সম্পাদকীয়
মন্ত্রী-মিনিস্টাররা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কথা বলে জনগণের মনে বেদনামিশ্রিত হাস্যরসের জন্ম দেন। যেকোনো দেশের যেকোনো মন্ত্রী হঠাৎ করে এমন কথা বলে বসতে পারেন, যা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যেতে পারে পুরো জাতি।
সে রকমই এক অদ্ভুত কথা বলেছেন পোল্যান্ডের জলবায়ু ও পরিবেশমন্ত্রী আন্না মস্ক্ভা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সারা পৃথিবী ভুগছে। নিত্যপণ্যের দরদামের উল্লম্ফন দিশেহারা করে দিচ্ছে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে। যে টাকায় কোনোমতে সংসার চলত একসময়, সেই টাকা এখন হাতের ময়লায় পরিণত হয়েছে। এই সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, গোটা পৃথিবীতেই অনুভূত হচ্ছে। পোল্যান্ডও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু মন্ত্রী আন্না মস্ক্ভা এই দ্রব্যমূল্যের উল্লম্ফনকে পাত্তাই দেননি। পোলস্যাটনিউজের এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেছেন, ‘সুপারমার্কেটগুলোয় কেনাকাটা করতে যাবেন না। বাড়ির পাশে যে দোকান আছে, সেখান থেকে বাজার করুন। সেসব দোকানে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি।
গোটা পোল্যান্ড স্তম্ভিত হয়ে গেছে মন্ত্রীর কথায়। সত্যিই কি আগের দামেই পাওয়া যাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য? ২০২৩ সালের মার্চেই তো পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, দেশে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ। তাহলে কি এটা শুধুই পরিসংখ্যানের মিথ্যা? মিথ্যা হলে ট্যাঁকে টান পড়ছে কেন? পোলিশদের মাথা ভোঁ ভোঁ করে। কোনটা সত্য—মন্ত্রীর কথা নাকি ট্যাঁকের হাল? এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। অনেকেই ভাবেন, আহা! মন্ত্রীর কথা যদি সত্য হতো? অন্তত একটি দোকান পাওয়া যেত, যেখানে আগের দামে পাওয়া যায় দ্রব্যসামগ্রী!
প্রশ্নটা টিভি অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকাও করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী আন্না মস্ক্ভা সে পথে আর পা বাড়াননি; বরং তিনি পারিবারিক বাজেটের ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া শুরু করেছেন পোলিশ নাগরিকদের এবং এ কথাও বলেছেন, ‘সবার মতো আমিও বেশি করে কিনে রেখে দিই, যেন প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পাই।’
টুইটার ছেয়ে গেছে মন্ত্রীর প্রতি জনগণের প্রশ্নে: ‘কোথায় সে দোকান, দেখিয়ে দিন আমাদের!’ কিন্তু এ কথা নিশ্চিত, পোলিশরা সেই জাদুকরি দোকানের সন্ধান কখনোই পাবেন না।
জনগণ যখন ভুগছে, তখন তাদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতো কাজ কেন করেন মন্ত্রীরা? সংকট মোকাবিলার কোনো পথ দেখাতে পারেন না বলেই কি তাঁরা আবোল-তাবোল বকতে থাকেন? ভুলে যান, একজন মন্ত্রীর কথার মূল্য অনেক, যা খুশি তা-ই এই চেয়ারে বসে তিনি বলতে পারেন না?
নাম উল্লেখ না করেই আমাদের তিনজন মন্ত্রীর তিনটি উক্তির ব্যাপারে বলি। আমাদের এক মন্ত্রীও কোনো এক সময় কম খেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এক মন্ত্রী গুলিতে নিহত এক শিশুর ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছেন।’ রানা প্লাজার ঘটনায় এক মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কিছু হরতাল-সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে।’
এসব কথায় জনগণের মনের যন্ত্রণা কেবল বাড়ে, কমে না।
মন্ত্রী-মিনিস্টাররা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কথা বলে জনগণের মনে বেদনামিশ্রিত হাস্যরসের জন্ম দেন। যেকোনো দেশের যেকোনো মন্ত্রী হঠাৎ করে এমন কথা বলে বসতে পারেন, যা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যেতে পারে পুরো জাতি।
সে রকমই এক অদ্ভুত কথা বলেছেন পোল্যান্ডের জলবায়ু ও পরিবেশমন্ত্রী আন্না মস্ক্ভা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সারা পৃথিবী ভুগছে। নিত্যপণ্যের দরদামের উল্লম্ফন দিশেহারা করে দিচ্ছে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে। যে টাকায় কোনোমতে সংসার চলত একসময়, সেই টাকা এখন হাতের ময়লায় পরিণত হয়েছে। এই সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, গোটা পৃথিবীতেই অনুভূত হচ্ছে। পোল্যান্ডও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু মন্ত্রী আন্না মস্ক্ভা এই দ্রব্যমূল্যের উল্লম্ফনকে পাত্তাই দেননি। পোলস্যাটনিউজের এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেছেন, ‘সুপারমার্কেটগুলোয় কেনাকাটা করতে যাবেন না। বাড়ির পাশে যে দোকান আছে, সেখান থেকে বাজার করুন। সেসব দোকানে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি।
গোটা পোল্যান্ড স্তম্ভিত হয়ে গেছে মন্ত্রীর কথায়। সত্যিই কি আগের দামেই পাওয়া যাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য? ২০২৩ সালের মার্চেই তো পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, দেশে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ। তাহলে কি এটা শুধুই পরিসংখ্যানের মিথ্যা? মিথ্যা হলে ট্যাঁকে টান পড়ছে কেন? পোলিশদের মাথা ভোঁ ভোঁ করে। কোনটা সত্য—মন্ত্রীর কথা নাকি ট্যাঁকের হাল? এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। অনেকেই ভাবেন, আহা! মন্ত্রীর কথা যদি সত্য হতো? অন্তত একটি দোকান পাওয়া যেত, যেখানে আগের দামে পাওয়া যায় দ্রব্যসামগ্রী!
প্রশ্নটা টিভি অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকাও করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী আন্না মস্ক্ভা সে পথে আর পা বাড়াননি; বরং তিনি পারিবারিক বাজেটের ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া শুরু করেছেন পোলিশ নাগরিকদের এবং এ কথাও বলেছেন, ‘সবার মতো আমিও বেশি করে কিনে রেখে দিই, যেন প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পাই।’
টুইটার ছেয়ে গেছে মন্ত্রীর প্রতি জনগণের প্রশ্নে: ‘কোথায় সে দোকান, দেখিয়ে দিন আমাদের!’ কিন্তু এ কথা নিশ্চিত, পোলিশরা সেই জাদুকরি দোকানের সন্ধান কখনোই পাবেন না।
জনগণ যখন ভুগছে, তখন তাদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতো কাজ কেন করেন মন্ত্রীরা? সংকট মোকাবিলার কোনো পথ দেখাতে পারেন না বলেই কি তাঁরা আবোল-তাবোল বকতে থাকেন? ভুলে যান, একজন মন্ত্রীর কথার মূল্য অনেক, যা খুশি তা-ই এই চেয়ারে বসে তিনি বলতে পারেন না?
নাম উল্লেখ না করেই আমাদের তিনজন মন্ত্রীর তিনটি উক্তির ব্যাপারে বলি। আমাদের এক মন্ত্রীও কোনো এক সময় কম খেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এক মন্ত্রী গুলিতে নিহত এক শিশুর ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছেন।’ রানা প্লাজার ঘটনায় এক মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কিছু হরতাল-সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে।’
এসব কথায় জনগণের মনের যন্ত্রণা কেবল বাড়ে, কমে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪