Ajker Patrika

জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ১৮
জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা

রাজধানী ঢাকাকে মুন্সিগঞ্জের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে আরও একটি সেতু। সেতুর এক পাশে কেরানীগঞ্জ উপজেলার রুহিতপুর ইউনিয়নের নতুন সোনাকান্দা গ্রাম এবং অন্য প্রান্তে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম। ৯১২.৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০.৪ মিটার প্রস্থ সেতুটির ২৫ শতাংশের বেশি নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে অধিগ্রহণের কাজে অগ্রগতি না দেখে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় বাড়ি ও জমির মালিকেরা।

১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই বছর সময়সীমায় সেতুটি নির্মাণ করছে মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড। সেতুর ২০টি পিলারে ২১টি স্প্যান এবং দুটি অ্যাবাটমেন্ট ছাড়াও দুই পাশে রয়েছে ১ হাজার ২০০ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, যার ৫০০ মিটার কেরানীগঞ্জ এবং ৭০০ মিটার সিরাজদিখান অংশে। একটি দুই ব্যান্ড আন্ডারপাস এবং এক ব্যান্ডের চারটি কালভার্টও এ প্রকল্পের আওতাধীন। প্রায় ছয় মাস ধরে চলা সেতুসহ অবকাঠামোর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে।

জানা যায়, সেতুটি নির্মাণ হলে কেরানীগঞ্জ, হেমায়েতপুর (সাভার), গাবতলী, মোহাম্মদপুরসহ উত্তরবঙ্গের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, শ্রীনগর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর তথা দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ সৃষ্টি হবে। ঢাকা শহরের যানজটকে পাশ কাটিয়ে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গকে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে মিলিত করবে সেতুটি।

গত বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর কেরানীগঞ্জ অংশে এখনো দৃশ্যমান কোনো কাজ না হলেও সিরাজদিখান অংশে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। সেতুর পাইলের কাজ হয়েছে ২২৮টির মধ্যে ১৫৪টি, ২০ পিলারের মাঝে দাঁড়িয়ে গেছে ছয়টি, দুটি অ্যাবাটমেন্টের মধ্যে দাঁড়িয়ে গেছে একটি। কাজের অগ্রগতি আনুমানিক প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি বলে জানিয়েছেন প্রজেক্ট ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হামিদ।

প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ৮২ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের কথা থাকলেও অধিগ্রহণের কোনো অগ্রগতি না দেখে হতাশ স্থানীয় বাড়ি ও জমি মালিকেরা।

নতুন সোনাকান্দা গ্রামের ভুক্তভোগী আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রবাসের আয়ের সবটুকু দিয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি বানিয়েছি। সেতুর লোকজন এসে মাঝেমধ্যেই জায়গা মেপে যায়। কিন্তু কোনো নোটিশ বা চিঠি দেয় না। আমাদের ঘরবাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

সৈয়দপুর গ্রামের লিনা বেগম বলেন, ‘আমার বাড়ির ওপর দিয়ে ব্রিজ যাবে, বছরখানেক আগে একটা চিঠি পাইছিলাম, এর পর থেকে আর কোনো খবর নাই। ব্রিজের কাজ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে দেনা-পাওনা নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না। আমরা দ্রুত এর একটা বিহিত চাই।’

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন জানান, প্রকল্পের প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ যাবে ইনশা আল্লাহ। আর জমি অধিগ্রহণের কাজ মুন্সিগঞ্জ অংশে এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে যৌথ জরিপ শুরু হবে। আর কেরানীগঞ্জ অংশের অধিগ্রহণও শিগগির শুরু হবে। এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত