Ajker Patrika

শিং, কই মাছের টাকা মৎস্য কর্মকর্তার পকেটে

শিবপুর (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, ১৫: ০৪
শিং, কই মাছের টাকা মৎস্য কর্মকর্তার পকেটে

নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ, এনএটিপি-২, উন্মুক্ত জলাশয়ে বিল নার্সারি স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বার্ষিক বরাদ্দের অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মৎস্য চাষিরা। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন ফাহিমুল আরেফিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধীনে উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন সেবা প্রকল্পের প্রদর্শনী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে মাছের প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু মৎস্য চাষিদের ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা ও ৪ থেকে ৫ বস্তা মাছের খাদ্য দেওয়া হয়েছে। উন্মুক্ত জলাশয়ে বিল নার্সারি প্রকল্পের ৩ জনও সঠিক বরাদ্দ পাননি। এনএটিপি-২ (সিআইজি) প্রকল্পের ৯টি ইউনিয়নের ১৮টি সিআইজি প্রদর্শনীর মধ্যে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও চার বস্তা খাদ্য ও চার থেকে সারে চার হাজার করে টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এসব প্রকল্পের চাষিরা। মাছিমপুর ইউনিয়নে বালিয়াহানি গ্রামে ইউনিয়ন সেবা প্রকল্পের প্রদর্শনী বরাদ্দ দিলেও এই নামে কোনো গ্রাম সেখানে নেই। এ ছাড়া একই পরিবারের মধ্যে তিনটি প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চক্রধা ইউনিয়ন সেবা প্রকল্পের চাষি লাকুশি গ্রামের বাবুল মিয়া বলেন, তিনি শিং ও কই মাছের একটি প্রদর্শনী বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রকল্পের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার টাকা এবং ৫ বস্তা এসবি কোম্পানির মাছের খাদ্য যার বাজার মূল্য সারে সাত হাজার টাকা।

বাঘাব ইউনিয়ন সেবা প্রকল্পের চাষি পাচপাইকা গ্রামের মোখলেছুর রহমান বলেন, পাঙাশ মাছের প্রদর্শনীর জন্য বরাদ্দ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১৩ হাজার টাকা ও ৫ বস্তা খাদ্য পেয়েছেন। এত কম টাকা কেন দেওয়া হলো জানতে চাইলে বাকি টাকা অফিসে খরচ হয়েছে বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা।

উপজেলা মৎস্য প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন সমবায় সমিতির সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ সঠিকভাবে পান না বলে চাষিরা আমাকেও জানিয়েছেন। সঠিক বরাদ্দ না পাওয়ায় মাছ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা। বরাদ্দের বাকি টাকা পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে মৎস্য চাষিরা আমার কাছে কোনো অভিযোগ দেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত