সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা নেই, নেই ঝড়-তুফান কিংবা প্রতিকূল আবহাওয়ার ভয়, যখনই মানুষের মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পান তখনই তিনি ছুটে যান। দিন হোক বা রাত, আপন-পরের ভেদাভেদ উপেক্ষা করে নিঃস্বার্থভাবে ছুটে গিয়ে শুরু করেন কবর খননের কাজ। কবর খননের পর সেই কবরে মৃত ব্যক্তিকে নিজ হাতে শুইয়ে দেওয়ার পর বাড়ি ফেরেন। এভাবে দীর্ঘ ৩০ বছরে বিনা পারিশ্রমিকে অন্তত দুই হাজার কবর খনন করেছেন তিনি। তাঁর নাম মো. ইব্রাহিম খলিল (৪৫)। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের খেদারখীল গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কেদারখীল এলাকার ইব্রাহিম পেশায় রিকশার মেকানিক। নিজ এলাকায় ছোট্ট একটি গ্যারেজ করে সেখানেই রিকশা মেরামতের কাজ করেন তিনি। গ্যারেজ থেকে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোনোরকমে চলে যায় তাঁর সংসার। তবে গ্রামে গ্রামে মৃত মানুষের কবর খনন যেন তাঁর অস্থিমজ্জায় মিশে রয়েছে। তাইতো যখনই কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পান, তখনই নিজের উপার্জনের একমাত্র গ্যারেজটি বন্ধ করে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে ছুটে যান তিনি।
স্থানীয় লোকজন আরও জানান, প্রচারবিমুখ এ মানুষটিকে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এভাবেই সর্বত্র কবর খনন করতে দেখা গেছে। কিন্তু এ কাজের বিনিময়ে তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেন না। মসজিদে শোক সংবাদ শুনলে কোদাল, শাবল ও টুকরি হাতে কবরস্থানে ছুটে যান তিনি। সেখানে পৌঁছে কবর খননের কাজ শুরু করেন।
ইব্রাহিম খলিল জানান, ছোটবেলা থেকে তিনি তাঁর বাবাকে মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খুঁড়তে দেখেছেন। যখনই কোনো মানুষ মারা যেত, তখনই মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে নিজ উদ্যোগে কবরস্থানে গিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে কবর খননের কাজ শুরু করতেন তাঁর বাবা। বাবার সঙ্গে মানবিক এ কাজে যোগ দিতেন তাঁর ভাই মো. ইকবাল হোসেন। ছোটবেলা থেকে বাবা ও ভাইয়ের এ মানবিক কাজ তাঁর হৃদয়ে এক অদ্ভুত ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। বাবা-ভাইকে অনুসরণ করে মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করেন তিনি।
সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম তাজুল ইসলাম নিজামী বলেন, ‘ইব্রাহিম যে কাজ করেন তা খুবই মানবিক কাজ। মানুষের মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই তিনি নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চলে যান কবর খনন করতে। বর্তমান সময়ে বিনা পারিশ্রমিকে শ্রম দেওয়া লোক পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু ইব্রাহিম ভিন্ন। তাঁর জন্য সব সময় আমার শুভকামনা রইল।’
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা নেই, নেই ঝড়-তুফান কিংবা প্রতিকূল আবহাওয়ার ভয়, যখনই মানুষের মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পান তখনই তিনি ছুটে যান। দিন হোক বা রাত, আপন-পরের ভেদাভেদ উপেক্ষা করে নিঃস্বার্থভাবে ছুটে গিয়ে শুরু করেন কবর খননের কাজ। কবর খননের পর সেই কবরে মৃত ব্যক্তিকে নিজ হাতে শুইয়ে দেওয়ার পর বাড়ি ফেরেন। এভাবে দীর্ঘ ৩০ বছরে বিনা পারিশ্রমিকে অন্তত দুই হাজার কবর খনন করেছেন তিনি। তাঁর নাম মো. ইব্রাহিম খলিল (৪৫)। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের খেদারখীল গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কেদারখীল এলাকার ইব্রাহিম পেশায় রিকশার মেকানিক। নিজ এলাকায় ছোট্ট একটি গ্যারেজ করে সেখানেই রিকশা মেরামতের কাজ করেন তিনি। গ্যারেজ থেকে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোনোরকমে চলে যায় তাঁর সংসার। তবে গ্রামে গ্রামে মৃত মানুষের কবর খনন যেন তাঁর অস্থিমজ্জায় মিশে রয়েছে। তাইতো যখনই কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনতে পান, তখনই নিজের উপার্জনের একমাত্র গ্যারেজটি বন্ধ করে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে ছুটে যান তিনি।
স্থানীয় লোকজন আরও জানান, প্রচারবিমুখ এ মানুষটিকে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এভাবেই সর্বত্র কবর খনন করতে দেখা গেছে। কিন্তু এ কাজের বিনিময়ে তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেন না। মসজিদে শোক সংবাদ শুনলে কোদাল, শাবল ও টুকরি হাতে কবরস্থানে ছুটে যান তিনি। সেখানে পৌঁছে কবর খননের কাজ শুরু করেন।
ইব্রাহিম খলিল জানান, ছোটবেলা থেকে তিনি তাঁর বাবাকে মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খুঁড়তে দেখেছেন। যখনই কোনো মানুষ মারা যেত, তখনই মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে নিজ উদ্যোগে কবরস্থানে গিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে কবর খননের কাজ শুরু করতেন তাঁর বাবা। বাবার সঙ্গে মানবিক এ কাজে যোগ দিতেন তাঁর ভাই মো. ইকবাল হোসেন। ছোটবেলা থেকে বাবা ও ভাইয়ের এ মানবিক কাজ তাঁর হৃদয়ে এক অদ্ভুত ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। বাবা-ভাইকে অনুসরণ করে মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করেন তিনি।
সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম তাজুল ইসলাম নিজামী বলেন, ‘ইব্রাহিম যে কাজ করেন তা খুবই মানবিক কাজ। মানুষের মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই তিনি নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চলে যান কবর খনন করতে। বর্তমান সময়ে বিনা পারিশ্রমিকে শ্রম দেওয়া লোক পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু ইব্রাহিম ভিন্ন। তাঁর জন্য সব সময় আমার শুভকামনা রইল।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪