Ajker Patrika

এক বছরে অগ্রগতি ২ শতাংশ

মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২২, ১৪: ৫৬
এক বছরে অগ্রগতি ২ শতাংশ

প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়েও শেষ হয়নি আশুগঞ্জ স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণের কাজ। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে দুই বছর আগে। নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও প্রায় এক বছর লাগতে পারে বলে জানালেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি। গত রোববার দুপুরে সাইলোর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের মে-জুনের মধ্যে সাইলোটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে খাদ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।

আধুনিক স্টিল রাইস সাইলোর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মোস্তফা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল ইসলাম শেখ ও প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. নিজামুল ইসলাম প্রমুখ।

জানা গেছে, খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা বরিশাল, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৩৫ হাজার ৬৪৯ কোটি ৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর আওতায় প্রায় ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জে নির্মাণ করা হচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক স্টিল সাইলো। এটি ৩০টি সাইলো বিনে গঠিত হবে। প্রতিটি সাইলো বিনের ধারণক্ষমতা ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। এতে কীটনাশক ছাড়া স্বয়ংক্রিয় তাপ নিয়ন্ত্রয়ণ যন্ত্রের মাধ্যমে চালের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এভাবে প্রায় দুই বছর চাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এর নির্মাণকাজে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে জেরিকো-ফ্রান্স। এরই মধ্যে তিনবার প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। গত বছর এই সময়ে কাজের অগ্রগতি ছিল ৭৩, আর বর্তমানে ৭৫ শতাংশ। এক বছরে অগ্রগতি মাত্র ২ শতাংশ বেড়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেরিকো-ফ্রান্সের দেওয়া তথ্যমতে, আশুগঞ্জে স্টিল রাইস সাইলোর নির্মাণকাজের জন্য ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল তমা কন্সট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী আধুনিক এ সাইলোতে মোট ৩০টি বিন থাকবে। এ ছাড়া পরিদর্শন বাংলো, গুদাম ও ব্যারাকসহ প্রয়োজনীয় ভবন থাকবে ১৬টি। সাইলো বিনগুলোর প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৩ হাজার ৫০০ টন।

আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারের আর্থিক সমস্যা, করোনার প্রভাবসহ নানা কারণে গত এক বছরে কাজের অগ্রগতি হয়নি। তবে বর্তমানে পুরোদমে কাজ চলছে। ২০২৩ সালের মে-জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা যাবে।

আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল ইসলাম শেখ বলেন, সাইলো দাঁড়িয়ে গেছে। এখন শুধু জেটি ও কনভেয়িং সিস্টেমের কাজ চলছে। ৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে জেটিসহ পুরো কাজ শেষ হবে।

মেয়াদ বাড়ানোর কারণে খরচ বাড়ছে কি না জানতে চাইলে রেজাউল ইসলাম শেখ বলেন, দরপত্রের শর্তে সময়ের সঙ্গে খরচ সমন্বয়ের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। তাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ঠিকাদার কোনোভাবেই বাড়তি টাকা পাবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত