Ajker Patrika

বরিশাল সিটি নির্বাচন: কেন্দ্রের নির্দেশেও মাঠে নেই সাদিক অনুসারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, ০৮: ৩২
বরিশাল সিটি নির্বাচন: কেন্দ্রের নির্দেশেও মাঠে নেই সাদিক অনুসারীরা

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। কিন্তু নগরের ভোটের মাঠে এর প্রতিফলন নেই। হাসানাতের ডাকেও নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের পাশে এখনো দাঁড়াননি ৩০টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং তাঁদের অনুসারীরা। তাঁরা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

তৃণমূল আওয়ামী লীগের অবস্থা এমন এলোমেলো হলেও বরিশালে নৌকার নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা দলটির নেতা-কর্মীরা দাবি করছেন, গাজীপুরের ভোটের ফলের অঙ্ক আগেভাগেই আঁচ করে বরিশালের মাঠ গুছিয়ে ফেলা হয়েছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে নগরের ১২৪টি কেন্দ্রে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে নিজস্ব কর্মী বাহিনী গঠন করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কমিটি কেবল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকনির্ভর। সবাই সাদিকের অনুসারী।

গতকাল রোববার নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায়, কোনো কর্মসূচিতে নেই ৩০টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার বলেন, ‘আমাদের নৌকার কোনো কর্মসূচিতে সভাপতি আসেন না; অথচ প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি এবং সম্পাদককে নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হতো। একসময় আমিও এই ভাতা পেতাম। নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই ভাতা দিয়ে ওয়ার্ড নেতাদের ম্যানেজ করা হতো।’

নগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবও একই দাবি করেন। তবে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক মীর শহিদুল ইসলাম রনি বলেন, ‘যেদিন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সেদিন থেকেই নৌকার পক্ষে কাজ করছি। পাছে লোকে কত কিছুই তো বলবে।’ ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের 
‘বর্ধিত সভার আগেই আমরা মুখে মুখে মানুষকে বলছি নৌকার কথা। যতটুকু করা দরকার নৌকার জন্য করে যাচ্ছি।’ তবে তিনি ভাতা পাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মীর আমিন উদ্দিন মোহন বলেন, তিনি নগরের ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী দায়িত্ব দেখছেন। এসব ওয়ার্ডের নেতারা হাসানাতের ডাকে বর্ধিত সভায় যোগ দিলেও নৌকার পক্ষে নামেননি। তবে তাঁদের আশা ছেড়ে দিয়েই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিজস্ব কর্মী বাহিনীর মাধ্যমে ভোটের মাঠ গুছিয়ে আনা হয়েছে। গাজীপুরের ভোটের ফল বিবেচনায় নিয়ে আরও সতর্ক আছেন তাঁরা।

নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেন, ‘এই দূরত্ব মিডিয়ার সৃষ্টি। গাজীপুর আর বরিশাল এক নয়। গাজীপুরে বিদ্রোহী ছিল। বরিশালে কি হাসানাত কিংবা সাদিক কোনো ডামি প্রার্থী নামিয়েছেন?’

এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেন, ‘গাজীপুর এবং বরিশালের নির্বাচন পরিস্থিতি এক নয়। ওয়ার্ড সভাপতি ও সম্পাদকেরা অনেকে আগে থেকেই নৌকার পক্ষে নেমেছেন। বাকিরা কেন এখনো নামেননি, তা জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত