধনের দিন নৌকাগুলো রাবনাবাদ নদীর মোহনায় সারিবদ্ধ করে রাখা হবে। এর মধ্যে ১০০ নৌকা থাকবে পালতোলা, ১০০ নৌকায় থাকবে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত ব্যানার ফেস্টুন এবং বাকি ২০টি নৌকায় থাকবেন নিরাপত্তাকর্মীরা। প্রতিটি নৌকায় রংবেরঙের পোশাকে ২ জন করে মোট ৪০০ জেলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী নৌকা পরিদর্শনকালে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হবে রাবনাবাদ চ্যানেল। উপকূলীয় মানুষের জীবনাচরণ ও নদীভিত্তিক অর্থনীতিতে এ অঞ্চলে মানুষের ইতিহাস ঐতিহ্য এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে।

বরিশাল চারুকলা বিদ্যালয়ের প্রধান শিল্পী তাপস কর্মকার বলেন, স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে চারুকলা বিদ্যালয়ের শিল্পীরা বেশির ভাগ লাল এবং সবুজ রং ব্যবহার করে বিভিন্ন আলপনায় এসব নৌকা ফুটিয়ে তুলেছেন। দিনরাত মিলিয়ে ৪ দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর নৌকাগুলোতে আলপনা সাজানোর কাজ শেষ হয়েছে।

পর্যটন উদ্যোক্তা জলতরণীর স্বত্বাধিকারী আরিফ রহমান বলেন, নৌকাগুলো প্রস্তুতের সময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চারুকলা শিল্পীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। শিক্ষার্থীর হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় নৌকাগুলো মনভোলানো সাজে সজ্জিত হয়েছে।

কুয়াকাটা মৎস্যজীবী সংগঠন আশার আলো সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ বলেন, আমাদের বেড়ে ওঠা জেলেপল্লিতে সমুদ্র সামরিক জীবন নিয়ে আমরা বেড়ে উঠেছি। নৌকা আমাদের জীবনের একটি অংশ। তাই একে রংবেরঙের ডিজাইন করে সাজিয়েছি। আগামী ২১ মার্চ আমরা নৌকাগুলোতে পাল তুলে পায়রা নদীতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনস্থলের পাশে প্রদর্শন করব, যাতে প্রধানমন্ত্রী কলাপাড়া-কুয়াকাটা উপকূলীয় জেলেদের কথা ভুলে না যান।

পটুয়াখালী জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ প্রিন্স বলেন, উপকূলের মানুষের জীবনযাত্রা তুলে ধরতেই এ নৌকা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি এগুলো মনভোলানো সাজে সজ্জিত হবে।

পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ (পিপিএম) বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এরই মধ্যে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনী মাঠে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত