জহিরুল আলম পিলু
রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্ষায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্ত ও খানাখন্দে পানি জমে। শুষ্ক মৌসুমে হয় ধুলোবালি। এতে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে ডেমরা চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো অংশেই এ অবস্থা। সংস্কারকাজ চলমান থাকায় ভোগান্তি যেন আরও বেড়ে গেছে। তাই দ্রুত সংস্কারকাজ শেষ করে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি যথাযথভাবে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী থেকে পুরোনো ডেমরা রাস্তাটি খুবই ব্যস্ততম। একসময় এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করত ছোট-বড় কয়েক শ গাড়ি। রাস্তা সরু হওয়ায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকত। ফলে প্রতিদিনই সৃষ্টি হতো যানজট। রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনা ও যানজট সমস্যা নিরসনে এটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। প্রকল্পের কাজ দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনকে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, যা ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৫.৪ কিলোমিটার। ৩৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি এখানে নির্মিত হবে দুটি ব্রিজ, একটি ফুটওভার ব্রিজ ও ১০ টি আন্ডারপাস।
রাস্তা সংস্কারের এমন বড় প্রকল্পকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানালেও প্রকল্পের সময়সীমা কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই রুটের লেগুনাচালক শাহ আলম বলেন, ‘রাস্তাটির বেশির ভাগ জায়গায়ই ভাঙাচোরা। যে কারণে গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়। ছোটখাটো দুর্ঘটনা তো রোজই হচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লেগুনার মালিক জানান, ‘ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালানোর কারণে কিছুদিন পরপরই গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে যায়। আবার একটু বৃষ্টি হলেই গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। এখন শীত পড়ছে। রাস্তায় বালি আর বালি। আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’
সরেজমিন দেখা যায়, এই রুটের মৃধাবাড়ি, কোনাপাড়া, দেইল্লাপাড়া ও স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার রাস্তার অনেক অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। বছরখানেক আগে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার মার্কেটগুলোর সামনের রাস্তা কেটে ড্রেনেজব্যবস্থার কাজ করা হয়। বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ অনেক ব্যবসায়ীর। কিছুদিন আগের বৃষ্টিতেও দুর্ভোগ হয়েছে এখানে।
স্থানীয় দোকান মালিক হারুন বলেন, ‘এমন ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি আসতে চায় না। দোকানের মালামাল আনতে খুবই কষ্ট হয়। এমনকি রাস্তা দেখে ক্রেতারাও ফিরে যান। লোকসান তো হচ্ছেই। আমরা চাই, দ্রুত কাজ শেষ হোক।’
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এই প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প ব্যবস্থাপক (পিএম) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পটির ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তার ওপর থাকা প্রায় তিন শ বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতেই বেশ সময় লেগেছে। আশা করি, চুক্তির সময়ের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ করতে পারব।’
সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, ‘করোনার কারণে মাঝখানে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। না-হয় আরও আগেই শেষ হতো।’
রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্ষায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্ত ও খানাখন্দে পানি জমে। শুষ্ক মৌসুমে হয় ধুলোবালি। এতে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে ডেমরা চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো অংশেই এ অবস্থা। সংস্কারকাজ চলমান থাকায় ভোগান্তি যেন আরও বেড়ে গেছে। তাই দ্রুত সংস্কারকাজ শেষ করে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি যথাযথভাবে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী থেকে পুরোনো ডেমরা রাস্তাটি খুবই ব্যস্ততম। একসময় এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করত ছোট-বড় কয়েক শ গাড়ি। রাস্তা সরু হওয়ায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকত। ফলে প্রতিদিনই সৃষ্টি হতো যানজট। রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনা ও যানজট সমস্যা নিরসনে এটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। প্রকল্পের কাজ দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনকে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, যা ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৫.৪ কিলোমিটার। ৩৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি এখানে নির্মিত হবে দুটি ব্রিজ, একটি ফুটওভার ব্রিজ ও ১০ টি আন্ডারপাস।
রাস্তা সংস্কারের এমন বড় প্রকল্পকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানালেও প্রকল্পের সময়সীমা কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই রুটের লেগুনাচালক শাহ আলম বলেন, ‘রাস্তাটির বেশির ভাগ জায়গায়ই ভাঙাচোরা। যে কারণে গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়। ছোটখাটো দুর্ঘটনা তো রোজই হচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লেগুনার মালিক জানান, ‘ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালানোর কারণে কিছুদিন পরপরই গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে যায়। আবার একটু বৃষ্টি হলেই গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। এখন শীত পড়ছে। রাস্তায় বালি আর বালি। আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’
সরেজমিন দেখা যায়, এই রুটের মৃধাবাড়ি, কোনাপাড়া, দেইল্লাপাড়া ও স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার রাস্তার অনেক অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। বছরখানেক আগে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার মার্কেটগুলোর সামনের রাস্তা কেটে ড্রেনেজব্যবস্থার কাজ করা হয়। বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ অনেক ব্যবসায়ীর। কিছুদিন আগের বৃষ্টিতেও দুর্ভোগ হয়েছে এখানে।
স্থানীয় দোকান মালিক হারুন বলেন, ‘এমন ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি আসতে চায় না। দোকানের মালামাল আনতে খুবই কষ্ট হয়। এমনকি রাস্তা দেখে ক্রেতারাও ফিরে যান। লোকসান তো হচ্ছেই। আমরা চাই, দ্রুত কাজ শেষ হোক।’
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এই প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প ব্যবস্থাপক (পিএম) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পটির ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তার ওপর থাকা প্রায় তিন শ বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতেই বেশ সময় লেগেছে। আশা করি, চুক্তির সময়ের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ করতে পারব।’
সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, ‘করোনার কারণে মাঝখানে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। না-হয় আরও আগেই শেষ হতো।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৯ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪