Ajker Patrika

চলছে বন্যপ্রাণী নিধন

মোমেনুর রশিদ সাগর, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) 
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৫৫
চলছে বন্যপ্রাণী নিধন

বন্যপ্রাণী হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ‘অচেনা জন্তুর’ আতঙ্কে একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে নিরপরাধ বন্যপ্রাণী।

গত কয়েক দিনে অন্তত দশটি শিয়াল ও মেছো বিড়াল হত্যা করেছে গ্রামবাসী, যা পরিবেশের জন্য হুমকি এবং আতঙ্কের কারণ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়নের তালুক কেঁওয়াবাড়ি, হরিণাথপুর, কিশামত কেঁওয়াবাড়ি, খামার বালুয়া, দুলালেরভিটা ও তালুকজামিরা গ্রাম ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে বন্যপ্রাণী নিধনের এ চিত্র উঠে আসে।

তালুকজামিরা গ্রামে মনোয়ারুল মিয়া ও তালুক কেওয়াবাড়ী গ্রামের আপেল মিয়াসহ স্থানীয়রা জানান, দেড় মাসের বেশি সময় উপজেলার ছয়টি গ্রামে অচেনা এই জন্তুর আক্রমণ শুরু হয়েছে। এই সময়ে এই প্রাণীর আক্রমণে ফেরদৌস ইসলাম নামের একজনের মৃত্যু এবং ২০ জনের অধিক আহত হয়েছেন।

আক্রান্তদের দাবি, জন্তুটি দেখতে শিয়ালের মতো। এর মাথা ও লেজ আকারে বড়। ঝোপ-জঙ্গল, ধানের জমি থেকে বেরিয়ে এসে মানুষ-গবাদি পশুকে আক্রমণ করছে। ফলে দিনের বেলায়ও মানুষ চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন।

প্রাণীটির আক্রমণ থেকে বাঁচতে লাঠি হাতে চলাফেরা করছে গ্রামের মানুষ। বন-জঙ্গল, ঝোপ-ঝাড়ে কোনো শিয়াল বা মেছো বিড়াল দেখতে পেলে তাকে পাগল-হিংস্র মনে করে তাঁরা পিটিয়ে হত্যা করছেন।

পলাশবাড়ী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘অচেনা প্রাণী’ আতঙ্কে শিয়াল-মেছো বিড়াল মেরে ফেলার বিষয়টি আমরা অবগত আছি। বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধে এলাকায় আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। তাঁরা গ্রামবাসীকে সচেতন করছেন।

এর আগে গত রোববার বিকেলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে ‘অচেনা প্রাণীর’ তথ্যানুসন্ধানে আসে রাজশাহী বন বিভাগের এক বিশেষজ্ঞ দল।

পরিদর্শন শেষে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘একটা প্রাণী দেখা বা চেনা যায় নাই, এ কারণে দশটা নিরপরাধ প্রাণী হত্যা করা যাবে না। কারণ বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী যেকোনো প্রাণী ধরা, আঘাত করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এমনটা হলে তা পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে, যা স্থানীয় পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত