Ajker Patrika

চবিতে নবীনের কলতান

মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৮
চবিতে নবীনের কলতান

নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। নিয়মানুযায়ী প্রতিবছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয় এ ক্যাম্পাসে। তবে করোনার কারণে এবার দুই বছর পর শুরু হলো নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠদান। গত মঙ্গলবার নানা আয়োজন আর উৎসবের মধ্য দিয়ে চবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।

হাজারো প্রতিযোগীকে পাশ কাটিয়ে ভর্তিযুদ্ধে জয়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর এ ক্যাম্পাসের প্রথম দিনটি ছিল অনন্য-অসাধারণ। উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে তাঁদের সকলেই মানসপটে দিনটি ঘিরে রচনা করতে থাকেন নানা স্বপ্ন। শাটলের ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত ২ হাজার ১০০ একরের চবি এখন নতুন শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রথম দিন সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে বটতলী রেলস্টেশনে আসা ৭টার শাটল ট্রেন কানায় কানায় পূর্ণ। শাটলে ভিড় এড়াতে অনেকে বাসে করে ক্যাম্পাসে আসেন। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের পুরোনো শিক্ষার্থীরাও নবীনদের বরণ করে নিতে হাজির হন। ছাত্রীদের কেউ শাড়ি-থ্রিপিস পরে আসেন। ছাত্রদের কারও গায়ে ছিল পাঞ্জাবি, কারওবা শার্ট-কোর্ট-টাই। প্রত্যেক বিভাগে পৃথকভাবে বিভাগীয় প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ওরিয়েন্টেশন ক্লাস। এতে বিভাগের শিক্ষক ও নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

নবাগতদের রজনীগন্ধা, গোলাপ ফুল আর সিলেবাস উপহার দেওয়ার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে বরণ করে নেয় বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এ সময় শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতিমূলক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।

নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে সবাই যখন নিজ নিজ বিভাগ থেকে বেরিয়ে আসে তখন আনন্দের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সবার হাতে হাতে ছিল ফুল। একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন তাঁরা। কাটা পাহাড় সড়ক, শহীদ মিনার কিংবা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দলবদ্ধ হয়ে সেলফি তোলায়। অনেকে আবার বসে পড়েন আনন্দ-আড্ডায়। ক্যাম্পাসে পুরোটা দিন অতিবাহিত হয়েছে এমনই আনন্দঘন পরিবেশে। আকাশছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে নতুন ক্যাম্পাসে নতুন জীবনের শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসের প্রথম দিন বিষয়ে জানতে চাইলে লোকপ্রশাসন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী সারওয়ার মাহমুদ বলেন, ‘আজকে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের প্রথম ক্লাস করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। করোনার কারণে প্রায় দুই বছর পর সশরীরে ক্লাসে ফিরলাম। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেকোনো উপায়ে এটি অব্যাহত রাখবে।’

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তাসকীরুল রাব্বানী বলেন, স্যার ও সহপাঠীরা বন্ধুসুলভ ছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।

সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি পারভীন সুলতানা বলেন, ‘নতুন শিক্ষার্থীদের বিভাগের পক্ষ থেকে বরণ করে নিয়েছি। সব শিক্ষক উপস্থিত থেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে তা উপভোগ করেছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি বিভাগেই অনানুষ্ঠানিকভাবে নবীনবরণ হয়েছে। সেখানে নবীন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষকেরা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রতিটি অনুষদ হয়তো আনুষ্ঠানিকভাবে নবীনদের বরণ করে নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল পুনর্বিন্যাস আনছে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলে

‘বাবার অসুস্থতায় পরামর্শ নিতে’ চিকিৎসকের বাসায় নারী, দুজনকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা

১৪৬ যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের পথে এক ঘণ্টা উড়ে মিয়ানমার থেকে ফিরে এল বিমানের সেই ফ্লাইট

৬ বছর পর চীন সফরে যাচ্ছেন মোদি, আসবেন পুতিনও

রাশিয়ার তেল চীনও কেনে, তবে ট্রাম্পের শুল্ক শুধু ভারতের ওপর কেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত