Ajker Patrika

হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি নিষিদ্ধের দাবি ক্যাপসের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২২, ১৬: ০৩
হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি নিষিদ্ধের দাবি ক্যাপসের

নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শব্দদূষণ বেড়েই চলেছে। নীরব ও আবাসিক হিসেবে চিহ্নিত এলাকার বাসিন্দারাও শব্দদূষণের শিকার হচ্ছেন। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ক্যাপসের পক্ষ থেকে ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে।

গতকাল আন্তর্জাতিক শ্রবণ দিবস উপলক্ষে ‘প্রাণ প্রকৃতির ওপর শব্দদূষণের প্রভাব ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ গবেষণার ফল তুলে ধরা হয়। ক্যাপস এবং ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। গবেষণা প্রতিবেদনে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা এবং এর ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন।

শব্দদূষণ রোধে ক্যাপসের পক্ষ থেকে ১০টি প্রস্তাবনা জানানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হচ্ছে হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ নিশ্চিত করা, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন না করা, হর্ন বাজানোর শাস্তি বৃদ্ধি, শব্দের মাত্রা অনুযায়ী যানবাহনের ছাড়পত্র দেওয়া, সড়কের পাশে গাছ লাগিয়ে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা এবং সন্ধ্যার পর ছাদ ও কমিউনিটি হলে গানবাজনা না করা।

বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ড. গুলশান আরা লতিফা বলেন, একেক প্রাণীর শ্রাব্যতার সীমা একেক রকম। ফলে মাত্রাতিরিক্ত শব্দে তারা দিশেহারা হয়ে যায়। শব্দদূষণ রোধে সবাইকে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, শ্রবণ ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. নাসিমা খাতুন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত