Ajker Patrika

হরিরামপুরে পদ্মার ভাঙনে বিলীন আশ্রয়ণের ১০ ঘর

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ জুন ২০২২, ১১: ২৫
হরিরামপুরে পদ্মার ভাঙনে বিলীন আশ্রয়ণের ১০ ঘর

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘর। গত এক সপ্তাহে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা এলাকার পূর্বপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর পদ্মায় বিলীন হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাঁচটি বাড়ি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পদ্মার তীব্র ভাঙনে বিলীনের হুমকির মুখে পড়েছে আজিমনগর ইউনিয়নের ৬, ৭, ৮ ও নম্বর ওয়ার্ড। এসব এলাকায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাতিঘাটা আশ্রয়ণ প্রকল্প।

আজিমনগর ইউনিয়নের এনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, খননযন্ত্র দিয়ে পদ্মা থেকে বালু উত্তোলনের কারণে গত দুই বছরে আজিমনগর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ শত শত বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে পুরো ইউনিয়নই বিলীনের হুমকিতে পড়েছে।

আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা এলাকার শিক্ষক সামিরা আক্তার বলেন, ‘আমার বাড়ি দুদিন আগে ভেঙে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে পুরো ইউনিয়ন। ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ চান চরাঞ্চলবাসী।’

আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিলীপ রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদ্মায় বিলীনের মুখে থাকা স্কুলের টিনের ঘর সরানোর কাজ শুরু করেছি।’

আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন জানান, কয়েক দিন পদ্মায় আবারও তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। হাতিঘাটা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘর ভেঙে গেছে। চরাঞ্চলের মানুষেরা পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদিন আগে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। আজও (রোববার) এক সভায় জেলা প্রশাসক স্যারকে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে অবগত করেছি। ডিসি স্যার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীকে ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে যেতে বলেছেন।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (রোববার) দুপুরে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আমাদের প্রতিনিধিদল। চরাঞ্চলে স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার বা কাজ করার সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত