বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
করোনার মন্দা কাটিয়ে ঈদুল ফিতরে বান্দরবানে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আশা করেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অন্তত ১০ কোটি টাকার ব্যবসার আশা করেছিলেন তাঁরা। তবে আশানুরূপ পর্যটক না আসায় প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যবসা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে ‘সন্তুষ্ট’ হতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।
এবার ঈদের ছুটি ছাড়াও আগে ও পরে সাপ্তাহিক ছুটি এবং মে দিবস মিলিয়ে ৯ দিনের লম্বা ছুটি ছিল। এই সুযোগে গত দুই বছরে করোনার মন্দা কাটিয়ে বান্দরবান পর্যটন চাঙা হবে বলে মনে করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। ক্ষতি কিছুটা কমলেও আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেননি পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বিশেষ করে ঈদের দিন ও ঈদের পরেও বৃষ্টিপাতের কারণে হোটেলে রুম বুকিং দিয়েও অনেকেই বান্দরবানে আসেননি। যাঁরা এসেছিলেন, বৃষ্টির কারণে তাঁরা হোটেলে অলস সময় কাটিয়েছেন। এসব কারণে পর্যটনকেন্দ্রে তুলনামূলক কম পর্যটক গেছেন। এতে পর্যটনকেন্দ্রিক গাড়িগুলোও কম ভাড়া পেয়েছে। একইভাবে পর্যটনকেন্দ্রের আশপাশের দোকানে পণ্য বিক্রিও কম হয়েছে।
এদিকে ঈদের পর বান্দরবান শহরের রেস্টুরেন্ট-খাবার হোটেলগুলো বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে পড়েন পর্যটকেরা। এই সুযোগে জেলা সদরের কয়েকটি রেস্টুরেন্ট খাবারের দাম বেশি আদায় করা নিয়ে পর্যটক-ক্রেতার সঙ্গে ঝগড়াও হয়। এতে কেউ কেউ তিন-চার দিন থাকার লক্ষ্য নিয়ে বান্দরবানে এলেও এক দিন থেকে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার বা অন্য স্থানে চলে যান। এতে জেলার পর্যটন ব্যবসা কম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ পিয়াসিদের পদচারণে মুখর হয় বান্দরবান। এবার বান্দরবানে লক্ষাধিক মানুষের আগমনে অন্তত ১০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করা হয়। কিন্তু এবার মিলিয়ে ৩ কোটি টাকার মতো লেনদেন হতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, ‘ঈদের আগে পর্যটন খাতে যে পরিমাণ ব্যবসা হবে বলে আশা করা হয়েছিল, তার তিন ভাগের একভাগেরও কম ব্যবসা হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘যদিও সব খাত মিলিয়ে মোট কত টাকার ব্যবসা-লেনদেন হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়; তবে তিন কোটি টাকার মতো লেনদেন হতে পারে।’
বান্দরবান স্বপ্ন বিলাস হোটেলের পার্টনার ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী বলেন, তাঁর হোটেলে এবার তেমন ব্যবসা হয়নি। ঈদের ছুটিতে এক লাখের বেশি টাকার ব্যবসা আশা করলেও চল্লিশ হাজার টাকার বেশি ব্যবসা হয়নি।
আলাউদ্দিন শাহরিয়ার ও ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী বান্দরবানে পর্যটনকেন্দ্রিক পরিবহন ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। তাঁরা বলেন, এবার ঈদের দিন ও পরে বৃষ্টি থাকায় পর্যটকেরা এলেও তাঁরা দূরের পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে কম গেছেন। অনেকে গাড়ি বুকিং দিয়েও পরে যাননি।
আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, বান্দরবান সদরে পর্যটনকেন্দ্রিক গাড়ির সংখ্যা ৩ শতাধিক। প্রতিটি গাড়ি গড়ে ৫ হাজার টাকা ভাড়া নিলে ৯ দিনে প্রায় ৩ কোটি টাকার ব্যবসা হতো। কিন্তু ১ কোটি টাকারও কম ব্যবসা হয়েছে। অপর দিকে হোটেল-রিসোর্ট থেকেও প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্যবসা প্রত্যাশা করা হলেও ১ কোটি টাকারও কম হয়েছে।
বান্দরবান শহরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল ও মেঘলা। জেলা সদরের কাছের পর্যটনকেন্দ্র দুটিতে ঈদের সময় বিপুল পর্যটক প্রত্যাশা করা হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসেনি বলে জানা গেছে।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের কর্মকর্তা আদীব বড়ুয়া বলেন, বিগত সময়ে ঈদের ছুটিতে নীলাচলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার পর্যটন টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করেন। কিন্তু এবার দৈনিক গড়ে ২ থেকে আড়াই হাজার পর্যটক টিকিট কেটে প্রবেশ করেছেন। একই অবস্থা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বান্দরবানে এবার বিপুল পর্যটক আসবেন বলে আশা করা হলেও বৃষ্টি ও লম্বা ছুটিতে অনেকেই কক্সবাজার, সিলেট, কুয়াকাটার মতো দূরের এলাকায় বেড়াতে গেছেন। এতে ঈদ মৌসুমে বান্দরবানে কিছুটা পর্যটকের আগমন কম হয়েছে।
জেলার পুলিশ প্রশাসন বলছে, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণেও পর্যটক কম আসতে পারেন। তবে এবার বান্দরবানে ঈদের ছুটিতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
করোনার মন্দা কাটিয়ে ঈদুল ফিতরে বান্দরবানে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আশা করেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অন্তত ১০ কোটি টাকার ব্যবসার আশা করেছিলেন তাঁরা। তবে আশানুরূপ পর্যটক না আসায় প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যবসা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে ‘সন্তুষ্ট’ হতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।
এবার ঈদের ছুটি ছাড়াও আগে ও পরে সাপ্তাহিক ছুটি এবং মে দিবস মিলিয়ে ৯ দিনের লম্বা ছুটি ছিল। এই সুযোগে গত দুই বছরে করোনার মন্দা কাটিয়ে বান্দরবান পর্যটন চাঙা হবে বলে মনে করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। ক্ষতি কিছুটা কমলেও আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেননি পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বিশেষ করে ঈদের দিন ও ঈদের পরেও বৃষ্টিপাতের কারণে হোটেলে রুম বুকিং দিয়েও অনেকেই বান্দরবানে আসেননি। যাঁরা এসেছিলেন, বৃষ্টির কারণে তাঁরা হোটেলে অলস সময় কাটিয়েছেন। এসব কারণে পর্যটনকেন্দ্রে তুলনামূলক কম পর্যটক গেছেন। এতে পর্যটনকেন্দ্রিক গাড়িগুলোও কম ভাড়া পেয়েছে। একইভাবে পর্যটনকেন্দ্রের আশপাশের দোকানে পণ্য বিক্রিও কম হয়েছে।
এদিকে ঈদের পর বান্দরবান শহরের রেস্টুরেন্ট-খাবার হোটেলগুলো বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে পড়েন পর্যটকেরা। এই সুযোগে জেলা সদরের কয়েকটি রেস্টুরেন্ট খাবারের দাম বেশি আদায় করা নিয়ে পর্যটক-ক্রেতার সঙ্গে ঝগড়াও হয়। এতে কেউ কেউ তিন-চার দিন থাকার লক্ষ্য নিয়ে বান্দরবানে এলেও এক দিন থেকে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার বা অন্য স্থানে চলে যান। এতে জেলার পর্যটন ব্যবসা কম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ পিয়াসিদের পদচারণে মুখর হয় বান্দরবান। এবার বান্দরবানে লক্ষাধিক মানুষের আগমনে অন্তত ১০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করা হয়। কিন্তু এবার মিলিয়ে ৩ কোটি টাকার মতো লেনদেন হতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
বান্দরবান হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, ‘ঈদের আগে পর্যটন খাতে যে পরিমাণ ব্যবসা হবে বলে আশা করা হয়েছিল, তার তিন ভাগের একভাগেরও কম ব্যবসা হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘যদিও সব খাত মিলিয়ে মোট কত টাকার ব্যবসা-লেনদেন হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়; তবে তিন কোটি টাকার মতো লেনদেন হতে পারে।’
বান্দরবান স্বপ্ন বিলাস হোটেলের পার্টনার ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী বলেন, তাঁর হোটেলে এবার তেমন ব্যবসা হয়নি। ঈদের ছুটিতে এক লাখের বেশি টাকার ব্যবসা আশা করলেও চল্লিশ হাজার টাকার বেশি ব্যবসা হয়নি।
আলাউদ্দিন শাহরিয়ার ও ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী বান্দরবানে পর্যটনকেন্দ্রিক পরিবহন ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। তাঁরা বলেন, এবার ঈদের দিন ও পরে বৃষ্টি থাকায় পর্যটকেরা এলেও তাঁরা দূরের পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে কম গেছেন। অনেকে গাড়ি বুকিং দিয়েও পরে যাননি।
আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, বান্দরবান সদরে পর্যটনকেন্দ্রিক গাড়ির সংখ্যা ৩ শতাধিক। প্রতিটি গাড়ি গড়ে ৫ হাজার টাকা ভাড়া নিলে ৯ দিনে প্রায় ৩ কোটি টাকার ব্যবসা হতো। কিন্তু ১ কোটি টাকারও কম ব্যবসা হয়েছে। অপর দিকে হোটেল-রিসোর্ট থেকেও প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্যবসা প্রত্যাশা করা হলেও ১ কোটি টাকারও কম হয়েছে।
বান্দরবান শহরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল ও মেঘলা। জেলা সদরের কাছের পর্যটনকেন্দ্র দুটিতে ঈদের সময় বিপুল পর্যটক প্রত্যাশা করা হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসেনি বলে জানা গেছে।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের কর্মকর্তা আদীব বড়ুয়া বলেন, বিগত সময়ে ঈদের ছুটিতে নীলাচলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার পর্যটন টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করেন। কিন্তু এবার দৈনিক গড়ে ২ থেকে আড়াই হাজার পর্যটক টিকিট কেটে প্রবেশ করেছেন। একই অবস্থা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বান্দরবানে এবার বিপুল পর্যটক আসবেন বলে আশা করা হলেও বৃষ্টি ও লম্বা ছুটিতে অনেকেই কক্সবাজার, সিলেট, কুয়াকাটার মতো দূরের এলাকায় বেড়াতে গেছেন। এতে ঈদ মৌসুমে বান্দরবানে কিছুটা পর্যটকের আগমন কম হয়েছে।
জেলার পুলিশ প্রশাসন বলছে, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণেও পর্যটক কম আসতে পারেন। তবে এবার বান্দরবানে ঈদের ছুটিতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪