Ajker Patrika

মেয়রসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বান্দরবান প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ১১
Thumbnail image

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবীসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বান্দরবানের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানাভুক্ত অন্যরা হলেন মেয়রের ভাই নাছির উদ্দিন, একান্ত সহকারী (পিএ) আশুতোষ দে ও শেখ ফরিদ। গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক এ আদেশ দেন।

বান্দরবান পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বনানী স মিল এলাকার বাসিন্দা রেহেনা আক্তারের দায়ের করা নারী নির্যাতন, ভাঙচুর ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গতকাল এ আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী কাজী মহতুল হোসাইন যত্ন গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎকালীন বান্দরবান জোনের ইনচার্জ মো. আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে গতকাল বিকেলে এ তথ্য জানান। বর্তমানে এই কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিশেষ শাখায় কর্মরত। তিনি বলেন, আদেশের পর তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন। গতকাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে জেনেছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, রেহেনা আক্তারের পারিবারিক সম্পত্তি কৌশলে দখল নিতে চান পৌর মেয়রসহ কয়েকজন। এ সময় তাঁদের নির্যাতন ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ১৮ জুন বান্দরবান পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, মাহাবুবুর রহমান, নাছির উদ্দিন, আশুতোষ দে, শেখ ফরিদ উদ্দিন এবং মিলন দাশসহ সাতজনকে আসামি করে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী।

অ্যাডভোকেট কাজী মাহতুল হোসাইন যত্ন জানান, মামলার পর বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের সদর জোন ইনচার্জ মো. আমিনুল হককে তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। তদন্ত শেষে মোহাম্মদ ইসলাম বেবীসহ চারজনের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টটা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ১০ / ৩০ ধারায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন আদালত।

জানতে চাইলে মেয়রের পিএ আশুতোষ দে বলেন, রেহেনা আক্তার নামের এক নারী মামলা করেছিলেন। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।

মামলার বাদী রেহেনা আক্তার বলেন, ‘মৃত্যুর আগেই বাবা আমাদের ভাইবোনদের যার যার অংশ ভাগ করে দিয়েছেন। কিন্তু পৌর মেয়র ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করান। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত