নাজিম উদ্দিন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
কোস্টারিকা, পানামা এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তৃত জলাশয়ে ব্যাপকভাবে দেখা যেতো ‘সাকার ফিশ’। তবে এই মাছগুলো এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও রয়েছে। চীন, মিয়ানমারের পর এবার এই মাছের দেখা মিলছে বাংলাদেশেও।
সাকার ফিশ নামে পরিচিত হলেও এই মাছের নাম মূলত ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিস’। এর বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকাসটোমাস। তবে স্থানীয়রা একে চেগবেগা মাছ বলেই চিনে। এই পর্যন্ত এই মাছের দুটি ধরন পাওয়া গেছে। একটির রং সাদা। এর ওপর ছোপ ছোপ দাগ। অন্যটি কালো। এর ওপর সাদা ডোরাকাটা দাগ রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের নদ-নদীতে কালো সাকার ফিশটি ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এটি সাধারণ অ্যাকোরিয়ামের জন্য আদর্শ মাছ। কারণ এই মাছ অ্যাকোরিয়ামের ময়লা খেয়ে বেঁচে থাকে। সম্প্রতি বুড়িগঙ্গা নদীতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে ভিনদেশি এই সাকার ফিশ। দ্রুত বংশবিস্তারকারী মাছটির দখলে পুরো বুড়িগঙ্গা নদী।
এই মাছের পিঠের ওপরে এবং শরীরের দুপাশে বড় ধারালো পাখনা আছে। দাঁতগুলোও বেশ ধারালো। সাধারণত আগাছা, জলজ পোকামাকড় ও ছোট মাছ এদের প্রধান খাবার। এরা ছোট মাছ ও জলজ উদ্ভিদ খাওয়ার কারণে নদীতে অন্যান্য মাছের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। পানি দূষণের কারণে যেখানে অন্য মাছ বাঁচতে পারে না, সেখানে এই মাছ দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। এমনকি পানি ছাড়াও মাছটি ২৪ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে।
বুড়িগঙ্গায় গত কিছুদিন ধরেই প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে এই সাকার মাছ। নদীর তীরে দাঁড়ালেই দেখা মিলে ঝাঁকে ঝাঁকে সাকার মাছের অস্তিত্ব। নদীতে এখন জাল ফেললেই কমপক্ষে ১০০ থেকে ২০০টি সাকার মাছ ধরা পড়ছে।
উপজেলার শুভাঢ্যা এলাকার বাসিন্দা তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমি বুড়িগঙ্গায় নৌকা চালাই ২০ বছর ধরে। এবারের মতো এত মাছ আগে কখনো নদীতে দেখিনি। বছর দু-এক আগে জেলেদের জালে দু-একটি ধরা পরলেও এখন প্রতিবার জালে ১০০–২০০টি চেগবেগা উঠে।’
কেরানীগঞ্জর জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘সাকার ফিশ মূলত ভিনদেশি প্রজাতির অ্যাকোরিয়ামের মাছ। এটা খুব দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে এবং যে কোনো পরিবেশেই টিকে থাকতে পারে। বর্তমানে উন্মুক্ত জলাশয়ে ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে এই মাছ। এটা আমাদের জন্য একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
সেলিম রেজা বলেন, ‘এ মাছটি এখনো ক্ষতিকর প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃত না। কিন্তু জলাশয়ে এই মাছ বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের আবাসস্থল কমে যাচ্ছে। তা ছাড়া এই মাছটি সর্বভুক। দেশীয় মাছের পোনা ও ডিমও খেয়ে ফেলছে। জলাশয়ে এ মাছের আধিক্য দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তির কারণ হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মাছটি নিয়ে দ্রুত গবেষণা হওয়া দরকার। এটি যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে এটা নির্মূল করা সম্ভব নয় বললেই চলে। তবে পুষ্টিগুণ বিবেচনা করে এটা খাওয়ার উপযোগী কিনা, সেটা আগে খতিয়ে দেখা যেতে পারে।’
কোস্টারিকা, পানামা এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তৃত জলাশয়ে ব্যাপকভাবে দেখা যেতো ‘সাকার ফিশ’। তবে এই মাছগুলো এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও রয়েছে। চীন, মিয়ানমারের পর এবার এই মাছের দেখা মিলছে বাংলাদেশেও।
সাকার ফিশ নামে পরিচিত হলেও এই মাছের নাম মূলত ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিস’। এর বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকাসটোমাস। তবে স্থানীয়রা একে চেগবেগা মাছ বলেই চিনে। এই পর্যন্ত এই মাছের দুটি ধরন পাওয়া গেছে। একটির রং সাদা। এর ওপর ছোপ ছোপ দাগ। অন্যটি কালো। এর ওপর সাদা ডোরাকাটা দাগ রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের নদ-নদীতে কালো সাকার ফিশটি ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এটি সাধারণ অ্যাকোরিয়ামের জন্য আদর্শ মাছ। কারণ এই মাছ অ্যাকোরিয়ামের ময়লা খেয়ে বেঁচে থাকে। সম্প্রতি বুড়িগঙ্গা নদীতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে ভিনদেশি এই সাকার ফিশ। দ্রুত বংশবিস্তারকারী মাছটির দখলে পুরো বুড়িগঙ্গা নদী।
এই মাছের পিঠের ওপরে এবং শরীরের দুপাশে বড় ধারালো পাখনা আছে। দাঁতগুলোও বেশ ধারালো। সাধারণত আগাছা, জলজ পোকামাকড় ও ছোট মাছ এদের প্রধান খাবার। এরা ছোট মাছ ও জলজ উদ্ভিদ খাওয়ার কারণে নদীতে অন্যান্য মাছের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। পানি দূষণের কারণে যেখানে অন্য মাছ বাঁচতে পারে না, সেখানে এই মাছ দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। এমনকি পানি ছাড়াও মাছটি ২৪ ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারে।
বুড়িগঙ্গায় গত কিছুদিন ধরেই প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে এই সাকার মাছ। নদীর তীরে দাঁড়ালেই দেখা মিলে ঝাঁকে ঝাঁকে সাকার মাছের অস্তিত্ব। নদীতে এখন জাল ফেললেই কমপক্ষে ১০০ থেকে ২০০টি সাকার মাছ ধরা পড়ছে।
উপজেলার শুভাঢ্যা এলাকার বাসিন্দা তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমি বুড়িগঙ্গায় নৌকা চালাই ২০ বছর ধরে। এবারের মতো এত মাছ আগে কখনো নদীতে দেখিনি। বছর দু-এক আগে জেলেদের জালে দু-একটি ধরা পরলেও এখন প্রতিবার জালে ১০০–২০০টি চেগবেগা উঠে।’
কেরানীগঞ্জর জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘সাকার ফিশ মূলত ভিনদেশি প্রজাতির অ্যাকোরিয়ামের মাছ। এটা খুব দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে এবং যে কোনো পরিবেশেই টিকে থাকতে পারে। বর্তমানে উন্মুক্ত জলাশয়ে ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে এই মাছ। এটা আমাদের জন্য একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
সেলিম রেজা বলেন, ‘এ মাছটি এখনো ক্ষতিকর প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃত না। কিন্তু জলাশয়ে এই মাছ বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের আবাসস্থল কমে যাচ্ছে। তা ছাড়া এই মাছটি সর্বভুক। দেশীয় মাছের পোনা ও ডিমও খেয়ে ফেলছে। জলাশয়ে এ মাছের আধিক্য দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তির কারণ হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মাছটি নিয়ে দ্রুত গবেষণা হওয়া দরকার। এটি যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে এটা নির্মূল করা সম্ভব নয় বললেই চলে। তবে পুষ্টিগুণ বিবেচনা করে এটা খাওয়ার উপযোগী কিনা, সেটা আগে খতিয়ে দেখা যেতে পারে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪