সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
শিল্প ও বাণিজ্য নগরী নারায়ণগঞ্জ। এককালে মনোরম আবহাওয়া ও স্বচ্ছ পানির জন্য এ জেলার খ্যাতি থাকলেও বর্তমানে পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম দূষিত নগরীতে। পরিবেশ রক্ষার জন্য একাধিক আন্দোলন এবং নানান পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বহুবার। তবে কাজের কাজ হয়নি আজও। জেলার পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করলেও তাদের নেই পর্যাপ্ত জনবল। ফলে সংস্থাটির কার্যক্রম অনেকটাই শ্লথ হয়ে পড়েছে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সংস্থার জেলা কার্যালয়ে প্রয়োজনের চেয়ে পদ রয়েছে কম। অনুমোদিত পদগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত জনবল। ১৩টি পদের বিপরীতে দায়িত্বরত আছেন সাতজন। তবে কাগজে-কলমে কাজ করছেন ৯ জন। দুজনকে এই জেলায় কর্মরত হয়েও অন্যত্র দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বর্তমানে এই দপ্তরে দুজন পরিদর্শন ল্যাব সহকারী, নমুনা সংগ্রহকারী ও ল্যাব অ্যাটেনডেন্টের পদ শূন্য।
নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলিতে রয়েছে অনেক শিল্পকারখানা। প্রতিনিয়ত নির্মিত হচ্ছে নতুন নতুন কারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তবে এসব প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে রয়েছে নজরদারির অভাব। ফলে কারখানা, ইটভাটা, অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ, বর্জ্য অব্যবস্থাপনা ও আবর্জনার পোড়ানো ধোঁয়ায় দূষণ বাড়ছে জেলাজুড়ে। এ ছাড়া কঠিন ও তরল বর্জ্যের কারণে শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। আর স্বাভাবিকভাবেই দূষণ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপের বিষয়ে প্রথমেই প্রশ্ন উঠে জেলায় দায়িত্বরত পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ওপর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিটিজেন চার্টার বলছে, এই দপ্তরকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষণ জরিপ, দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, মামলা দায়ের, ক্ষতিপূরণ আদায়, শিল্পকারখানা পরিদর্শন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান, পরিবেশদূষণবিষয়ক অভিযোগ গ্রহণ, নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, গণসচেতনতা সৃষ্টি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন গবেষণা করা। কিন্তু জেলাপর্যায়ে এত কম জনবল নিয়ে বৃহৎ দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি উপজেলাতেই কাজ করতে হয়। জেলা অফিস থেকে উপজেলাগুলোয় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ বেশ কঠিন, কখনো কখনো সম্ভব হয় না। প্রতিটি উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপজেলাভিত্তিক কার্যালয় থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। এতে জেলার বাসিন্দারা উপকৃত হবে, দপ্তরের কাজেরও গতি বাড়বে।’
জনবলসংকট ও সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জেলার দূষণ রোধে আমরা কাজ করছি, কিন্তু আমাদের জনবলসংকট রয়েছে। যেমন, পুরো নারায়ণগঞ্জে পরিবেশদূষণকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের দায়িত্বে আছেন মাত্র একজন পরিদর্শক। ফলে সহকারী পরিচালকেরাই নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি পরিদর্শনের কাজ করছেন। আমাদের দপ্তরের আওতায় অনেক কাজ রয়েছে। জনবল কম থাকায় চাইলেও নির্ধারিত সময়ে সব কাজ করতে পারি না।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ উঠে প্রায় সময়। এমন অভিযোগের বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘অনেকেই বলে পরিবেশ অধিদপ্তর ঠিকভাবে কাজ করে না। তবে আমাদের জনবলসংকটের বিষয়টি তো মাঠপর্যায়ে সবাইকে বোঝানো সম্ভব নয়। ঘুরে ফিরে একই ব্যক্তিকে একাধিক কাজ করতে হচ্ছে।’
শিল্প ও বাণিজ্য নগরী নারায়ণগঞ্জ। এককালে মনোরম আবহাওয়া ও স্বচ্ছ পানির জন্য এ জেলার খ্যাতি থাকলেও বর্তমানে পরিণত হয়েছে দেশের অন্যতম দূষিত নগরীতে। পরিবেশ রক্ষার জন্য একাধিক আন্দোলন এবং নানান পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বহুবার। তবে কাজের কাজ হয়নি আজও। জেলার পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করলেও তাদের নেই পর্যাপ্ত জনবল। ফলে সংস্থাটির কার্যক্রম অনেকটাই শ্লথ হয়ে পড়েছে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সংস্থার জেলা কার্যালয়ে প্রয়োজনের চেয়ে পদ রয়েছে কম। অনুমোদিত পদগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত জনবল। ১৩টি পদের বিপরীতে দায়িত্বরত আছেন সাতজন। তবে কাগজে-কলমে কাজ করছেন ৯ জন। দুজনকে এই জেলায় কর্মরত হয়েও অন্যত্র দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বর্তমানে এই দপ্তরে দুজন পরিদর্শন ল্যাব সহকারী, নমুনা সংগ্রহকারী ও ল্যাব অ্যাটেনডেন্টের পদ শূন্য।
নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলিতে রয়েছে অনেক শিল্পকারখানা। প্রতিনিয়ত নির্মিত হচ্ছে নতুন নতুন কারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তবে এসব প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে রয়েছে নজরদারির অভাব। ফলে কারখানা, ইটভাটা, অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ, বর্জ্য অব্যবস্থাপনা ও আবর্জনার পোড়ানো ধোঁয়ায় দূষণ বাড়ছে জেলাজুড়ে। এ ছাড়া কঠিন ও তরল বর্জ্যের কারণে শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। আর স্বাভাবিকভাবেই দূষণ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপের বিষয়ে প্রথমেই প্রশ্ন উঠে জেলায় দায়িত্বরত পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ওপর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিটিজেন চার্টার বলছে, এই দপ্তরকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষণ জরিপ, দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, মামলা দায়ের, ক্ষতিপূরণ আদায়, শিল্পকারখানা পরিদর্শন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান, পরিবেশদূষণবিষয়ক অভিযোগ গ্রহণ, নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, গণসচেতনতা সৃষ্টি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন গবেষণা করা। কিন্তু জেলাপর্যায়ে এত কম জনবল নিয়ে বৃহৎ দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি উপজেলাতেই কাজ করতে হয়। জেলা অফিস থেকে উপজেলাগুলোয় নিয়মিত পর্যবেক্ষণ বেশ কঠিন, কখনো কখনো সম্ভব হয় না। প্রতিটি উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপজেলাভিত্তিক কার্যালয় থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। এতে জেলার বাসিন্দারা উপকৃত হবে, দপ্তরের কাজেরও গতি বাড়বে।’
জনবলসংকট ও সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জেলার দূষণ রোধে আমরা কাজ করছি, কিন্তু আমাদের জনবলসংকট রয়েছে। যেমন, পুরো নারায়ণগঞ্জে পরিবেশদূষণকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের দায়িত্বে আছেন মাত্র একজন পরিদর্শক। ফলে সহকারী পরিচালকেরাই নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি পরিদর্শনের কাজ করছেন। আমাদের দপ্তরের আওতায় অনেক কাজ রয়েছে। জনবল কম থাকায় চাইলেও নির্ধারিত সময়ে সব কাজ করতে পারি না।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ উঠে প্রায় সময়। এমন অভিযোগের বিষয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘অনেকেই বলে পরিবেশ অধিদপ্তর ঠিকভাবে কাজ করে না। তবে আমাদের জনবলসংকটের বিষয়টি তো মাঠপর্যায়ে সবাইকে বোঝানো সম্ভব নয়। ঘুরে ফিরে একই ব্যক্তিকে একাধিক কাজ করতে হচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪